৬২৫৩

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - সমষ্টিগতভাবে মর্যাদা ও বৈশিষ্ট্য

৬২৫৩-[৫৮] আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। একদিন রাসূলুল্লাহ (সা.) এ আয়াতটি তিলাওয়াত করলেন- “আর যদি তোমরা (ঈমান আনা হতে) পৃষ্ঠপ্রদর্শন কর, তাহলে তিনি অন্য জাতিকে তোমাদের স্থলাভিষিক্ত করবেন। অতঃপর তারা তোমাদের মতো হবে না।’ সাহাবীগণ জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহর রাসূল! তারা কে? যাদের কথা আলোচনা করে আল্লাহ তা’আলা বলেছেন, ’যদি আমরা পৃষ্ঠপ্রদর্শন করি, তাহলে তিনি এমন সম্প্রদায়কে আমাদের স্থলাভিষিক্ত করবেন, যারা আমাদের মতো হবে না। তখন তিনি সালমান আল ফারিসী (রাঃ)-এর উরুতে হাত মেরে বললেন, ইনি এবং তাঁর সম্প্রদায়। যদি এ দীন ধ্রুবতারার (দূরত্ব) স্থানেও থাকে, তবুও পারস্যের কতিপয় লোক তাকে সেখান হতে অর্জন করবে। (তিরমিযী)

اَلْفصْلُ الثَّالِثُ (بَاب جَامع المناقب)

وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ تَلَا هَذِهِ الْآيَةَ: [وَإِنْ تَتَوَلَّوْا يَسْتَبْدِلْ قَوْمًا غَيْرَكُمْ ثُمَّ لَا يَكُونُوا أمثالكم] قَالُوا: يَا رَسُولَ اللَّهِ مَنْ هَؤُلَاءِ الَّذِينَ ذَكَرَ اللَّهُ إِنْ تَوَلَّيْنَا اسْتُبْدِلُوا بِنَا ثُمَّ لَا يَكُونُوا أَمْثَالَنَا؟ فَضَرَبَ عَلَى فَخِذِ سَلْمَانَ الْفَارِسِيِّ ثُمَّ قَالَ: «هَذَا وَقَوْمُهُ وَلَوْ كَانَ الدِّينُ عِنْدَ الثُّرَيَّا لَتَنَاوَلَهُ رِجَالٌ مِنَ الْفُرْسِ» . رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ

سندہ ضعیف ، رواہ الترمذی (3260) * شیخ من اھل المدینۃ مجھول

وعن ابي هريرة ان رسول الله صلى الله عليه وسلم تلا هذه الاية: [وان تتولوا يستبدل قوما غيركم ثم لا يكونوا امثالكم] قالوا: يا رسول الله من هولاء الذين ذكر الله ان تولينا استبدلوا بنا ثم لا يكونوا امثالنا؟ فضرب على فخذ سلمان الفارسي ثم قال: «هذا وقومه ولو كان الدين عند الثريا لتناوله رجال من الفرس» . رواه الترمذي سندہ ضعیف ، رواہ الترمذی (3260) * شیخ من اھل المدینۃ مجھول

ব্যাখ্যা: (وَإِنْ تَتَوَلَّوْا) অর্থাৎ নবী (সা.) মুহাম্মাদ -এর প্রতি ঈমান আনা ও তাঁর ধর্মকে সাহায্য করা থেকে যদি তোমরা বিমুখ হও এবং পৃষ্ঠপ্রদর্শন করো। (قَوْمًا غَيْرَكُمْ ثُمَّ لَا يَكُونُوا أمثالكم) বরং তারা তোমাদের চাইতে উত্তম হবে। (يَا رَسُولَ اللَّهِ مَنْ هَؤُلَاءِ الَّذِينَ ذَكَرَ اللَّهُ إِنْ تَوَلَّيْنَا اسْتُبْدِلُوا بِنَا ثُمَّ لَا يَكُونُوا أَمْثَالَنَا؟) এ হাদীসে ইবনুল মালিক-এর মত খণ্ডন রয়েছে। যেমন তিনি বলেন, এর দ্বারা উদ্দেশ্য হলো কুরায়শী নেতবৃন্দ।
ثُمَّ قَالَ: «هَذَا وَقَوْمُهُ وَلَوْ كَانَ الدِّينُ عِنْدَ الثُّرَيَّا لَتَنَاوَلَهُ رِجَالٌ مِنَ الْفُرْسِ» অর্থাৎ সাধারণত অনারবের একটি দল। অথবা যাদের ভাষা ফার্সী অথবা যাদের দেশ হলো ফারেস বা পারস্য। এটা একটি অঞ্চল। এর মধ্যে (شيراز) অন্যতম। তবে পরবর্তী হাদীস থেকে যা বুঝা যায় সে দিক থেকে প্রথম মতটি বেশি স্পষ্ট। (মিরক্বাতুল মাফাতীহ)
সুরাইয়া ও পারভীন এমন ধরনের তারকাকে বলা হয় যা খুব ভালোভাবে মিলিত হয়ে থাকে। যেমন (كُلْدَسْتَهُ) (কুলদাসতাহ) যা বলেন, যদি ঈমান এমন দূরে থাকে যেখানে দৃষ্টি পৌছে না তবুও পারস্যবাসীদের সূক্ষ্মদৃষ্টি ও ঈমানের প্রস্তুতি সম্পর্কে বর্ণনা প্রকাশ পেয়েছে। কাজেই প্রকৃতপক্ষে পারস্য রাজ্যে বড় বড় কামিল স্পষ্ট ও আধ্যাত্মিক ‘আলিম সৃষ্টি হয়েছে। যেমন কুতুবুস সিত্তার মুসান্নিফগণ (রহিমাহুমাল্লাহ)। (মিশকাতুল মাসাবীহ)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৩০: মান-মর্যাদা (كتاب المناقب)