লগইন করুন
৯ সূরাঃ আত-তাওবা | At-Tawba | سورة التوبة - আয়াত নং - ৯১ মাদানী
কোন দোষ নেই দুর্বলদের উপর, অসুস্থদের উপর ও যারা দান করার মত কিছু পায় না তাদের উপর, যদি তারা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের হিতাকাঙ্ক্ষী হয়। সৎকর্মশীলদের উপর (অভিযোগের) কোন পথ নেই, আর আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু। আল-বায়ান
দুর্বলের উপর, পীড়িতের উপর আর ব্যয় করার মত কোন সম্বল যাদের নেই তাদের উপর কোন অভিযোগ নেই, যদি তারা আল্লাহ ও তাঁর রসূলের প্রতি বিশ্বস্ত হয়ে থাকে। সৎ কর্মপরায়ণদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উত্থাপন করার কোন সুযোগ নেই, আর আল্লাহ বড়ই ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু। তাইসিরুল
দুর্বল লোকদের উপর কোন পাপ নেই, আর না রুগ্নদের উপর, আর না ঐ সব লোকের উপর যাদের খরচ করার সামর্থ্য নেই। যদি এই সব লোক আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের প্রতি নিষ্ঠা রাখে (এবং আন্তরিকতার সাথে আনুগত্য স্বীকার করে) তাহলে এ সব সৎ লোকের প্রতি কোন প্রকার অভিযোগ নেই। আর আল্লাহ অতিশয় ক্ষমাশীল, পরম করুণাময়। মুজিবুর রহমান
There is not upon the weak or upon the ill or upon those who do not find anything to spend any discomfort when they are sincere to Allah and His Messenger. There is not upon the doers of good any cause [for blame]. And Allah is Forgiving and Merciful. Sahih International
৯১. যারা দুর্বল, যারা পীড়িত এবং যারা অর্থ সাহায্যে অসমৰ্থ, তাদের কোন অপরাধ নেই, যদি আল্লাহ ও তার রাসূলের হিতাকাঙ্ক্ষী হয়(১)। মুহসিনদের বিরুদ্ধে অভিযোগের কোন পথ নেই; আর আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।
(১) এখানে সে সমস্ত নিষ্ঠাবান মুসলিমদের কথা আলোচনা করা হচ্ছে, যারা প্রকৃতই অপরাগতার দরুণ জিহাদে অংশ গ্রহণে অসমর্থ ছিল। এদের মধ্যে কিছু লোক ছিল অন্ধ বা অসুস্থতার কারণে অপারগ এবং যাদের অপরাগতা ছিল একান্ত সুস্পষ্ট। আর কিছু লোক ছিল যারা জিহাদে অংশগ্রহণের জন্য প্রস্তুত ছিল, বরং জিহাদে যাবার জন্য ব্যাকুল হয়েছিল, কিন্তু তাদের কাছে সফর করার জন্য সওয়ারীর কোন জীব ছিল না। বস্তুতঃ সফর ছিল সুদীর্ঘ এবং মওসুমটি ছিল গরমের। তারা নিজেদের জিহাদী উদ্দীপনা এবং সওয়ারীর অভাবে তাতে অংশগ্রহণে অপরাগতার কথা জানিয়ে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট আবেদন করে যে, আমাদের জন্য সওয়ারীর কোন ব্যবস্থা করা হোক। তাফসীরের গ্রন্থসমূহে এ ধরনের একাধিক ঘটনার কথা লেখা হয়েছে। [দেখুন, কুরতুবী; ইবন কাসীর; আত-তাফসীরুস সহীহ]
তবে আয়াতে একটি শর্ত দেয়া হয়েছে যে তাদের আল্লাহ ও তার রাসূলের হিতাকাঙ্খী হতে হবে। এক হাদীসে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এ হিতাকাঙ্খাকেই দ্বীন হিসেবে সাব্যস্ত করেছেন। তিনি বলেছেন, দ্বীন হচ্ছে, নসীহত বা হিতাকাঙ্খা, দ্বীন হচ্ছে, হিতাকাঙ্খা, দ্বীন হচ্ছে, হিতাকাঙ্খা, আমরা বললাম, কার জন্য? তিনি বললেন, আল্লাহর জন্য, তার কিতাবের জন্য, তার রাসূলের জন্য, মুসলিম ইমামদের জন্য এবং সর্বসাধারণের জন্য। [মুসলিম: ৫৫]
তাফসীরে জাকারিয়া(৯১) দুর্বল, পীড়িত এবং অর্থব্যয় করতে যারা অসমর্থ তাদের কোন অপরাধ নেই; যদি তারা আল্লাহ ও তাঁর রসূলের প্রতি হিতাকাঙ্ক্ষী হয়। সৎকর্মপরায়ণদের বিরুদ্ধে অভিযোগের কোন পথ নেই। আর আল্লাহ অতিশয় ক্ষমাশীল, পরম করুণাময়। [1]
[1] এই আয়াতে সেই সব লোকদের কথা উল্লেখ করা হয়েছে, যাদের সত্যিকার ওজর ছিল। আর তাদের সে ওজরও স্পষ্ট ছিল। যেমন, (ক) বৃদ্ধ ও অক্ষম লোক। অন্ধ অথবা খোঁড়া প্রভৃতি লোকরাও এই শ্রেণীর আওতায় এসে পড়ে। কেউ কেউ এদেরকে অসুস্থ লোকদের মধ্যে গণ্য করেছেন। (খ) অসুস্থ ব্যক্তি। (গ) তারা যাদের নিকট জিহাদ করার সরঞ্জাম ছিল না এবং বায়তুল মাল থেকেও তাদের মদদ করা হয়নি। ‘আল্লাহ ও তাঁর রসূলের প্রতি হিতাকাঙ্ক্ষী’ হয় এইভাবে যে, তারা অন্তরে জিহাদের প্রতি ব্যাকুল আগ্রহ ও মুজাহিদদের প্রতি ভালবাসা রাখে, আল্লাহ ও তাঁর রসূলের দুশমনদের প্রতি শত্রুতা পোষণ করে এবং যথাসাধ্য আল্লাহ ও রসূলের আনুগত্য করে। এমন সৎকর্মপরায়ণ ব্যক্তিরা যদি জিহাদে শরীক হতে অপারগ হয়, তাহলে তাদের কোন গোনাহ নেই।
তাফসীরে আহসানুল বায়ান