কুরআনের আয়াতের অনুবাদ/তাফসীর 'টি ইমেইলে পাঠাতে নিচের ফর্মটি পূরণ করুন
security code

১০ সূরাঃ ইউনুস | Yunus | سورة يونس - আয়াত নং - ৭২ - মাক্কী

১০ : ৭২ فَاِنۡ تَوَلَّیۡتُمۡ فَمَا سَاَلۡتُكُمۡ مِّنۡ اَجۡرٍ ؕ اِنۡ اَجۡرِیَ اِلَّا عَلَی اللّٰهِ ۙوَ اُمِرۡتُ اَنۡ اَكُوۡنَ مِنَ الۡمُسۡلِمِیۡنَ ﴿۷۲﴾

‘অতঃপর তোমরা যদি বিমুখ হও, তবে আমি তোমাদের কাছে কোন প্রতিদান চাই না। আমার প্রতিদান তো কেবল আল্লাহর দায়িত্বে। আর আমি আদিষ্ট হয়েছি মুসলিমদের অন্তর্ভুক্ত হওয়ার’। আল-বায়ান

আর যদি তোমরা (আমার আহবান থেকে) মুখ ফিরিয়ে নাও (তাতে আমার কোন ক্ষতি হবে না), আমি তো তোমাদের কাছে কোন পারিশ্রমিক চাচ্ছি না, আমার পারিশ্রমিক আছে কেবল আল্লাহরই নিকট, আমাকে আত্মসমর্পণকারীদের মধ্যে শামিল হওয়ারই আদেশ দেয়া হয়েছে। তাইসিরুল

অতঃপর যদি তোমরা পরোম্মুখই থাক তাহলে আমিতো তোমাদের কাছে কোন পারিশ্রমিক চাইনা, আমার পারিশ্রমিকতো শুধু আল্লাহরই যিম্মায় রয়েছে। আর আমাকে হুকুম করা হয়েছে, আমি যেন মুসলিমদের অন্তর্ভুক্ত থাকি। মুজিবুর রহমান

And if you turn away [from my advice] then no payment have I asked of you. My reward is only from Allah, and I have been commanded to be of the Muslims." Sahih International

৭২. অতঃপর যদি তোমরা মুখ ফিরিয়ে নাও তবে তোমাদের কাছে আমি তো কোন পারিশ্রমিক চাইনি, আমার পারিশ্রমিক আছে তো কেবল আল্লাহ্‌র কাছে, আর আমি মুসলিমদের অন্তর্ভুক্ত হতে আদেশপ্রাপ্ত হয়েছি।(১)

(১) অর্থাৎ আমাকে যে ইসলামের আনুগত্য করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে তার আনুগত্য আমি করছি। এর দ্বারা বুঝা যাচ্ছে যে, ইসলাম সমস্ত নবী-রাসূলদের দ্বীন। তাদের শরীআত বিভিন্ন ছিল কিন্তু দ্বীন একই ছিল। নূহ আলাইহিস সালামের দ্বীন যে ইসলাম ছিল তা এ আয়াতে তার কথা থেকে আমরা তা জানতে পারলাম। অনুরূপভাবে ইবরাহীম আলাইহিস সালামও ঘোষণা দিয়েছিলেন যে, “আমি রাব্বুল আলামীনের জন্য আত্মসমৰ্পন তথা ইসলাম গ্রহণ করেছি। [সূরা আল-বাকারাহঃ ১৩১] তাছাড়া ইয়াকুব আলাইহিস সালামও তার দ্বীনকে ইসলাম বলে ঘোষণা করেছিলেন। [দেখুন সূরা আল-বাকারাহঃ ১৩২] আর ইউসুফ ও মূসা আলাইহিমাস সালামও সেটা ঘোষণা করেছিলেন। [দেখুন, সূরা ইউসুফঃ ১০১, সূরা ইউনুসঃ ৮৪] বরং মূসা আলাইহিস সালামের উপর ঈমান গ্রহণকারী জাদুকরগণ, রাণী বিলকিস, ঈসা আলাইহিস সালামের হাওয়ারীগণ এরা সবাই তাদের দ্বীনকে ইসলাম বলে জানিয়েছেন। [দেখুনঃ সূরা আল-আরাফঃ ১২৬, সূরা আন-নামলঃ ৪৪, সূরা আল-মায়েদাহঃ ৪৪, ১১১]

এমনকি মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকেও আল্লাহ তা'আলা এ দ্বীনের অনুসারী হওয়ার নির্দেশ দিয়ে বলেছেনঃ “বলুন, আমার সালাত, আমার ইবাদাত, আমার জীবন ও আমার মরণ জগতসমূহের রব আল্লাহরই উদ্দেশ্যে। তার কোন শরীক নেই এবং আমি এরই জন্য আদেশপ্রাপ্ত হয়েছি এবং আমিই প্রথম মুসলিম।” [সূরা আল-আনআমঃ ১৬২, ১৬৩] রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ আমরা নবীগোষ্ঠি বৈমাত্রেয় ভাই, আমাদের দ্বীন একই’। [বুখারীঃ ৩৪৪৩, মুসলিমঃ ২৩৬৫]

তাফসীরে জাকারিয়া

(৭২) অতঃপর যদি তোমরা মুখ ফিরিয়ে নাও, তাহলে আমি তো তোমাদের কাছে কোন পারিশ্রমিক চাই না।[1] আমার পারিশ্রমিক তো শুধু আল্লাহরই যিম্মায় রয়েছে। আর আমাকে হুকুম করা হয়েছে যে, আমি যেন আত্মসমর্পণকারী (মুসলিম)দের অন্তর্ভুক্ত থাকি।’ [2]

[1] (আমি তো তোমাদের কাছে কোন পারিশ্রমিক চাই না) যে, তার কারণে তোমরা এই অপবাদ দিতে পারবে যে, নবুওয়াতের দাবীদার হয়ে আমার উদ্দেশ্য ধন-সম্পদ অর্জন করা।

[2] নূহ (আঃ)-এর এই কথা দ্বারাও জানা গেল যে, সকল আম্বিয়াগণের দ্বীন ইসলামই ছিল। যদিও শরীয়তের নিয়ম-নীতি ভিন্ন ও তরীকা বিভিন্ন ছিল। যেমন (لِكُلٍّ جَعَلْنَا مِنْكُمْ شِرْعَةً وَمِنْهَاجا) المائدة-৪৮ দ্বারা বুঝা যায়। কিন্তু সকলের দ্বীন ছিল ইসলাম। দেখুনঃ সূরা নামল ৪৪, ৯১, সূরা বাক্বারাহ ১৩১-১৩২, সূরা ইউসুফ ১০১, সূরা ইউনুস ৮৪, সূরা আ’রাফ ১২৬, সূরা মাইদাহ ৪৮, ১১১ এবং সূরা আনআম ১৬২-১৬৩নং আয়াত।

তাফসীরে আহসানুল বায়ান