লগইন করুন
৩৩ সূরাঃ আল-আহযাব | Al-Ahzab | سورة الأحزاب - আয়াত নং - ৪৯ মাদানী
হে মুমিনগণ, যখন তোমরা মুমিন নারীদেরকে বিবাহ করবে অতঃপর তাদেরকে স্পর্শ করার পূর্বেই* তালাক দিয়ে দেবে তবে তোমাদের জন্য তাদের কোন ইদ্দত নেই যা তোমরা গণনা করবে। সুতরাং তাদেরকে কিছু উপহার সামগ্রী প্রদান কর এবং সুন্দরভাবে তাদেরকে বিদায় দাও। আল-বায়ান
হে মু’মিনগণ! তোমরা যখন কোন মু’মিন নারীকে বিবাহ কর, অতঃপর তাদেরকে স্পর্শ করার পূর্বেই তাদেরকে তালাক দাও, তখন তাদের জন্য তোমাদেরকে কোন ইদ্দত পালন করতে হবে না যা তোমরা (অন্যক্ষেত্রের তালাকে) গণনা করে থাক। কাজেই কিছু সামগ্রী তাদেরকে দাও আর তাদেরকে বিদায় দাও উত্তম বিদায়ে। তাইসিরুল
হে মু’মিনগণ! তোমরা মু’মিনা নারীদেরকে বিয়ে করার পর তাদেরকে স্পর্শ করার পূর্বে তালাক দিলে তোমাদের জন্য তাদের পালনীয় কোন ইদ্দাত নেই যা তোমরা গননা করবে। তোমরা তাদেরকে কিছু সামগ্রী দিবে এবং সৌজন্যের সাথে তাদেরকে বিদায় করবে। মুজিবুর রহমান
O You who have believed, when you marry believing women and then divorce them before you have touched them, then there is not for you any waiting period to count concerning them. So provide for them and give them a gracious release. Sahih International
* স্পর্শ করার পূর্বে অর্থাৎ সহবাসের পূর্বে।
৪৯. হে ঈমানদারগণ! যখন তোমরা মুমিন নারীদেরকে বিয়ে করবে, তারপর তাদেরকে স্পর্শ করার আগে তালাক দিবে, তখন তোমাদের জন্য তাদের পালনীয় কোন ইদ্দত নেই যা তোমরা গুণবে। সুতরাং তোমরা তাদেরকে কিছু সামগ্ৰী দেবে এবং সৌজন্যের সাথে তাদেরকে বিদায় করবে।
-
তাফসীরে জাকারিয়া(৪৯) হে বিশ্বাসীগণ! তোমরা বিশ্বাসী রমণীদেরকে বিবাহ করার পর ওদেরকে স্পর্শ করার পূর্বে তালাক দিলে তোমাদের জন্য তাদের কোন পালনীয় ইদ্দত নেই।[1] সুতরাং তোমরা ওদেরকে কিছু সামগ্রী প্রদান কর[2] এবং সৌজন্যের সাথে ওদেরকে বিদায় কর।[3]
[1] বিবাহের পর যে নারীর তার স্বামীর সাথে সঙ্গম হয়েছে ও সে যুবতী আছে, এই অবস্থায় সে তালাকপ্রাপ্তা হলে তার ইদ্দত তিন মাসিক। (সূরা বাক্বারাহ ২২৮ আয়াত) এখানে ঐ সকল নারীদের বিধান বর্ণনা করা হচ্ছে যাদের বিয়ে হয়েছে কিন্তু স্বামী-স্ত্রীর সঙ্গম হয়নি। এমতাবস্থায় যদি তালাক হয়ে যায়, তবে কোন ইদ্দত নেই। অর্থাৎ এই রকম সঙ্গমের পূর্বেই তালাকপ্রাপ্তা নারী কোন ইদ্দত পালন করা ছাড়াই যদি অন্য পুরুষকে বিবাহ করতে চায়, তাহলে সাথে সাথে বিবাহ করতে পারবে। তবে যদি সঙ্গমের পূর্বে স্বামীর মৃত্যু হয়, তবে তাকে চার মাস দশ দিন ইদ্দত পালন করতেই হবে। (ফাতহুল ক্বাদীর, ইবনে কাসীর) ‘স্পর্শ করা বা হাত লাগানো’ বলে সঙ্গমের দিকে ইঙ্গিত করা হয়েছে। نكاح শব্দটি বিশেষ করে সঙ্গম এবং বিবাহ বন্ধন দুই অর্থেই ব্যবহার হয়। এখানে বিবাহ বন্ধনের অর্থে ব্যবহার হয়েছে। উক্ত আয়াত থেকে দলীল নিয়ে বলা হয়েছে যে, বিবাহের পূর্বে তালাক হয় না। কারণ এখানে তালাকের বর্ণনা বিবাহের বর্ণনার পর এসেছে। সুতরাং যে সকল ফকীহগণ এই কথা বলেন যে, যদি কোন ব্যক্তি বলে যে, ‘যদি আমি অমুক নারীকে বিয়ে করি, তবে সে তালাক’ তবে তাদের নিকট সেই নারীর সাথে বিয়ে হওয়া মাত্র তালাক হয়ে যাবে। অনুরূপ অনেকে বলেন যে, যদি সে বলে যে, ‘আমি যে নারীকেই বিয়ে করব তাকে তালাক’ তবে সে যে কোন নারীকেই বিয়ে করবে তালাক হয়ে যাবে। উক্ত মত দুটি সহীহ নয়। যেহেতু হাদীসে পরিষ্কার ভাষায় বলা হয়েছে, ‘‘বিবাহের পূর্বে তালাক নেই।’’ (ইবনে মাজাহ) ‘‘আদম সন্তান যার মালিক নয়, তার তালাক হয় না।’’ (আবূ দাঊদ, তিরমিযী, ইবনে মাজাহ, আহমাদ ২/১৮৯) এতে পরিষ্কার হয়ে গেল যে, বিয়ের পূর্বে তালাক দেওয়া একটা ফালতু কাজ, শরীয়তে যার কোন স্থান নেই।
[2] এই সামগ্রী হল, যদি মোহর ধার্য হয়ে থাকে, তবে তার অর্ধেক মোহর। আর ধার্য্য হয়ে না থাকলে সামর্থ্য অনুযায়ী কিছু প্রদান করা হবে।
[3] অর্থাৎ, কোন প্রকার কষ্ট না দিয়ে, ইজ্জত ও সম্মানের সাথে তাকে বিদায় করে দাও।
তাফসীরে আহসানুল বায়ান