লগইন করুন
১৯ সূরাঃ মারইয়াম | Maryam | سورة مريم - আয়াত নং - ৭২ - মাক্কী
তারপর আমি এদেরকে মুক্তি দেব যারা তাকওয়া অবলম্বন করেছে। আর যালিমদেরকে আমি সেখানে রেখে দেব নতজানু অবস্থায়। আল-বায়ান
অতঃপর মুত্তাকীদেরকে আমি রক্ষা করব আর যালিমদেরকে তার মধ্যে নতজানু অবস্থায় রেখে দেব। তাইসিরুল
পরে আমি মুত্তাকীদেরকে উদ্ধার করব এবং যালিমদের সেখানে নতজানু অবস্থায় রেখে দিব। মুজিবুর রহমান
Then We will save those who feared Allah and leave the wrongdoers within it, on their knees. Sahih International
৭২. পরে আমরা উদ্ধার করব তাদেরকে, যারা তাকওয়া অবলম্বন করেছে এবং যালেমদেরকে সেখানে নতজানু অবস্থায় রেখে দেব।
-
তাফসীরে জাকারিয়া(৭২) পরে আমি সাবধানীদেরকে উদ্ধার করব এবং সীমালংঘনকারীদেরকে সেথায় নতজানু অবস্থায় বর্জন করব। [1]
[1] এর ব্যাখ্যা সহীহ হাদীসে এইভাবে বর্ণিত হয়েছে যে, জাহান্নামের উপর সেতু (পুলসিরাত) স্থাপন করা হবে যার উপর দিয়ে প্রত্যেক মুমিন ও মুনাফিককে পার হতে হবে। মুমিনরা নিজ নিজ আমল অনুসারে দ্রুত ও ধীর গতিতে পার হয়ে যাবে; কেউ চোখের পাতা ফেলার গতিতে (পলকের মধ্যে), কেউ বিদ্যুতের গতিতে, কেউ হাওয়ার গতিতে, কেউ উড়ন্ত পাখির গতিতে, কেউ দ্রুতগামী ঘোড়ার গতিতে, কেউ বা অন্যান্য যানবাহনের গতিতে, কেউ বা পূর্ণ নিরাপদে, কেউ যখম হয়েও পার হয়ে যাবে। আবার কিছু জাহান্নামে পড়েও যাবে পরে তাদেরকে সুপারিশ দ্বারা বের করে নেওয়া হবে। কিন্তু মুনাফিকদল ঐ পুল পার হতে সফল বা সক্ষম হবে না। বরং সকলেই জাহান্নামে পড়ে যাবে। এর সমর্থন ঐ হাদীস দ্বারাও হয়, যাতে বলা হয়েছে যে, ‘‘যার তিন তিনটি সন্তান সাবালক হওয়ার আগে মৃত্যুবরণ করবে তাকে জাহান্নামের আগুন স্পর্শ করবে না; কিন্তু প্রতিজ্ঞা পালনের জন্য (জাহান্নামের উপর বেয়ে অতিক্রম করবে)।’’ (বুখারী, মুসলিম) আর সেই প্রতিজ্ঞা, যা উক্ত আয়াতে ‘‘এটা তোমার প্রতিপালকের অনিবার্য সিদ্ধান্ত’’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। সুতরাং জাহান্নামে প্রবেশ করার অর্থ হবে, শুধুমাত্র পুলসিরাতের উপর বেয়ে পার হওয়া। (বিস্তৃত জানার জন্য দ্রষ্টব্যঃ ইবনে কাসীর, আইসারুত্ তাফাসীর)
তাফসীরে আহসানুল বায়ান