কুরআনের আয়াতের অনুবাদ/তাফসীর 'টি ইমেইলে পাঠাতে নিচের ফর্মটি পূরণ করুন
security code

৭০ সূরাঃ আল-মা'আরিজ | Al-Ma'arij | سورة المعارج - আয়াত নং - ৪০ - মাক্কী

৭০ : ৪০ فَلَاۤ اُقۡسِمُ بِرَبِّ الۡمَشٰرِقِ وَ الۡمَغٰرِبِ اِنَّا لَقٰدِرُوۡنَ ﴿ۙ۴۰﴾

অতএব, আমি উদয়স্থল ও অস্তাচলসমূহের রবের কসম করছি যে, আমি অবশ্যই সক্ষম! আল-বায়ান

আমি শপথ করছি উদয়স্থানসমূহের ও অস্তাচলসমূহের রবেবর-আমি অবশ্যই সক্ষম, তাইসিরুল

আমি শপথ করছি উদয়াচল ও অস্তাচলের অধিপতির! নিশ্চয়ই আমি সক্ষম – মুজিবুর রহমান

So I swear by the Lord of [all] risings and settings that indeed We are able Sahih International

৪০. অতএব আমি শপথ করছি উদয়াচলসমূহ এবং অস্তাচলসমূহের রবের-অবশ্যই আমরা সক্ষম(১)

(১) এখানে মহান আল্লাহ নিজেই নিজের সত্তার শপথ করেছেন। “উদয়াচলসমূহ ও অস্তাচলসমূহ” এ শব্দ ব্যবহারের কারণ হলো, গোটা বছরের আবর্তন কালে সূর্য প্রতিদিনই একটি নতুন কোণ থেকে উদিত হয় এবং একটি নতুন কোণে অস্ত যায়। তাছাড়াও ভূপৃষ্ঠের বিভিন্ন অংশে সূর্য ভিন্ন ভিন্ন সময়ে ক্রমাগত উদিত ও অস্তমিত হতে থাকে। এ হিসেবে সূর্যের উদয় হওয়ার ও অস্ত যাওয়ার স্থান একটি নয়, অনেক। আরেক হিসেবে উত্তর ও দক্ষিণ দিকের তুলনায় একটি দিক হলো পুর্ব এবং আরেকটি দিক হলো পশ্চিম। তাই কোন কোন আয়াতে مشرق ও مغرب শব্দ একবচন ব্যবহৃত হয়েছে। [সূরা আশ- শু'আরা: ২৮, ও সূরা আল-মুযযাম্মিল: ১৯] আরেক বিচারে পৃথিবীর দুটি উদয়াচল এবং দুটি অস্তাচল আছে। কারণ পৃথিবীর এক গোলার্ধে যখন সূর্য অস্ত যায় তখন অপর গোলার্ধে উদিত হয়। এ কারণে কোন কোন আয়াতে বলা হয়েছে مشرقين ও مغربين [সূরা আর-রাহমান: ১৭] [দেখুন: আদওয়াউল বায়ান]

তাফসীরে জাকারিয়া

(৪০) আমি শপথ করছি উদয়াচল ও অস্তাচল-সমূহের[1] অধিকর্তার! নিশ্চয়ই আমি সক্ষম--

[1] প্রতিদিন সূর্য পূর্বের ভিন্ন ভিন্ন স্থান থেকে উদয় হয় এবং তা পশ্চিমে ভিন্ন ভিন্ন স্থানে অস্ত যায়। এই হিসাবে উদয়াচলও অনেক এবং অস্তাচলও। বিস্তারিত জানার জন্য সূরা ‘সাফফাত’ এর ৫নং আয়াত দ্রষ্টব্য।

তাফসীরে আহসানুল বায়ান