২৫ সূরাঃ আল-ফুরকান | Al-Furqan | سورة الفرقان - আয়াত নং - ৫০ - মাক্কী

২৫ : ৫০ وَ لَقَدۡ صَرَّفۡنٰهُ بَیۡنَهُمۡ لِیَذَّكَّرُوۡا ۫ۖ فَاَبٰۤی اَكۡثَرُ النَّاسِ اِلَّا كُفُوۡرًا ﴿۵۰﴾

আর আমি তা তাদের মধ্যে বণ্টন করি, যাতে তারা উপদেশ গ্রহণ করতে পারে; তারপর অধিকাংশ লোক শুধু অকৃতজ্ঞতাই প্রকাশ করে। আল-বায়ান

আমি পানিকে (সকলের প্রয়োজন মেটানোর জন্য) তাদের মাঝে বণ্টন করি যাতে তারা (আল্লাহর অনুগ্রহের কথা) স্মরণ করে, কিন্তু মানুষদের অধিকাংশই ঈমান গ্রহণ করতে অস্বীকার ক’রে কেবল কুফরিই করল। তাইসিরুল

আর আমি এটা তাদের মধ্যে বিতরণ করি যাতে তারা স্মরণ করে; কিন্তু অধিকাংশ লোক শুধু অকৃতজ্ঞতাই প্রকাশ করে। মুজিবুর রহমান

And We have certainly distributed it among them that they might be reminded, but most of the people refuse except disbelief. Sahih International

৫০. আর আমরা তো তা তাদের মধ্যে বিতরণ করি যাতে তারা স্মরণ করে। অতঃপর অধিকাংশ লোক শুধু অকৃতজ্ঞতাই প্রকাশ করে।(১)

(১) ইকরিম রাহেমাহুল্লাহ এ আয়াতের তাফসীরে বলেন, অর্থাৎ তারা বলে আমরা অমুক নক্ষত্র এবং অমুক নক্ষত্রের কাছাকাছি হওয়ার কারণে বৃষ্টিপ্রাপ্ত হয়েছি। ইকরিমা রাহেমাহুল্লাহর এ তাফসীরের সপক্ষে আমরা হাদীস থেকে প্রমাণ দেখতে পাই। একবার রাত্রিকালে বৃষ্টি হওয়ার পর ভোরে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাহাবাদেরকে বললেন, তোমরা কি জান তোমাদের প্রভু কি বলেছেন? তারা বললেন, আল্লাহ ও তাঁর রাসূল সবচেয়ে ভাল জানেন। তিনি বললেনঃ আল্লাহ বলেন, আমার বান্দাদের কতক লোক আমার উপর ঈমানদার এবং কতক লোক কাফেরে পরিণত হয়েছে। যারা বলে, আমরা আল্লাহর অনুগ্রহ ও দয়ায় বৃষ্টিপ্রাপ্ত হয়েছি তারা আমার উপর ঈমান এনেছে এবং নক্ষত্ররাজির উপর কুফরী করেছে। আর যারা বলে, আমরা অমুক অমুক নক্ষত্রের কাছাকাছি হওয়ার কারণে বৃষ্টি পেয়েছি তারা আমার সাথে কুফরী করেছে এবং নক্ষত্ররাজির উপর ঈমান এনেছে। [মুসলিমঃ ১২৫]

তাফসীরে জাকারিয়া

(৫০) আমি তা ওদের মধ্যে বিভিন্নভাবে বিবৃত করেছি;[1] যাতে ওরা উপদেশ গ্রহণ করে। কিন্তু অধিকাংশ লোক কেবল অবিশ্বাসই প্রকাশ করে। [2]

[1] অর্থাৎ, কুরআন কারীমকে। আবার কেউ কেউ মনে করেন, صرفناه এর ه (তা) সর্বনাম দ্বারা পানি বা বৃষ্টির প্রতি ইঙ্গিত করা হয়েছে। যার অর্থ, আমি বৃষ্টিকে ফিরিয়ে ফিরিয়ে বর্ষণ করি। অর্থাৎ, কখনো এক এলাকায় আবার কখনো অন্য এলাকায়। এমনকি কখনো দেখা যায় যে একই শহরের এক জায়গায় বৃষ্টি হয়, অন্য জায়গায় হয় না। এটি আল্লাহর হিকমত ও ইচ্ছা। তিনি যেভাবে ইচ্ছা কখনো বৃষ্টি বর্ষণ করেন, কখনো করেন না। আবার কখনো এক এলাকায় করেন, আবার কখনো অন্য এলাকায়।

[2] এটিও এক প্রকার কুফরী ও অকৃতজ্ঞতা যে, বৃষ্টিকে আল্লাহর ইচ্ছাধীন না মনে করে নক্ষত্রের আসা-যাওয়ার পরিণাম মনে করা। যেমন জাহেলী যুগের লোকেরা মনে করত। যেমন হাদীসে বর্ণিত হয়েছে।

তাফসীরে আহসানুল বায়ান