পরিচ্ছেদঃ আমরা ইস্তিগফারের যেসব বাক্য বর্ণনা করলাম, তার চেয়ে সংক্ষপ করেও ইস্তিগফার করা জায়েয
৯২৪. আবূ হুরাইরা রাদ্বিয়াল্লাহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, “আমি أَسْتَغْفِرُ اللَّهَ وَأَتُوبُ إِلَيْهِ (আমি আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি এবং তাঁর কাছে তাওবা করছি) এই বাক্য রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম চেয়ে অধিক পরিমানে অন্য কাউকে বলতে শুনিনি।”[1]
আবূ হাতিম ইবনু হিব্বান রহিমাহুল্লাহ বলেন, “রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমরা যেভাবে বর্ণনা করলাম সেভাবে সর্বাবস্থায় তাঁর প্রতিপালকের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করতেন, অথচ আল্লাহ তাঁর পূর্বের ও পরের সমস্ত গোনাহ ক্ষমা করে দিয়েছিলেন। তাঁর ইস্তিগফারের দুটি অর্থ রয়েছে। যথা:
প্রথমত: নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ তাকে সৃষ্টিজীবের জন্য কথায় ও কাজের মাধ্যমে শিক্ষক হিসেবে প্রেরণ করেছেন। কাজেই তিনি সদা সর্বদা ইস্তিগফার করে উম্মতকে শিক্ষা দিয়েছেন, কারণ তিনি জানেন যে, উম্মত বিভিন্ন সময় বিভিন্ন পাপে লিপ্ত হবে।
দ্বিতীয়ত: তিনি নিজের জন্য ইস্তিগফার করতেন ইবাদত পালনে ত্রুটি-বিচ্যুতির জন্য; পাপের জন্য নয়, কেননা মহান আল্লাহ সৃষ্টিজীবের মাঝে তাঁকে পাপ থেকে হেফাযত করেছেন এবং রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম শয়তানের ব্যাপারে যে দু‘আ করেছিলেন যেন সে আত্নসমর্পন করে, মহান আল্লাহ তাঁর সে দু‘আ কবূল করেন।
আর এটা এভাবে যে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর আদর্শ ছিল যে, যখন তিনি কোন ভাল কাজ করতেন, তখন তিনি সেটা অব্যাহত রাখতেন কিন্তু কোন কোন সময় ব্যস্ততার জন্য এক ভাল কাজ করতে গিয়ে আরেক ভাল কাজ করা হতো না। যেমন বানী তামীম গোত্রের এক প্রতিনিধি দল আসলে তাদের মাঝে বাহন বন্টন করতে গিয়ে যোহরের পরের দুই রাকা‘আত সালাত পড়া হয়নি, ফলে তিনি সেই দুই রাকা‘আত সালাত আসরের পরে আদায় করেন, পরবর্তীতে তিনি সেই দুই রাকা‘আত সালাত আদায় করা অব্যাহত রাখেন। কাজেই রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কোন কোন সময় এক নফল আমল করতে গিয়ে অন্য কোন নফল আমল করা আদায়ে বিলম্ব করতেন, কারণ সেই ঐ নফল আমল করাটাই বেশি উত্তম তাঁর নিয়মিত পালনীয় নফল আমলের চেয়ে, আর এজন্য তিনি ইস্তিগফার করতেন; তাঁর ইস্তিগফার এজন্য তিনি কোন পাপ কাজ করেছেন।”
ذِكْرُ إِبَاحَةِ الِاقْتِصَارِ عَلَى دُونِ مَا وَصَفْنَا من الاستغفار
924 - أَخْبَرَنَا عُمَرُ بْنُ مُحَمَّدٍ الْهَمْدَانِيُّ حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ عُثْمَانَ بْنِ سَعِيدٍ حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ عَنْ سَعِيدِ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي الْمُهَاجِرِ عَنْ خَالِدِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْحُسَيْنِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: مَا رَأَيْتُ أَحَدًا أَكْثَرَ أَنْ يَقُولَ: أَسْتَغْفِرُ اللَّهَ وَأَتُوبُ إِلَيْهِ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ.
