পরিচ্ছেদঃ সুমামাকে বন্দি হওয়ার সময় খুটির সাথে বেধে রাখা হয়েছিল এই মর্মে বর্ণনা
১২৩৬. আবূ হুরাইরা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নাজদ এলাকার দিকে একটি অশ্বারোহী দল প্রেরণ করেন। তারা ইমামার অধিবাসী বানী হানিফ গোত্রের এক নেতা সুমামা বিন উসাল নামক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে নিয়ে আসেন। অতঃপর তারা তাকে মসজিদের এক খুটির সাথে বেধে রাখেন। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তার কাছে যান এবং বলেন, “হে সুমামা তোমার কী খবর?” জবাবে তিনি বলেন, “হে মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম), আমার কাছে ভালো খবরই আছে। যদি আপনি হত্যা করেন, তবে আপনি এমন একজনকে হত্যা করবেন, যে অন্যকে হত্যা করেছে, যদি আপনি অনুগ্রহ করেন, তাহলে আপনি একজন কৃতজ্ঞ ব্যক্তির উপর অনুগ্রহ করবেন আর যদি আপনি সম্পদ পেতে চান, তবে আপনি চান, আপনি যা চাইবেন তা প্রদান করা হবে।” রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাকে সেভাবেই রেখে যান, এভাবে পরদিন হলো। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাকে আবারো বলেন, “হে সুমামা তোমার কী খবর?” জবাবে তিনি বলেন, “খবর সেটাই, যা আমি আপনাকে আগেই বলেছি। যদি আপনি অনুগ্রহ করেন, তাহলে আপনি একজন কৃতজ্ঞ ব্যক্তির উপর অনুগ্রহ করবেন, যদি আপনি হত্যা করেন, তবে আপনি এমন একজনকে হত্যা করবেন, যে অন্যকে হত্যা করেছে, আর যদি আপনি সম্পদ পেতে চান, তবে আপনি চান, আপনি যা চাইবেন তা প্রদান করা হবে।” রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাকে সেভাবেই রেখে যান, এভাবে পরদিন হলো।
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাকে আবারো বলেন, “হে সুমামা তোমার কী খবর?” জবাবে তিনি বলেন, “খবর সেটাই, যা আমি আপনাকে আগেই বলেছি। যদি আপনি অনুগ্রহ করেন, তাহলে আপনি একজন কৃতজ্ঞ ব্যক্তির উপর অনুগ্রহ করবেন, যদি আপনি হত্যা করেন, তবে আপনি এমন একজনকে হত্যা করবেন, যে অন্যকে হত্যা করেছে, আর যদি আপনি সম্পদ পেতে চান, তবে আপনি চান, আপনি যা চাইবেন তা প্রদান করা হবে।” রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, “তোমরা সুমামাকে ছেড়ে দাও।” অতঃপর তিনি মসজিদের নিকটে একটি খেজুর বাগানে যান, অতঃপর গোসল করেন তারপর মসজিদে প্রবেশ করেন অতঃপর বলেন, أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَأَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ (আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ছাড়া প্রকৃত কোন মা‘বূদ নেই, এবং নিশ্চয়ই মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আল্লাহর রাসূল।), হে মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, আল্লাহর কসম! আমার কাছে এই পৃথিবীতে আপনার চেহারার চেয়ে ঘৃণিত আর কোন চেহারা ছিল না আর এখন আপনার চেহারা আমার নিকট সর্বাধিক প্রিয় চেহারায় পরিণত হয়েছে! হে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, আল্লাহর কসম! আমার কাছে এই পৃথিবীতে আপনার দ্বীনের চেয়ে ঘৃণিত আর কোন দ্বীন ছিল না আর এখন আপনার দ্বীন আমার নিকট সর্বাধিক প্রিয় দ্বীনে পরিণত হয়েছে! আল্লাহর কসম! আমার কাছে এই পৃথিবীতে আপনার শহরের চেয়ে ঘৃণিত আর কোন শহর ছিল না আর এখন আপনার শহর আমার নিকট সর্বাধিক প্রিয় শহরে পরিণত হয়েছে! আপনার অশ্বারোহী বাহিনী আমাকে গ্রেফতার করে নিয়ে এসেছে, আর আমি এখন উমরাহ করতে চাই, এই ব্যাপারে আপনার অভিমত কী?” রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাকে শুভ সংবাদ জানালেন এবং তাকে উমরাহ করার নির্দেশ দেন। অতঃপর যখন তিনি মক্কায় গমন করেন, তখন একজন ব্যক্তি তাকে বললো, “তুমি বেদ্বীন হয়েছো?” জবাবে তিনি বলেন, “না, বরং আমি মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর সাথে ইসলাম গ্রহণ করেছি। কাজেই আল্লাহর কসম করে বলছি, তোমাদের কাছে গমের একটি দানাও আসবে না, যতক্ষন না তাতে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অনুমতি দেন।”[1]
