পরিচ্ছেদঃ যে কারণে এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে
১৪৩৫. আবূ হুরাইরা ও আবূ সাঈদ খুদরী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুমা থেকে বর্ণিত, তারা বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “যে ব্যক্তি ওযূ করবে, সে যেন নাক ঝাড়ে, আর যে ব্যক্তি ঢিলা-কুলূখ করবে, সে যেন বেজোড় সংখ্যায় ঢিলা-কুলূখ নেয়।”[1]
আবূ হাতিম ইবনু হিব্বান রহিমাহুল্লাহ বলেন, “الِاسْتِنْثَارُ হলো নাক থেকে পানি বের করা।الِاسْتِنْشَاقُ হলো নাকে পানি প্রবেশ করানো। কাজেই রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের বক্তব্য “যে ব্যক্তি ওযূ করবে, সে যেন নাক ঝাড়ে” এর দ্বারা উদ্দেশ্য হলো সে যেন নাকে পানি প্রবেশ করায়। কাজেই প্রথম কাজ অর্থাৎ নাকে পানি দেওয়া, সেটার স্থলে শেষ কাজ অর্থাৎ নাক ঝাড়াকে ব্যবহার করা হয়েছে। কেননা আগে নাকে পানি না দিলে নাক থেকে পানি বের করার কাজ হতে পারে না।
আর الِاسْتِجْمَارُ হলো পবিত্রতা অর্জন করা। অর্থাৎ পেশাব পায়খানার রাস্তা থেকে নাপাকি দূর করা।”
ذكر العلة التي من أجلها أمر بهذا الأمر
1435 - أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْحَسَنِ بْنِ قُتَيْبَةَ حَدَّثَنَا حَرْمَلَةُ بْنُ يَحْيَى حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ حَدَّثَنَا يُونُسُ عَنِ ابْنِ شِهَابٍ أَخْبَرَنِي أَبُو إِدْرِيسَ الْخَوْلَانِيُّ أَنَّهُ سَمِعَ أَبَا هُرَيْرَةَ وَأَبَا سَعِيدٍ الْخُدْرِيَّ يَقُولَانِ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: (مَنْ تَوَضَّأَ فَلْيَسْتَنْثِرْ وَمَنِ اسْتَجْمَرَ فليوتر)
الراوي : أَبُو هُرَيْرَةَ وَ أَبُو سَعِيدٍ الْخُدْرِيّ | المحدث : العلامة ناصر الدين الألباني | المصدر : التعليقات الحسان على صحيح ابن حبان
الصفحة أو الرقم: 1435 | خلاصة حكم المحدث: صحيح.
قَالَ أَبُو حَاتِمٍ: الِاسْتِنْثَارُ: هُوَ إِخْرَاجُ الْمَاءِ مِنَ الْأَنْفِ وَالِاسْتِنْشَاقُ: إِدْخَالُهُ فِيهِ فَقَوْلُهُ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: (مَنْ تَوَضَّأَ فَلْيَسْتَنْثِرْ) أَرَادَ: فَلْيَسْتَنْشِقْ فَأَوْقَعَ اسْمَ الْبِدَايَةِ الَّذِي هُوَ الِاسْتِنْشَاقُ عَلَى النِّهَايَةِ الَّذِي هُوَ الِاسْتِنْثَارُ لِأَنَّهُ لَا يُوجَدُ الِاسْتِنْثَارُ إِلَّا بِتَقَدُّمِ الِاسْتِنْشَاقِ لَهُ.
وَالِاسْتِجْمَارُ: هُوَ الِاسْتِطَابَةُ وَهُوَ إِزَالَةُ النَّجَاسَةِ عَنِ الْمَخْرَجَيْنِ.
আল্লামা শুআইব আল আরনাঊত রহিমাহুল্লাহ হাদীসটিকে মুসলিমের শর্তে সহীহ বলেছেন। আল্লামা নাসিরুদ্দিন আলবানী রহিমাহুল্লাহ হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন। (সহীহ আবূ দাঊদ: ১২৮।)