الراوي : أَبُو هُرَيْرَةَ | المحدث : العلامة ناصر الدين الألباني | المصدر : التعليقات الحسان على صحيح ابن حبان
الصفحة أو الرقم: 924 | خلاصة حكم المحدث:. صحيح.
قَالَ أَبُو حَاتِمٍ ـ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ ـ: كَانَ الْمُصْطَفَى صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَسْتَغْفِرُ رَبَّهُ جَلَّ وَعَلَا فِي الْأَحْوَالِ عَلَى حَسَبِ مَا وَصَفْنَاهُ وَقَدْ غَفَرَ اللَّهُ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ وما تأخر ولاستغفاره صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَعْنَيَانِ:
أَحَدُهُمَا أَنَّ اللَّهَ جَلَّ وَعَلَا بَعَثَهُ مُعَلِّمًا لِخَلْقِهِ قَوْلًا وَفِعْلًا فَكَانَ يُعَلِّمُ أُمَّتَهُ الِاسْتِغْفَارَ وَالدَّوَامَ عَلَيْهِ لِمَا عَلِمَ مِنْ مُقَارَفَتِهَا الْمَآثِمَ فِي الْأَحَايِينِ بِاسْتِعْمَالِ الِاسْتِغْفَارِ.
وَالْمَعْنَى الثَّانِي: أَنَّهُ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يَسْتَغْفِرُ لِنَفْسِهِ عَنْ تَقْصِيرِ الطَّاعَاتِ لَا الذُّنُوبِ لِأَنَّ اللَّهَ جَلَّ وَعَلَا عَصَمَهُ مِنْ بَيْنِ خَلْقِهِ وَاسْتَجَابَ لَهُ دُعَاءَهُ عَلَى شَيْطَانِهِ حَتَّى أَسْلَمَ وَذَاكَ أَنَّ مِنْ خُلُقِ الْمُصْطَفَى صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ إِذَا أَتَى بِطَاعَةٍ لِلَّهِ عَزَّ وَجَلَّ دَاوَمَ عَلَيْهَا وَلَمْ يَقْطَعْهَا فَرُبَّمَا شُغِلَ بِطَاعَةٍ عَنْ طَاعَةٍ حَتَّى فَاتَتْهُ إِحْدَاهُمَا كَمَا شُغِلَ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنِ الرَّكْعَتَيْنِ اللَّتَيْنِ بَعْدَ الظُّهْرِ بِوَفْدِ تَمِيمٍ حَيْثُ كَانَ يَقْسِمُ فِيهِمْ وَيَحْمِلُهُمْ حَتَّى فَاتَتْهُ الرَّكْعَتَانِ اللَّتَانِ بَعْدَ الظُّهْرِ فَصَلَّاهُمَا بَعْدَ الْعَصْرِ ثُمَّ دَاوَمَ عَلَيْهِمَا فِي ذلك الوقت فيما بعد فكان استغفار صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِتَقْصِيرِ طَاعَةٍ أَنْ أخَّرها عَنْ وَقْتِهَا مِنَ النَّوَافِلِ لِاشْتِغَالِهِ بِمِثْلِهَا مِنَ الطَّاعَاتِ الَّتِي كَانَ فِي ذَلِكَ الْوَقْتِ أَوْلَى مِنْ تِلْكَ الَّتِي كَانَ يُوَاظِبُ عَلَيْهَا لَا أَنَّهُ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يستغفرمن ذنوب يرتكبها.
আল্লামা শুআইব আল আরনাঊত রহিমাহুল্লাহ হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন। আল্লামা নাসিরুদ্দিন আলবানী রহিমাহুল্লাহ হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন। (আস সহীহাহ: ৫৫৬।)