বল, ‘তোমরা কেবল আমাদের জন্য দু’টি কল্যাণের একটির অপেক্ষা করছ, আর আমরাও তোমাদের জন্য অপেক্ষা করছি যে, আল্লাহ তোমাদেরকে তাঁর পক্ষ থেকে অথবা আমাদের হাত দ্বারা আযাব দেবেন। অতএব তোমরা অপেক্ষা কর, নিশ্চয় আমরা তোমাদের সাথে অপেক্ষমাণ’। আল-বায়ান
বল, ‘তোমরা আমাদের জন্য যে জিনিসের অপেক্ষা করছ তা দু’টো ভালোর একটি ছাড়া আর কিছুই না (শাহাদাত কিংবা বিজয়) আর আমরা অপেক্ষা করছি এজন্য যে, আল্লাহ নিজেই তোমাদেরকে শাস্তি দেন অথবা আমাদের হাত দিয়ে দেয়ান। কাজেই অপেক্ষায় থাক, আমরা তোমাদের সাথে অপেক্ষায় থাকলাম।’ তাইসিরুল
বলঃ তোমরাতো আমাদের জন্য দু’টি মঙ্গলের মধ্যে একটি মঙ্গলের প্রতীক্ষায় রয়েছ; আর আমরা তোমাদের জন্য এই প্রতীক্ষা করছি যে, আল্লাহ তোমাদের উপর কোন্ শাস্তি সংঘটন করবেন - নিজের পক্ষ হতে অথবা আমাদের দ্বারা; অতএব তোমরা অপেক্ষা করতে থাক, আমরাও তোমাদের সাথে অপেক্ষমান রইলাম। মুজিবুর রহমান
Say, "Do you await for us except one of the two best things while we await for you that Allah will afflict you with punishment from Himself or at our hands? So wait; indeed we, along with you, are waiting." Sahih International
৫২. বলুন, তোমরা আমাদের দুটি মঙ্গলের একটির প্রতীক্ষা করছ এবং আমরা প্রতীক্ষা করছি যে, আল্লাহ তোমাদেরকে শাস্তি দেবেন সরাসরি নিজ পক্ষ থেকে অথবা আমাদের হাত দ্বারা। অতএব তোমরা প্রতীক্ষা কর, আমরাও তোমাদের সাথে প্রতীক্ষা করছি।(১)
(১) এ আয়াতে মুমিনদের এক বিরল অবস্থার উল্লেখ করে তাদের বিপদে আনন্দ উপভোগকারী কাফেরদের বলা হয় যে, আমাদের যে বিপদ দেখে তোমরা এত উৎফুল্ল, তাকে আমরা বিপদই মনে করিনা বরং তা আমাদের জন্য শান্তি ও সফলতার অন্যতম মাধ্যম। কারণ, মুমিন আপন চেষ্টায় বিফল হলেও স্থায়ী সওয়াব ও প্রতিদান লাভের যোগ্য হয়, আর এটিই সকল সফলতার মূলকথা। তাই তারা অকৃতকার্য হলেও কৃতকার্য। আল্লাহ বলেন, বলুন, তোমরা কি আমাদের দুটি মঙ্গলের একটির প্রতীক্ষায় আছ?। ইবন আব্বাস বলেন, সে দুটি বিষয় হচ্ছে, বিজয় তথা গনীমত অথবা শাহাদাত। আমরা নিহত হলেও শাহাদাতে ধন্য হব, সেটা তো জীবন ও জীবিকার নাম। অথবা আল্লাহ আমাদের হাতে তোমাদেরকে অপমানিত করবেন। [তাবারী; কুরতুবী]
অপরদিকে কাফেরদের অবস্থা হল তার বিপরীত। আযাব থেকে কোন অবস্থায়ই তাদের অব্যাহতি নেই। এ জীবনেই তারা মুসলিমগনের মাধ্যমে আল্লাহর আযাব ভোগ করবে এবং এভাবে তারা দুনিয়া ও আখেরাতের লাঞ্ছনা পোহাবে। আর যদি এ দুনিয়ায় কোন প্রকারে নিস্কৃতি পেয়েও যায়, তবে আখেরাতের আযাব থেকে রেহাই পাওয়ার কোন উপায় নেই; তা অবশ্যই ভোগ করবে। আর দুনিয়ার আযাব, হয়ত সে আযাব হবে আল্লাহর পক্ষ থেকে ধ্বংসকারী আযাব নাযিল হওয়ার মাধ্যমে, যেমন তোমাদের পূর্ববর্তী উম্মতগণকে পেয়ে বসেছিল। অথবা তিনি তোমাদের হত্যা করার অনুমোদন দিবেন। সুতরাং তোমরা শয়তানের ওয়াদার অপেক্ষায় থাকো, আমরাও আল্লাহর ওয়াদার অপেক্ষায় থাকলাম। [কুরতুবী]
তাফসীরে জাকারিয়া(৫২) তুমি বলে দাও, ‘তোমরা কেবল আমাদের জন্য দু’টি মঙ্গলের মধ্যে একটি মঙ্গলের প্রতীক্ষায় রয়েছ;[1] আর আমরা তোমাদের জন্য এই প্রতীক্ষা করছি যে, আল্লাহ তোমাদেরকে নিজের পক্ষ হতে অথবা আমাদের হাত দ্বারা কোন শাস্তি প্রদান করবেন।[2] অতএব তোমরা অপেক্ষা করতে থাক, আমরা তোমাদের সাথে অপেক্ষমাণ রইলাম।’
[1] অর্থাৎ, বিজয় অথবা শহীদী মরণ; উভয়ের মধ্যে যেটাই লাভ হয়, সেটাই আমাদের জন্য মঙ্গলকর।
[2] অর্থাৎ, আমরা তোমাদের ব্যাপারে দু’টি অমঙ্গলের মধ্যে একটির অপেক্ষা করছি, হয় আসমান থেকে আল্লাহ তাআলা তোমাদের উপর আযাব প্রেরণ করবেন যাতে তোমরা ধ্বংস হয়ে যাবে, না হয় আমাদের হাতে আল্লাহ তোমাদেরকে হত্যা কিম্বা বন্দী হওয়ার শাস্তি প্রদান করবেন। আর তিনি উভয় ব্যাপারে শক্তিমান।
তাফসীরে আহসানুল বায়ান