৫০ সূরাঃ কাফ | Qaf | سورة ق - আয়াত নং - ৩২ - মাক্কী
এটাই, যার ওয়াদা তোমাদেরকে দেয়া হয়েছিল। প্রত্যেক আল্লাহ অভিমুখী অধিক সংরক্ষণশীলদের জন্য। আল-বায়ান
(বলা হবে) ‘এ হল তাই যার ও‘য়াদা তোমাদেরকে দেয়া হয়েছিল- প্রত্যেক আল্লাহ অভিমুখী ও (গুনাহ থেকে) খুব বেশি হিফাযাতকারীর জন্য। তাইসিরুল
এরই প্রতিশ্রুতি তোমাদেরকে দেয়া হয়েছিল - প্রত্যেক আল্লাহর অনুরাগী, হিফাযাতকারীর জন্য। মুজিবুর রহমান
[It will be said], "This is what you were promised - for every returner [to Allah] and keeper [of His covenant] Sahih International
৩২. এরই প্ৰতিশ্রুতি তোমাদেরকে দেয়া হয়েছিল—প্রত্যেক আল্লাহ্ অভিমুখী(১), হিফাযতকারীর জন্য—
(১) অর্থাৎ জান্নাতের প্রতিশ্রুতি প্রত্যেক أَوَّابٌ (আউয়াব) এর জন্য রয়েছে। ‘আউয়াব’ এর অর্থ অনুরাগী। এমন ব্যক্তি যে নাফরমানী এবং প্রবৃত্তির আকাংখা চরিতাৰ্থ করার পথ পরিহার করে আনুগত্য এবং আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের পথ অবলম্বন করেছে, যে আল্লাহর পছন্দ নয় এমন প্রতিটি জিনিস পরিত্যাগ করে এবং আল্লাহ যা পছন্দ করে তা গ্ৰহণ করে, বন্দেগীর পথ থেকে পা সামান্য বিচ্যুত হলেই যে বিচলিত বোধ করে এবং তাওবা করে বন্দেগীর পথে ফিরে আসে, যে অধিক মাত্রায় আল্লাহকে স্মরণ করে এবং নিজের সমস্ত ব্যাপারে তার স্মরণাপন্ন হয়। সর্বাবস্থায় আল্লাহ তা'আলার প্রতি অনুরক্ত হয়। মুফাসসেরীনদের অনেকেই বলেছেন, যে ব্যক্তি নির্জনতায় গোনাহ স্মরণ ও ক্ষমা প্রার্থনা করে, সেই ‘আউয়াব’। [দেখুন: ইবন কাসীর, ফাতহুল কাদীর, বাগভী]
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, “যে ব্যক্তি মজলিস থেকে উঠার সময় এই দো'আ পাঠ করে, আল্লাহ তা'আলা তার এই মজলিসেকৃত সব গোনাহ মাফ করে দেন। দো’আ হচ্ছেঃ سُبْحَانَكَ اللَّهُمَّ وَبِحَمْدِكَ، أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ أَنْتَ، أَسْتَغْفِرُكَ وَأَتُوبُ إِلَيْكَ অর্থাৎ হে আল্লাহ! আপনি পবিত্র এবং প্রশংসা আপনারই। আপনি ব্যতীত কোনো হক উপাস্য নেই। আমি আপনার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি এবং তাওবা করছি। [তিরমিযী: ৩৪৩৩, আবু দাউদ: ৪৮৫৮]
তাফসীরে জাকারিয়া(৩২) এরই প্রতিশ্রুতি তোমাদেরকে দেওয়া হয়েছিল; প্রত্যেক (আল্লাহ)-অভিমুখী, (তাঁর হুকুমের) হিফাযতকারীর জন্য। [1]
[1] অর্থাৎ, ঈমানদাররা যখন জান্নাত ও তার নিয়ামতগুলো নিকট হতে দর্শন করবে, তখন তাদেরকে বলা হবে যে, এই সেই জান্নাত যার প্রতিশ্রুতি প্রত্যেক আল্লাহ-অভিমুখী ও তাঁর স্মরণকারীকে দেওয়া হয়েছিল। أَوَّاب খুব বেশী প্রত্যাবর্তনকারী। অর্থাৎ, আল্লাহর দিকে। অত্যধিক তাওবা, ইস্তিগফার এবং তাসবীহ ও যিকরকারী ব্যক্তি। নির্জনে স্বীয় পাপসমূহকে স্মরণ করে আল্লাহর দরবারে মিনতিকারী এবং প্রত্যেক মজলিসে ক্ষমা প্রার্থনাকারী ব্যক্তি। حفيظ নিজের পাপগুলোকে স্মরণ করে তা থেকে তাওবাকারী। অথবা আল্লাহর অধিকার ও তাঁর নিয়ামতসমূহ স্মরণে রাখে এমন ব্যক্তি। কিংবা আল্লাহর আদেশাবলী ও তাঁর নিষেধাবলীকে স্মরণে রাখে এমন ব্যক্তি। (ফাতহুল ক্বাদীর)
তাফসীরে আহসানুল বায়ান