২৬ সূরাঃ আশ-শুআ'রা | Ash-Shu'ara | سورة الشعراء - আয়াত নং - ৮৬ - মাক্কী

২৬ : ৮৬ وَ اغۡفِرۡ لِاَبِیۡۤ اِنَّهٗ كَانَ مِنَ الضَّآلِّیۡنَ ﴿ۙ۸۶﴾

‘আর আমার পিতাকে ক্ষমা করুন; নিশ্চয় সে পথভ্রষ্টদের অন্তর্ভুক্ত ছিল’। আল-বায়ান

আর তুমি আমার পিতাকে ক্ষমা কর, তিনি তো গুমরাহদের অর্ন্তভুক্ত। তাইসিরুল

আর আমার পিতাকে ক্ষমা করুন, সেতো পথভ্রষ্টদের অন্তর্ভুক্ত। মুজিবুর রহমান

And forgive my father. Indeed, he has been of those astray. Sahih International

৮৬. আর আমার পিতাকে ক্ষমা করুন, তিনি তো পথভ্রষ্টদের শামিল ছিলেন।(১)

(১) পবিত্র কুরআনের অন্যত্র বলা হয়েছে, (مَا كَانَ لِلنَّبِيِّ وَالَّذِينَ آمَنُوا أَنْ يَسْتَغْفِرُوا لِلْمُشْرِكِينَ وَلَوْ كَانُوا أُولِي قُرْبَىٰ مِنْ بَعْدِ مَا تَبَيَّنَ لَهُمْ أَنَّهُمْ أَصْحَابُ الْجَحِيمِ) “আত্মীয়-স্বজন হলেও মুশরিকদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করা নবী এবং মুমিনদের জন্য সংগত নয় যখন এটা সুস্পষ্ট হয়ে গেছে যে, নিশ্চিতই ওরা জাহান্নামী”। [সূরা আত্-তাওবাঃ ১১৩] কুরআনুল করীমের এই ফরমান জারি হওয়ার পর এখন যার মৃত্যু কুফরের উপর নিশ্চিত ও অবধারিত; তার জন্য মাগফেরাতের দো'আ করা অবৈধ ও হারাম। কিন্তু এ আয়াতে আল্লাহ্ তা'আলা। ইবরাহীম'আলাইহিস সালাম-এরদো আউল্লেখ করে বলেছেনঃ (وَاغْفِرْ لِأَبِي إِنَّهُ كَانَ مِنَ الضَّالِّينَ) “আর আমার পিতাকে ক্ষমা করে দিন তিনি তো পথভ্রষ্টদের শামিল ছিলেন”। তা থেকে প্রশ্ন দেখা দেয় যে, উপরোক্ত নিষেধাজ্ঞার পর ইবরাহীম আলাইহিস সালাম তার মুশরিক পিতার জন্য কেন মাগফেরাতের দো'আ করলেন? আল্লাহ রাব্বুল ‘আলামীন নিজেই কুরআনুল করীমে এ প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন। তিনি বলেনঃ (وَمَا كَانَ اسْتِغْفَارُ إِبْرَاهِيمَ لِأَبِيهِ إِلَّا عَنْ مَوْعِدَةٍ وَعَدَهَا إِيَّاهُ فَلَمَّا تَبَيَّنَ لَهُ أَنَّهُ عَدُوٌّ لِلَّهِ تَبَرَّأَ مِنْهُ إِنَّ إِبْرَاهِيمَ لَأَوَّاهٌ حَلِيمٌ) [সূরা আত্-তাওবাঃ ১১৪] অর্থাৎ “ইবরাহীম তাঁর পিতার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করেছিলেন, তাকে এর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন বলে; তারপর যখন এটা তার কাছে সুস্পষ্ট হল যে, সে আল্লাহর শত্রু তখন ইবরাহীম তার থেকে নিজেকে বিমুক্ত ঘোষণা করলেন। ইবরাহীম তো কোমল হৃদয় ও সহনশীল।”[সূরা আত-তাওবা: ১১৪]

তাফসীরে জাকারিয়া

(৮৬) আর আমার পিতাকে ক্ষমা কর, সে তো একজন পথভ্রষ্ট। [1]

[1] এই দু’আ ঐ সময়কার যখন তাঁর নিকট স্পষ্ট ছিল না যে, মুশরিক (আল্লাহর শত্রু)-দের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করা বৈধ নয়। অতঃপর যখন মহান আল্লাহ একথা পরিষ্কার করে দিলেন, তখন তিনি নিজ পিতা হতে সম্পূর্ণরূপে পৃথক হয়ে গেলেন। (সূরা তাওবাহ ১১৪ আয়াত)

তাফসীরে আহসানুল বায়ান