কুরআনের আয়াতের অনুবাদ/তাফসীর 'টি ইমেইলে পাঠাতে নিচের ফর্মটি পূরণ করুন
security code

৪০ সূরাঃ গাফির (আল মু'মিন) | Ghafir | سورة غافر - আয়াত নং - ৭৪ - মাক্কী

৪০ : ৭৪ مِنۡ دُوۡنِ اللّٰهِ ؕ قَالُوۡا ضَلُّوۡا عَنَّا بَلۡ لَّمۡ نَكُنۡ نَّدۡعُوۡا مِنۡ قَبۡلُ شَیۡئًا ؕ كَذٰلِكَ یُضِلُّ اللّٰهُ الۡكٰفِرِیۡنَ ﴿۷۴﴾

আল্লাহ ছাড়া’? তারা বলবে, ‘তারা তো আমাদের কাছ থেকে উধাও হয়ে গেছে’, বরং এর পূর্বে আমরা কোন কিছুকে আহবান করিনি’। এভাবেই আল্লাহ কাফিরদেরকে পথভ্রষ্ট করেন। আল-বায়ান

আল্লাহকে বাদ দিয়ে? (উত্তরে) তারা বলবে- তারা আমাদের কাছ থেকে উধাও হয়ে গেছে। না, আমরা আগে (যার অস্তিত্ব আছে এমন) কোন কিছুকেই ডাকিনি। এভাবে আল্লাহ কাফিরদেরকে পথভ্রষ্ট হওয়ার সুযোগ দেন। তাইসিরুল

আল্লাহ ব্যতীত? তারা বলবেঃ তারাতো আমাদের নিকট হতে অদৃশ্য হয়েছে, বস্তুতঃ পূর্বে আমরা এমন কিছুকেই আহবান করিনি। এভাবে আল্লাহ কাফিরদের বিভ্রান্ত করেন। মুজিবুর রহমান

Other than Allah?" They will say, "They have departed from us; rather, we did not used to invoke previously anything." Thus does Allah put astray the disbelievers. Sahih International

৭৪. আল্লাহ ছাড়া? তারা বলবে, তারা তো আমাদের কাছ থেকে উধাও হয়েছে(১); বরং আগে আমরা কোন কিছুকে ডাকিনি। এভাবে আল্লাহ্ কাফিরদেরকে বিভ্রান্ত করেন।

(১) অর্থাৎ জাহান্নামে পৌঁছে মুশরিকরা বলবে, আমাদের উপাস্য প্রতিমা ও শয়তান আজ উধাও হয়ে গেছে। অর্থাৎ আমাদের দৃষ্টিগোচর হচ্ছে না, যদিও তারা জাহান্নামের কোন কোণে পড়ে আছে। তারাও যে জাহান্নামেই থাকবে, এ সম্পর্কে অন্য এক আয়াতে বলা হয়েছেঃ (إِنَّكُمْ وَمَا تَعْبُدُونَ مِنْ دُونِ اللَّهِ حَصَبُ جَهَنَّمَ أَنْتُمْ لَهَا وَارِدُونَ) [সূরা আল-আম্বিয়াঃ ৯৮]।

তাফসীরে জাকারিয়া

(৭৪) আল্লাহকে ছেড়ে?’[1] ওরা বলবে, ‘ওরা তো আমাদের নিকট থেকে অদৃশ্য হয়েছে;[2] বরং পূর্বে আমরা এমন কিছুকে আহবান করিনি, যার কোন সত্তা ছিল।’[3] এভাবে আল্লাহ অবিশ্বাসীদেরকে বিভ্রান্ত করে থাকেন। [4]

[1] তারা কি আজ তোমাদের সাহায্য করতে পারবে?

[2] অর্থাৎ, জানি না তারা কোথায় চলে গেছে, তারা আমাদের সাহায্য আর কি করবে?

[3] ভুল স্বীকার করার পর তাদের ইবাদত করার কথাই অস্বীকার করবে। যেমন, অন্যত্র বলেছেন, وَاللَه رَبِّنَا مَا كُنَّا مُشْرِكِينَ অর্থাৎ, (তারা বলবে) আল্লাহর শপথ! আমরা তো কাউকেও শরীক করতাম না। (সূরা আনআম ২৩ আয়াত) বলা হয়েছে যে, এটা মূর্তিগুলোর অস্তিত্ব ও তাদের ইবাদতের অস্বীকৃতি নয়, বরং এ হল এই কথার স্বীকারোক্তি যে, তাদের ইবাদত বাতিল ছিল। কারণ, সেখানে তাদের কাছে এ কথা পরিষ্কার হয়ে যাবে যে, তারা এমন জিনিসের ইবাদত করত, যারা না শুনতে পারে, না দেখতে পারে এবং না উপকার করতে পারে, না অপকার। (ফাতহুল ক্বাদীর) আর দ্বিতীয় অর্থও পরিষ্কার। আর তা হল, তারা শিরক করার কথা একেবারে অস্বীকার করবে।

[4] অর্থাৎ, এই মিথ্যাজ্ঞানকারীদের মত মহান আল্লাহ কাফেদেরকেও বিভ্রান্ত করেন। অর্থাৎ, অব্যাহতভাবে মিথ্যা ভাবতে থাকা ও কুফরী করা এমন জিনিস যে, তার দ্বারা মানুষের অন্তর কালো হয়ে যায় এবং তাতে জং ধরে যায়। অতঃপর তারা সত্য গ্রহণ করার তাওফীক লাভ করা থেকে চিরতরে বঞ্চিত হয়ে যায়।

তাফসীরে আহসানুল বায়ান