পরিচ্ছেদঃ পরিপূর্ণভাবে ওযূ করার নিয়ত করার সাথে সাথে হাতের আঙ্গুলসমূহের মাঝে খেলাল করার নির্দেশ
১০৫১. লাকীত বিন সাবিরাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, “আমি বানু আল মুনফাক গোত্রের প্রতিনিধি দল হিসেবে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর কাছে আসি। কিন্তু আমরা তাকে তাঁর বাড়িতে পাইনি, আমরা বাড়িতে আয়িশা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহাকে পেলাম। তিনি আমাদের জন্য খাযীরাহ (হালুয়া জাতীয় খাবার যাতে গোসত টুকরো টুকরো করে বেশি পরিমাণে পানি ও লবন দিয়ে পাকানো হয়, যখন তা পরিপক্ক হয়, তখন তাতে আটা দেওয়া হয় ভালভাবে তা মিশ্রিত করা হয়, তারপর তাতে যে কোন তরকারী দেওয়া হয়) প্রস্তত করার নির্দেশ দিলেন, অতঃপর খাবার প্রস্তুত করা হলো এবং তিনি আমাদের কাছে এক গামলা খেজুর নিয়ে আসলেন। আমরা তা খেলাম। অতঃপর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আসলেন, এবং বললেন, “তোমরা কি কিছু খেতে পেয়েছো, নাকি আমি তোমাদের জন্য কোন কিছু ব্যবস্থা করার নির্দেশ দিবো?”
আমরা বললাম, “হে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, জ্বী, হ্যাঁ (আমরা খেয়েছি)। এভাবে আমরা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর সাথে বসে আছি, এমন সময় রাখাল তার মেষপাল নিয়ে খোয়ারের দিকে যাচ্ছিল, তার সাথে একটি মেষশাবক ছিল, যে আওয়াজ করছিল। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, “কী বাচ্চা প্রসব করেছে?” সে জবাবে বললো, “মেষশাবক” তিনি বলেন, “তবে তার পরিবর্তে একটি মেষ জবেহ করো।” তারপর তিনি আমার মুখোমুখী হন এবং বলেন, “তুমি মনে করো না যে, তোমার কারণে এটি আমরা জবেহ করেছি। বস্তুত আমাদের একশটি উট আছে, যা এর চেয়ে বেশি হয় না; যখনই কোন মেষ বাচ্চা প্রসব করে, তখনই আমরা তার স্থলে আরেকটি মেষ জবাই করি।”
রাবী বলেন, “আমি বললাম, “হে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, আমার একজন স্ত্রী আছে, যার জবান একটু কড়া।” জবাবে তিনি বলেন, “তাহলে তুমি তাকে তালাক দিয়ে দাও।” রাবী বলেন, “আমি বললাম, “হে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, তার গর্ভজাত আমার সন্তান রয়েছে আর সে আমার দীর্ঘ দিনের সঙ্গী।” জবাবে তিনি বলেন, “তুমি তাকে উপদেশ দাও। যদি তার মাঝে কোন কল্যাণ থাকে, তবে অচিরেই তা গ্রহণ করবে। আর তুমি তোমার স্ত্রীকে দাসীর মতো প্রহার করবে না।” রাবী বলেন, “আমি বললাম, হে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, আমাকে ওযূ সম্পর্কে বলুন।” জবাবে তিনি বলেন, “তুমি পরিপূর্ণভাবে ওযূ করবে, তোমার আঙ্গুলসমূহের মাঝে খিলাল করবে, ভালভাবে নাকে পানি দিবে, তবে যদি তুমি সিয়াম পালনকারী হও (তাহলে ভিন্ন কথা)।”[1]
ذِكْرُ الْأَمْرِ بِتَخْلِيلِ الْأَصَابِعِ لِلْمُتَوَضِّئِ مَعَ الْقَصْدِ فِي إِسْبَاغِ الْوُضُوءِ
1051 - أَخْبَرَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَلِيِّ بْنِ الْمُثَنَّى قَالَ: حَدَّثَنَا سُرَيْجُ بْنُ يُونُسَ قَالَ: حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سُلَيْمٍ عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ كَثِيرٍ عَنْ عَاصِمِ بْنِ لَقِيطِ بْنِ صَبِرَةَ عَنْ أَبِيهِ قَالَ: كُنْتُ وَافِدَ بَنِي الْمُنْتَفِقِ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَدِمْنَا عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وسلم فلم نصادِفه فِي مَنْزِلِهِ وصادَفْنا عَائِشَةَ فَأَمَرَتْ لَنَا بخزيرة فصُنعت واُتينا بِقِنَاعٍ - وَالْقِنَاعُ الطَّبَقُ فِيهِ التَّمْرُ - فَأَكَلْنَا فَجَاءَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فقال: (هَلْ أَصَبْتُمْ شَيْئًا؟ أَوْ آمُرُ لَكُمْ بِشَيْءٍ؟ ) قُلْنَا: نَعَمْ يَا رَسُولَ اللَّهِ فَبَيْنَمَا نَحْنُ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ جُلُوسٌ إِذْ رَفَعَ الرَّاعِي غَنَمَهُ إِلَى الْمُرَاحِ وَمَعَهُ سَخْلَةٌ تَيْعَرُ فَقَالَ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: (مَا وَلَّدْتَ؟ ) قَالَ: بَهْمَةٌ قَالَ: (اذْبَحْ مَكَانَهَا شَاةً) ثُمَّ أَقْبَلَ عَلَيَّ فَقَالَ:
(لَا تَحْسِبَنَّ - وَلَمْ يَقُلْ لَا تَحْسَبَنَّ - أنَّا مِنْ أجلِكَ ذَبَحْنَاهَا إنَّ لَنَا غَنَمًا مئة لَا تَزِيدُ فَمَا وَلَدَتْ بَهْمَةً ذَبَحْنَا مَكَانَهَا شَاةً) قَالَ: قُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ لِيَ امْرَأَةً فِي لِسَانِهَا شَيْءٌ قَالَ: (فَطَلِّقْهَا إِذًا) قَالَ: قُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ لِي مِنْهَا وَلَدًا وَلَهَا صُحْبَةً قَالَ: (عِظْهَا فَإِنْ يَكُ فِيهَا خَيْرٌ فَسَتَقْبَلُ وَلَا تَضْرِبْ ظَعِينَتَكَ ضَرْبَكَ أَمَتَكَ) قَالَ: قُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ أَخْبِرْنِي عَنِ الْوُضُوءِ قَالَ:(أَسْبِغِ الْوُضُوءَ وخَلِّل بَيْنَ أَصَابِعِكَ وَبَالِغْ فِي الِاسْتِنْشَاقِ إِلَّا أَنْ تَكُونَ صَائِمًا)
الراوي : لَقِيط بْن صَبِرَةَ | المحدث : العلامة ناصر الدين الألباني | المصدر : التعليقات الحسان على صحيح ابن حبان
الصفحة أو الرقم: 1051 | خلاصة حكم المحدث: صحيح.
আল্লামা শুআইব আল আরনাঊত রহিমাহুল্লাহ হাদীসটিকে উৎকৃষ্ট বলেছেন। আল্লামা নাসিরুদ্দিন আলবানী রহিমাহুল্লাহ হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন। (সহীহ আবূ দাঊদ: ১৩০।)