২৫ সূরাঃ আল-ফুরকান | Al-Furqan | سورة الفرقان - আয়াত নং - ৪২ - মাক্কী

২৫ : ৪২ اِنۡ كَادَ لَیُضِلُّنَا عَنۡ اٰلِهَتِنَا لَوۡ لَاۤ اَنۡ صَبَرۡنَا عَلَیۡهَا ؕ وَ سَوۡفَ یَعۡلَمُوۡنَ حِیۡنَ یَرَوۡنَ الۡعَذَابَ مَنۡ اَضَلُّ سَبِیۡلًا ﴿۴۲﴾

‘সে তো আমাদেরকে আমাদের দেবতাদের থেকে দূরে সরিয়ে দিত, যদি আমরা তাদের প্রতি অবিচল না থাকতাম’। আর যখন তারা আযাব দেখবে, তখন অবশ্যই জানতে পারবে কে অধিক পথভ্রষ্ট। আল-বায়ান

সে তো আমাদেরকে আমাদের ইলাহদের থেকে অবশ্যই সরিয়ে দিত যদি আমরা তাদের প্রতি দৃঢ়চিত্ত না থাকতাম। যখন তারা শাস্তি দেখবে তখন জানবে যে পথের ক্ষেত্রে কারা অধিক ভ্রষ্ট ছিল। তাইসিরুল

সেতো আমাদেরকে আমাদের দেবতাদের হতে দূরে সরিয়ে দিত যদি না আমরা তাদের আনুগত্যে দৃঢ় প্রতিষ্ঠিত থাকতাম। যখন তারা শাস্তি প্রত্যক্ষ করবে তখন তারা জানবে কে সর্বাধিক পথভ্রষ্ট। মুজিবুর রহমান

He almost would have misled us from our gods had we not been steadfast in [worship of] them." But they are going to know, when they see the punishment, who is farthest astray in [his] way. Sahih International

৪২. সে তো আমাদেরকে আমাদের উপাস্যগণ হতে দূরে সরিয়েই দিত, যদি না আমরা তাদের আনুগত্যের উপর অবিচল থাকতাম। আর যখন তারা শাস্তি প্রত্যক্ষ করবে, তখন জানতে পারবে কে অধিক পথভ্ৰষ্ট।

-

তাফসীরে জাকারিয়া

(৪২) সে তো আমাদের দেবতাগণ থেকে আমাদেরকে দূরে সরিয়েই দিত; যদি না আমরা তাদের আনুগত্যে দৃঢ় প্রতিষ্ঠিত থাকতাম।’[1] যখন ওরা শাস্তি প্রত্যক্ষ করবে, তখন ওরা জানবে কে সর্বাধিক পথভ্রষ্ট।[2]

[1] অর্থাৎ, আমরা পূর্ব-পুরুষদের অন্ধ-অনুকরণ এবং প্রচলিত ধর্মের সাথে সম্পর্ক রাখার কারণে গায়রুল্লাহর ইবাদত হতে মুখ ফিরিয়ে নিইনি; যদিও এই পয়গম্বর আমাদেরকে পথভ্রষ্ট করতে কোন ত্রুটি করেনি! মহান আল্লাহ মুশরিকদের এই কথা বর্ণনা করে বলতে চেয়েছেন যে, তারা শিরকের উপর কিরূপ অটল যে, তারা তা নিয়ে গর্ব ও আস্ফালন করছে!

[2] অর্থাৎ, পৃথিবীতে ঐ সমস্ত মুশরিক ও গায়রুল্লাহর পূজারীদের নজরে তাওহীদপন্থীরা পথভ্রষ্ট। কিন্তু এরা যখন আল্লাহর নিকট পৌঁছবে এবং তাদের শিরকের কারণে ইলাহী আযাবে পতিত হবে, তখন জানতে পারবে যে, পথভ্রষ্ট কারা ছিল; এক আল্লাহর উপাসকরা, নাকি যেখানে সেখানে মাথা নত (সিজদা)কারীরা?

তাফসীরে আহসানুল বায়ান