লগইন করুন
৪৭ সূরাঃ মুহাম্মাদ | Muhammad | سورة محمد - আয়াত নং - ১২ মাদানী
নিশ্চয় যারা ঈমান এনেছে ও সৎকর্ম করেছে, আল্লাহ তাদেরকে জান্নাতে দাখিল করবেন। যার নিম্নদেশে নহরসমূহ প্রবাহিত হয়। কিন্তু যারা কুফরী করে তারা ভোগ-বিলাসে মত্ত থাকে এবং তারা আহার করে যেমন চতুষ্পদ জন্তুরা আহার করে। আর জাহান্নামই তাদের বাসস্থান। আল-বায়ান
যারা ঈমান আনে আর সৎকাজ করে আল্লাহ তাদেরকে প্রবিষ্ট করবেন জান্নাতে যার তলদেশে ঝর্ণাধারা প্রবাহিত। আর যারা কুফুরী করে তারা ভোগ বিলাসে মত্ত থাকে আর আহার করে যেভাবে আহার করে জন্তু জানোয়াররা। জাহান্নামই তাদের বাসস্থান। তাইসিরুল
যারা ঈমান আনে ও সৎ কাজ করে আল্লাহ তাদেরকে দাখিল করবেন জান্নাতে, যার নিম্নদেশে নদী প্রবাহিত; কিন্তু যারা কুফরী করে তারা ভোগ বিলাসে লিপ্ত থাকে এবং জন্তু-জানোয়ারের মত উদর পূর্তি করে; তাদের বাসস্থান হবে জাহান্নাম। মুজিবুর রহমান
Indeed, Allah will admit those who have believed and done righteous deeds to gardens beneath which rivers flow, but those who disbelieve enjoy themselves and eat as grazing livestock eat, and the Fire will be a residence for them. Sahih International
১২. নিশ্চয় যারা ঈমান এনেছে এবং সৎকাজ করেছে আল্লাহ তাদেরকে প্রবেশ করাবেন জান্নাতে যার নীচে নহরসমূহ প্রবাহিত; কিন্তু যারা কুফরী করেছে তারা ভোগ বিলাস করে এবং খায় যেমন চতুস্পদ জন্তুরা খায়(১); আর জাহান্নামই তাদের নিবাস।
(১) অর্থাৎ জীবজন্তু খাওয়া-দাওয়ার ব্যাপারে কোনরূপ পরিমাণ-পরিমাপ মেনে চলে না। অনুরূপভাবে কাফেররাও খাদ্য-পানীয় গ্রহণের ক্ষেত্রে কোন নিয়মনীতির ধার ধারে না। [দেখুন- ফাতহুল কাদীর, কুরতুবী] তাই রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, মুমিন এক খাদ্যনালীতে খাবার গ্রহণ করে পক্ষান্তরে কাফেরা যেন সাতটি খাদ্যনালীর মাধ্যমে খাবার গলধকরণ করে। [বুখারী: ৫৩৯৩]
তাফসীরে জাকারিয়া(১২) যারা ঈমান আনে ও সৎকর্ম করে, আল্লাহ তাদেরকে অবশ্যই জান্নাতে প্রবেশ করাবেন, যার নিম্নদেশে নদীমালা প্রবাহিত। কিন্তু যারা অবিশ্বাস করে, তারা ভোগ-বিলাসে লিপ্ত থাকে এবং জন্তু-জানোয়ারের মত উদর-পূর্তি করে। [1] আর তাদের নিবাস হল জাহান্নাম।
[1] অর্থাৎ, যেভাবে জীব-জন্তুদের উদর এবং প্রবৃত্তির চাহিদা পূরণ ছাড়া আর কোন কাজ থাকে না, অনুরূপ অবস্থা হল কাফেরদের। তাদের জীবনের উদ্দেশ্যও (ইহকালে) খাওয়া-পরা ছাড়া আর কিছুই নয়। পরকালের ব্যাপারে তারা একেবারে উদাসীন। এরই ভিত্তিতে দাঁড়িয়ে খাওয়া যে নিষেধ তাও প্রমাণিত হয়। বর্তমানে বিভিন্ন দাওয়াত অনুষ্ঠানে যার ব্যাপক প্রচলন হয়ে গেছে। কেননা, এতে রয়েছে জীব-জন্তুর সাদৃশ্য অবলম্বন; যেটা কাফেরদের অভ্যাস। বহু হাদীসে দাঁড়িয়ে পানি পান করতে কঠোরভাবে নিষেধ করা হয়েছে। আনাস (রাঃ) বলেন, নবী (সাঃ) নিষেধ করেছেন যে, কোন লোক যেন দাঁড়িয়ে পান না করে। আনাস (রাঃ)-কে দাঁড়িয়ে খাওয়া সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে উত্তরে তিনি বললেন, ‘এটা তো আরো খারাপ ও আরো নোংরা।’’ (মুসলিম ২০২৪নং) কাজেই জন্তু-জানোয়ারের মত দাঁড়িয়ে পানাহার করা থেকে বিরত থাকা অতীব প্রয়োজনীয় আচরণ। (দ্রঃ যাদুল মাআ’দ)
তাফসীরে আহসানুল বায়ান