আবূ হাতিম ইবনু হিব্বান রহিমাহুল্লাহ বলেন, “এই হাদীসে এই ব্যাপারে দলীল রয়েছে যে, আল্লাহভীরু ব্যক্তিদের জন্য যুদ্ধরত কাফেরদের সাথে বানিজ্য করা বৈধ।”
ذِكْرُ الْبَيَانِ بِأَنَّ ثُمَامَةَ رُبِطَ إِلَى سَارِيَةٍ فِي وَقْتِ أَسْرِهِ
1236 - أَخْبَرَنَا عُمَرُ بْنُ مُحَمَّدٍ الْهَمْدَانِيُّ قَالَ: حَدَّثَنَا عِيسَى بْنُ حَمَّادٍ قَالَ: أَخْبَرَنَا اللَّيْثُ عَنِ سَعِيدٍ الْمَقْبُرِيِّ أَنَّهُ سَمِعَ أَبَا هُرَيْرَةَ يَقُولُ: بَعَثَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خَيْلًا قِبَلَ نَجْدٍ فَجَاءَتْ بِرَجُلٍ مِنْ بَنِي حَنِيفَةَ يُقَالُ لَهُ: ثُمَامَةُ بْنُ أُثَالٍ سَيِّدُ أَهْلِ الْيَمَامَةِ فَرَبَطُوهُ بِسَارِيَةٍ مِنْ سَوَارِي الْمَسْجِدِ فَخَرَجَ إِلَيْهِ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: (مَا عِنْدَكَ يَا ثُمَامَةُ)؟ قَالَ: عِنْدِي يَا مُحَمَّدُ خَيْرٌ إِنْ تَقْتُلْنِي تَقْتُلْ ذَا دَمٍ وَإِنْ تُنْعِم تُنْعِم عَلَى شَاكِرٍ وَإِنْ كُنْتَ تُرِيدُ الْمَالَ فَسَلْ تُعْطَ مِنْهُ مَا شِئْتَ فَتَرَكَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَتَّى كَانَ الْغَدُ ثُمَّ قَالَ لَهُ: (مَا عِنْدَكَ يَا ثُمَامَةُ)؟ قَالَ: مَا قُلْتُ لَكَ: إِنْ تُنْعِمْ تُنْعِمْ عَلَى شَاكِرٍ وَإِنْ تَقْتُلْ تَقْتُلْ ذَا دَمٍ وَإِنْ كُنْتَ تُرِيدُ الْمَالَ فَسَلْ تُعْطَ مِنْهُ مَا شِئْتَ فَتَرَكَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَتَّى كَانَ بَعْدَ الْغَدِ فَقَالَ لَهُ: (مَا عِنْدَكَ يَا ثُمَامَةُ)؟ فَقَالَ: عِنْدِي مَا قُلْتُ لَكَ إِنْ تُنْعِمْ تُنْعِمْ عَلَى شَاكِرٍ وَإِنْ تَقْتُلْ تَقْتُلْ ذَا دَمٍ وَإِنْ كُنْتَ تُرِيدُ الْمَالَ فَسَلْ تُعْطَ مِنْهُ مَا شِئْتَ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ:
(أَطْلِقُوا ثُمَامَةَ) فَانْطَلَقَ إِلَى نَخْلٍ قَرِيبٍ مِنَ الْمَسْجِدِ فَاغْتَسَلَ ثُمَّ دَخَلَ الْمَسْجِدَ فَقَالَ: أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَأَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ يَا مُحَمَّدُ وَاللَّهِ مَا كَانَ عَلَى الْأَرْضِ وَجْهٌ أَبْغَضَ إِلَيَّ مِنْ وَجْهِكَ فَقَدْ أَصْبَحَ وَجْهُكَ أَحَبَّ الْوُجُوهِ كُلِّهَا إِلَيَّ وَاللَّهِ مَا كَانَ مِنْ دِينٍ أَبْغَضَ إِلَيَّ مِنْ دِينِكَ فَقَدْ أَصْبَحَ دِينَكَ أَحَبَّ الدِّينِ كُلِّهِ إِلَيَّ وَاللَّهِ مَا كَانَ بَلَدٌ أَبْغَضَ إِلَيَّ مِنْ بَلَدِكَ فَقَدَ أَصْبَحَ بَلَدُكَ أَحَبَّ الْبِلَادِ إِلَيَّ وَإِنَّ خَيْلَكَ أَخَذَتْنِي وَأَنَا أُرِيدُ الْعُمْرَةَ فَمَاذَا تَرَى؟ فَبَشَّرَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَمَرَهُ أَنْ يَعْتَمِرَ فَلَمَّا قَدِمَ مَكَّةَ قَالَ لَهُ قَائِلٌ: صَبَوْتَ؟ قَالَ: لَا وَلَكِنْ أَسْلَمْتُ مَعَ مُحَمَّدٍ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَلَا وَاللَّهِ لَا تَأْتِيكُمْ مِنَ الْيَمَامَةِ حَبَّةُ حِنْطَةٍ حَتَّى يَأْذَنَ فِيهَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ.
الراوي : أَبُو هُرَيْرَةَ | المحدث : العلامة ناصر الدين الألباني | المصدر : التعليقات الحسان على صحيح ابن حبان
الصفحة أو الرقم: 1236 | خلاصة حكم المحدث: صحيح.
قَالَ أَبُو حَاتِمٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ: فِي هَذَا الْخَبَرِ دَلِيلٌ عَلَى إِبَاحَةِ التِّجَارَةِ إِلَى دُورِ الْحَرْبِ لِأَهْلِ الْوَرَعِ.
হাদীসটিকে আল্লামা শুআইব আল আরনাঊত রাহিমাহুল্লাহ হাদীসটিকে বুখারী ও মুসলিমের শর্তে সহীহ বলেছেন। আল্লামা নাসিরুদ্দিন রহিমাহুল্লাহ হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন। (ইরওয়াউল গালীল: ১/১৬৪।)