লগইন করুন
৫০ সূরাঃ কাফ | Qaf | سورة ق - আয়াত নং - ৪০ - মাক্কী
এবং রাতের একাংশেও তুমি তাঁর তাসবীহ পাঠ কর এবং সালাতের পশ্চাতেও। আল-বায়ান
আর তাঁর প্রশংসা ঘোষণা কর রাত্রির একাংশে আর নামাযের পরে। তাইসিরুল
তাঁর পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা কর রাতের একাংশে এবং সালাতের পরেও। মুজিবুর রহমান
And [in part] of the night exalt Him and after prostration. Sahih International
৪০. আর তাঁর পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করুন রাতের একাংশে এবং সালাতের পরেও।(১)
(১) মুজাহিদ বলেন, এখানে فسبح বলে ফরয সালাত বোঝানো হয়েছে এবং (وَأَدْبَارَ السُّجُودِ) বা সালাতের পশ্চাতে বলে সেই সব তসবিহ বোঝানো হয়েছে, যেগুলোর ফযিলত প্রত্যেক ফরয সালাতের পর হাদীসে বর্ণিত আছে। [কুরতুবী, বাগভী] রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, যে ব্যক্তি প্ৰত্যেক ফরয সালাতের পর ৩৩ বার সুবহানাল্লাহ ৩৩ বার আলহামদুলিল্লাহ ৩৩ বার আল্লাহু আকবার এবং একবার ‘লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারীকা লাহু লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু ওয়া হুয়া আলা কুল্লি শাইয়িন কাদির’ পাঠ করবে, তার গোনাহ মাফ করা হবে। যদিও তা সমুদ্রের ঢেউয়ের সমান হয়। [মুয়াত্তা: ৪৩৯ মুসলিম: ৯৩৯]
তাফসীরে জাকারিয়া(৪০) তাঁর পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা কর রাত্রির একাংশে[1] এবং নামাযের পরেও। [2]
[1] مِنْ এখানে শব্দটি ‘তাবঈয’ (আংশিক বুঝাতে ব্যবহার হয়েছে)। অর্থাৎ, রাতের কিছু অংশেও আল্লাহর ‘তসবীহ’ পাঠ কর কিংবা রাতের নামায (তাহাজ্জুদ) পড়। যেমন, অন্যত্র বলেন, {وَمِنَ اللَّيْلِ فَتَهَجَّدْ بِهِ نَافِلَةً لَكَ} ‘‘রাতে উঠে তাহাজ্জুদের নামায পড়, যা তোমার জন্য অতিরিক্ত নেকীর কারণ হবে।’’ (সূরা বনী ইস্রাঈল ৭৯) কেউ কেউ বলেছেন, মি’রাজের পূর্বে মুসলিমদের জন্য শুধু ফজর ও আসরের নামায এবং নবী করীম (সাঃ)-এর জন্য তাহাজ্জুদের নামাযও ফরয ছিল। অতঃপর মি’রাজের রাতে পাঁচ ওয়াক্ত নামায ফরয করে দেওয়া হলো। (ইবনে কাসীর)
[2] অর্থাৎ, আল্লাহর তসবীহ পাঠ কর। কেউ কেউ এ থেকে সেই তসবীহসমূহ বুঝিয়েছেন, যা নবী করীম (সাঃ) ফরয নামাযের পর পড়ার তাকীদ করেছেন। যেমন, ৩৩বার ‘সুবহানাল্লাহ’ ৩৩বার ‘আলহামদু লিল্লা-হ’এবং ৩৪বার ‘আল্লাহু আকবার’ ইত্যাদি পড়া। (বুখারীঃ আযান অধ্যায়) কিন্তু এই তসবীহগুলোর কথা এই সূরা অবতীর্ণ হওয়ার বহুকাল পর বলা হয়েছে। কেউ বলেছেন, أَدْبَارُ السُّجُوْد থেকে মাগরিবের পর দু’ রাকআত সুন্নতকে বুঝানো হয়েছে।
তাফসীরে আহসানুল বায়ান