কুরআনের আয়াতের অনুবাদ/তাফসীর 'টি ইমেইলে পাঠাতে নিচের ফর্মটি পূরণ করুন
security code

২৯ সূরাঃ আল-আনকাবূত | Al-Ankabut | سورة العنكبوت - আয়াত নং - ২৬ - মাক্কী

২৯ : ২৬ فَاٰمَنَ لَهٗ لُوۡطٌ ۘ وَ قَالَ اِنِّیۡ مُهَاجِرٌ اِلٰی رَبِّیۡ ؕ اِنَّهٗ هُوَ الۡعَزِیۡزُ الۡحَكِیۡمُ ﴿۲۶﴾

অতঃপর লূত তার উপর বিশ্বাস স্থাপন করল। আর ইবরাহীম বলল, ‘আমি আমার রবের দিকে হিজরত করছি। নিশ্চয় তিনি মহাপরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়’। আল-বায়ান

অতঃপর লূত তার (অর্থাৎ ইবরাহীমের) প্রতি ঈমান এনেছিল। ইবরাহীম বলল- আমি আমার পালনকর্তার উদ্দেশ্যে দেশ ত্যাগ করছি, তিনি মহাপরাক্রান্ত, বড়ই হিকমতওয়ালা। তাইসিরুল

লূত তার প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করল। (ইবরাহীম) বললঃ আমি আমার রবের উদ্দেশ্যে দেশ ত্যাগ করছি। তিনিতো পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়। মুজিবুর রহমান

And Lot believed him. [Abraham] said, "Indeed, I will emigrate to [the service of] my Lord. Indeed, He is the Exalted in Might, the Wise." Sahih International

২৬. অতঃপর লুত তার প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করলেন। আর ইবরাহীম বললেন, আমি আমার রবের উদ্দেশ্যে হিজরত করছি।(১) নিশ্চয় তিনি পরাক্রমশালী, প্ৰজ্ঞাময়।

(১) লুত আলাইহিস সালাম ছিলেন ইবরাহীম আলাইহিস সালাম-এর মু'জিযা দেখে সর্বপ্রথম যিনি মুসলিম হন। তিনি এবং তার পত্নী সারা, যিনি চাচাত বোন ও মুসলিম ছিলেন, দেশত্যাগের সময় তারা ইবরাহীম আলাইহিস সালাম-এর সঙ্গী হন। ইবরাহীম আলাইহিস সালাম বললেন, আমি আমার পালনকর্তার উদ্দেশ্যে দেশ-ত্যাগ করছি। উদ্দেশ্য এই যে, এমন কোন জায়গায় যাব, যেখানে পালনকর্তার ইবাদাতে কোন বাধা নেই। ইবরাহীম নখায়ী ও কাতাদাহ বলেন, (إِنِّي مُهَاجِرٌ) ইবরাহীমের উক্তি। কেননা, এর পরবর্তী বাক্য (وَوَهَبْنَا لَهُ إِسْحَاقَ وَيَعْقُوبَ) নিশ্চিতরূপে তারই অবস্থা। কোন কোন তফসীরকার (إِنِّي مُهَاجِرٌ) কে লুত আলাইহিস সালাম-এর উক্তি প্রতিপন্ন করেছেন। [ইবন কাসীর; ফাতহুল কাদীর] কিন্তু পূর্বাপর বর্ণনাদৃষ্ট প্রথম তফসীরই উপযুক্ত। লুত আলাইহিস সালামও এই হিজরতে শরীক ছিলেন, কিন্তু ইবরাহীম আলাইহিস সালাম এর অধীন হওয়ার কারণে যেমন সারার কথা উল্লেখ করা হয়নি, তেমনি লুত আলাইহিস সালাম-এর হিজরতের কথাও স্বতন্ত্রভাবে উল্লেখ করা হয়নি।

তাফসীরে জাকারিয়া

(২৬) লূত তার প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করল।[1] (ইব্রাহীম) বলল, ‘আমি আমার প্রতিপালকের উদ্দেশ্যে দেশত্যাগ করব।[2] নিশ্চয়ই তিনি পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়।’

[1] লূত (আঃ) ইবরাহীম (আঃ)-এর ভাইপো (ভাতিজা) ছিলেন। তিনি ইবরাহীম (আঃ)-এর প্রতি ঈমান আনেন এবং পরবর্তীতে তাঁকেও ‘সাদূম’ এলাকায় নবী হিসাবে প্রেরণ করা হয়।

[2] এ কথা ইবরাহীম (আঃ) বলেছিলেন। আবার কেউ বলেন, এটি লূত (আঃ)-এর কথা। কারো কারো মতে তাঁরা উভয়েই হিজরত করেছিলেন। অর্থাৎ, যখন ইবরাহীম (আঃ) ও তাঁর প্রতি ঈমান আনয়নকারী লূত (আঃ)-এর জন্য নিজ এলাকা (হার্রান যাওয়ার পথে কুফার একটি জনপদ ‘কূসা’য় আল্লাহর ইবাদত করা কঠিন হয়ে পড়ল, তখন সেখান থেকে হিজরত করে শাম দেশে চলে গেলেন। তৃতীয় ব্যক্তি তাঁর স্ত্রী সারাহ সঙ্গে ছিলেন।

তাফসীরে আহসানুল বায়ান