কুরআনের আয়াতের অনুবাদ/তাফসীর 'টি ইমেইলে পাঠাতে নিচের ফর্মটি পূরণ করুন
security code

৪০ সূরাঃ গাফির (আল মু'মিন) | Ghafir | سورة غافر - আয়াত নং - ১৬ - মাক্কী

৪০ : ১৬ یَوۡمَ هُمۡ بٰرِزُوۡنَ ۬ۚ لَا یَخۡفٰی عَلَی اللّٰهِ مِنۡهُمۡ شَیۡءٌ ؕ لِمَنِ الۡمُلۡكُ الۡیَوۡمَ ؕ لِلّٰهِ الۡوَاحِدِ الۡقَهَّارِ ﴿۱۶﴾

যে দিন লোকেরা প্রকাশ হয়ে পড়বে। সে দিন আল্লাহর নিকট তাদের কিছুই গোপন থাকবে না। ‘আজ রাজত্ব কার’? প্রবল প্রতাপশালী এক আল্লাহর। আল-বায়ান

মানুষ যেদিন (ক্ববর থেকে) বের হয়ে আসবে, আল্লাহর কাছে তাদের কোন কিছুই গোপন থাকবে না। (সেদিন ঘোষণা দেয়া হবে) আজ একচ্ছত্র কর্তৃত্ব কার? (উত্তর আসবে) এক ও একক মহাপরাক্রমশালী আল্লাহর। তাইসিরুল

যেদিন মানুষ বের হয়ে পড়বে। সেদিন আল্লাহর নিকট তাদের কিছুই গোপন থাকবেনা। ঐ দিন কর্তৃত্ব কার? এক, পরাক্রমশালী আল্লাহরই। মুজিবুর রহমান

The Day they come forth nothing concerning them will be concealed from Allah. To whom belongs [all] sovereignty this Day? To Allah, the One, the Prevailing. Sahih International

১৬. যেদিন তারা (লোকসকল) প্রকাশিত হবে সেদিন আল্লাহ্‌র কাছে তাদের কিছুই গোপন থাকবে না। আজ কর্তৃত্ব কার? আল্লাহরই, যিনি এক, প্রবল প্ৰতাপশালী।(১)

(১) উল্লেখিত আয়াতসমূহে এ বাক্যটি (يَوْمَ التَّلَاقِ) ও (يَوْمَ هُمْ بَارِزُونَ) এর পরে এসেছে। বলাবাহুল্য, (يَوْمَ التَّلَاقِ) তথা সাক্ষাত ও সমাবেশের দিন দ্বিতীয় ফুঁকের পরে হবে। এমনিভাবে (يَوْمَ هُمْ بَارِزُونَ) এর ঘটনাও তখন হবে, যখন দ্বিতীয় ফুৎকারের পরে নতুন ভূপৃষ্ঠ সমতল করে দেয়া হবে, যাতে কোন আড়াল থাকবে না। এরপরে (لِمَنِ الْمُلْكُ) বাক্যটি আনার কারণে বাহ্যত: বোঝা যায় যে, আল্লাহ তা'আলার এ বাণী দ্বিতীয় ফুকের মাধ্যমে সবকিছু পুনরুজ্জীবিত হওয়ার পরে বাস্তবায়িত হবে। কিন্তু একটি হাদীসে এসেছে “কিয়ামতের প্রারম্ভে আহবানকারী আহবান করে বলবেনঃ হে লোক সকল! তোমাদের কিয়ামত এসেছে, তখন জীবিত মৃত সবাই শুনতে পাবে। আর আল্লাহ প্রথম আসমানে নেমে এসে বললেনঃ আজকের দিনে কার রাজত্ব? একমাত্র পরাক্রম আল্লাহর জন্যই। [মুস্তাদরাকে হাকিম: ২/৪৭৫, ৩৬৩৭]

তাছাড়া অন্য বর্ণনা থেকে জানা যায় যে, আল্লাহ তা’আলা এ উক্তি তখন করবেন, যখন প্রথম ফুকের পর সমগ্র সৃষ্টি ধ্বংস হয়ে যাবে। এবং জিবরীল, মীকাইল, ইস্রাফীল, প্রমূখ নৈকট্যশীল ফেরেশতাগণও মারা যাবে এবং আল্লাহর সত্ত্বা ব্যতীত কোন কিছুই অবশিষ্ট থাকবে না। আল্লাহ বলবেন, আজকের দিন রাজত্ব কার? আল্লাহ নিজেই জওয়াব দেবেন: প্ৰবল পরাক্রান্ত এক আল্লাহর!” হাদীস থেকে এর সমর্থন পাওয়া যায়। ‘কেয়ামতের দিন আল্লাহ তা’আলা সমগ্ৰ পৃথিবী এবং সমগ্র আসমানসমূহকে হাতে গুটিয়ে বলবেন: আমিই বাদশাহ! আমিই পরাক্রমশালী, আমি অহংকারী, দুনিয়ার বাদশারা কোথায়? কোথায় পরাক্রমশালীরা? কোথায় অহংকারকারীরা? [বুখারী: ৭৪১২; মুসলিম: ২৭৮৮]

তাফসীরে জাকারিয়া

(১৬) যেদিন মানুষ বের হয়ে পড়বে[1] সেদিন আল্লাহর নিকট ওদের কিছুই গোপন থাকবে না। (বলা হবে,) আজ কর্তৃত্ব কার?[2] এক, পরাক্রমশালী আল্লাহরই। [3]

[1] অর্থাৎ, জীবিত হয়ে কবরসমূহ থেকে বের হয়ে দন্ডায়মান হবে।

[2] এ কথা কিয়ামতের দিন মহান আল্লাহ জিজ্ঞাসা করবেন, যখন সমস্ত মানুষ হাশরের ময়দানে তাঁর সামনে একত্রিত হবে। ‘‘আল্লাহ তাআলা পৃথিবীকে তাঁর মুষ্ঠির মধ্যে এবং আকাশমন্ডলীকে তাঁর ডান হাতে গুটিয়ে নিয়ে বলবেন, ‘আমিই বাদশাহ। পৃথিবীর বাদশাহরা আজ কোথায়?’’ (সহীহ বুখারী, তাফসীর সূরা যুমার)

[3] যখন কেউ কিছুই বলবে না, তখন এই উত্তর আল্লাহ তাআলা নিজেই দেবেন। কেউ কেউ বলেন, আল্লাহ তাআলার নির্দেশে একজন ফিরিশতা ঘোষণা দেবেন এবং তাঁর সাথে সাথে সমস্ত কাফের ও মুসলিম সম্মিলিত কণ্ঠে এই উত্তরই দেবে। (ফাতহুল ক্বাদীর)

তাফসীরে আহসানুল বায়ান