পরিচ্ছেদঃ ‘যে ব্যক্তি আল্লাহকে এক বলে জানবে, তাঁকে ছাড়া যা কিছুর উপাসনা করা হয়, সেসবকে অস্বীকার করবে’- রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের এই বক্তব্যের ব্যাখ্যা
১৭২. আবু হামযা রহিমাহুল্লাহ বলেন, আমি একবার আব্দুল্লাহ বিন আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুমা ও মানুষের মাঝে দোভাষী হিসেবে কাজ করছিলাম। এসময় তাঁর কাছে এক মহিলা এসে তাঁকে কলসির শরবত পান করা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলেন। তিনি জবাবে বলেন: ’একবার আব্দুল কায়িস গোত্রের প্রতিনিধি দল রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাছে আসেন। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাদেরকে বলেন: ’আপনারা কোন প্রতিনিধি দল? অথবা বলেছেন: ’আপনারা কোন সম্প্রদায়ের লোক?’ তাঁরা বললেন: ’আমরা রাবি’আহ গোত্রের লোক।’ তিনি বললেন: ’এই কওম বা প্রতিনিধিদলকে স্বাগতম, আপনারা লাঞ্চিতও হবেন না এবং অনুশোচনাও করবেন না।’ তাঁরা বললেন: ’হে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, আমরা আপনার কাছে অনেক দূর থেকে আসি। আমাদের ও আপনার মাঝে কুফফার মুযার গোত্রের আছে ফলে আমরা আপনার কাছে হারাম মাস ছাড়া অন্য কোন সময় আসতে পারি না। অতএব আপনি আমাদেরকে এমন কিছুর আদেশ দিন, যা আমাদের পিছে রেখে আসা লোকদের জানিয়ে দিব এবং তা আমল করে আমরা জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবো।’ রাবী বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাদেরকে চারটি জিনিসের আদেশ করেন এবং চারটি জিনিস থেকে নিষেধ করেন। তাঁদেরকে তিনি আদেশ করলেন এক আল্লাহর প্রতি ঈমান আনতে, তিনি বললেন: ’আপনারা কি জানেন এক আল্লাহর প্রতি ঈমান আনা কী?’ তাঁরা বললেন: আল্লাহ ও তাঁর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামই ভালো জানেন।’ তিনি বলেন: ’সেটি হলো এই সাক্ষ্য দেওয়া যে, আল্লাহ ছাড়া প্রকৃত কোন মা’বুদ নেই, মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর রাসূল’, (তিনি আরো আদেশ করলেন) সালাত প্রতিষ্ঠা করতে, যাকাত প্রদান করতে, রমযানের সিয়াম পালন করতে এবং তোমাদের প্রাপ্ত গনীমত হতে এক-পঞ্চমাংশ প্রদান করবে।’ তিনি তাঁদেরকে নিষেধ করেন কদুর খোলস, সবুজ কলসি, আল কাতরার প্রলেপ দেওয়া পাত্র এবং খেজুরের কাষ্ঠ খোদাই করা পাত্র ব্যবহার করতে নিষেধ করেন।’ এখানে ইমাম শু’বাহ রহিমাহুল্লাহ কোন কোন সময় النَّقِيرِ আবার কোন কোন সময় الْمُقَيَّرِ বলেছেন (অর্থ একই)। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁদেরকে বলেন: ’আপনারা এসব ভালভাবে মুখস্ত করে নিন এবং এসব আপনাদের পিছে থাকা লোকদের জানিয়ে দিবেন।’[1]
ذِكْرُ وَصْفِ قَوْلِهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَحَّدَ اللَّهَ وَكَفَرَ بِمَا يُعْبَدُ مِنْ دُونِهِ
أَخْبَرَنَا عُمَرُ بْنُ مُحَمَّدٍ الْهَمْدَانِيُّ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ عَنْ أَبِي جَمْرَةَ قَالَ: كُنْتُ أُتَرْجِمُ بَيْنَ ابْنِ عَبَّاسٍ وَبَيْنَ النَّاسِ فَأَتَتْهُ امْرَأَةٌ تَسْأَلُهُ عَنْ نَبِيذِ الْجَرِّ فَقَالَ: إِنَّ وَفْدَ عَبْدِ الْقَيْسِ أَتَوْا رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: "مَنِ الْوَفْدُ أَوْ مَنِ الْقَوْمُ؟ " قَالُوا: رَبِيعَةُ قَالَ: "مَرْحَبًا بِالْقَوْمِ أَوْ بِالْوَفْدِ غَيْرَ خَزَايَا وَلَا نَدَامَى" قَالُوا: يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّا نَأْتِيكَ مِنْ شُقَّةٍ بَعِيدَةٍ إِنَّ بَيْنَنَا وَبَيْنَكَ هَذَا الْحَيُّ مِنْ كُفَّارِ مُضَرَ وَإِنَّا لَا نَسْتَطِيعُ أَنْ نَأْتِيَكَ إِلَّا فِي شَهْرٍ حَرَامٍ فَمُرْنَا بِأَمْرٍ نُخْبِرُ بِهِ مَنْ وَرَاءَنَا وَنَدْخُلُ بِهِ الْجَنَّةَ قَالَ: فَأَمَرَهُمْ بِأَرْبَعٍ وَنَهَاهُمْ عَنْ أَرْبَعٍ أَمَرَهُمْ بِالْإِيمَانِ بِاللَّهِ وَحْدَهُ وَقَالَ: "هَلْ تَدْرُونَ مَا الْإِيمَانُ بِاللَّهِ وَحْدَهُ؟ " قَالُوا: اللَّهُ وَرَسُولُهُ أَعْلَمُ قَالَ: "شَهَادَةُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَأَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهُ وَإِقَامِ الصَّلَاةِ وَإِيتَاءِ الزَّكَاةِ وَصَوْمِ رَمَضَانَ وَأَنْ تُعْطُوا الْخُمُسَ مِنَ الْمَغْنَمِ وَنَهَاهُمْ عَنِ الدُّبَّاءِ وَالْحَنْتَمِ وَالْمُزَفَّتِ" قَالَ شُعْبَةُ وَرُبَّمَا قَالَ: وَالنَّقِيرِ وَرُبَّمَا قَالَ: الْمُقَيَّرِ وَقَالَ: "احْفَظُوهُ وَأَخْبِرُوهُ من وراءكم".
الراوي : أَبو جَمْرَةَ عن ابْنِ عَبَّاسٍ | المحدث : العلامة ناصر الدين الألباني | المصدر : صحيح ابن حبان
الصفحة أو الرقم: 172 | خلاصة حكم المحدث: صحيح.
হাদীসটিকে আল্লামা শুআইব আল আরনাঊত রহিমাহুল্লাহ বুখারী ও মুসলিমের শর্তে সহীহ বলেছেন। আল্লামা নাসির উদ্দিন আলবানী রহিমাহুল্লাহ হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন। (আস সহীহাহ: ১৫৭।)