৬২২৭

পরিচ্ছেদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ - সমষ্টিগতভাবে মর্যাদা ও বৈশিষ্ট্য

৬২২৭-[৩২] হাফসাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন: আমি আশা করি, ইনশা-আল্ল-হ বদর এবং হুদায়বিয়াতে অংশগ্রহণকারী কেউই জাহান্নামের আগুনে প্রবেশ করবে না। [হাফসাহ (রাঃ) বলেন,] আমি বললাম হে আল্লাহর রাসূল! আল্লাহ তা’আলা কি এ কথা বলেননি? (অর্থাৎ) ’অবশ্যই তোমাদের তা প্রত্যেকেই অতিক্রম করবে।’ তখন রাসূলুল্লাহ (সা.) বললেন, তুমি কি শুননি, আল্লাহ তা’আলা এটাও তো বলেছেন, অতঃপর আমি তাদেরকে মুক্তি দিব, যারা আল্লাহভীরুতা অবলম্বন করেছে। অপর এক বর্ণনায় আছে, ’আসহাবে শাজারাহ’ যারা ঐ গাছের নিচে বায়’আত গ্রহণ করেছেন, তাঁদের কেউই ইনশা-আল্ল-হ জাহান্নামের আগুনে প্রবেশ করবে না। (মুসলিম)

الفصل الاول (بَاب جَامع المناقب)

وَعَنْ حَفْصَةَ قَالَتْ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنِّي لَأَرْجُو أَنْ لَا يَدْخُلَ النَّارَ إِنْ شَاءَ اللَّهُ أَحَدٌ شَهِدَ بَدْرًا وَالْحُدَيْبِيَةَ» قُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ أَلَيْسَ قَدْ قَالَ اللَّهُ تَعَالَى: [وَإِنْ مِنْكُمْ إِلَّا واردها] قَالَ: فَلَمْ تَسْمَعِيهِ يَقُولُ: [ثُمَّ نُنَجِّي الَّذِينَ اتقَوا] وَفِي رِوَايَةٍ: «لَا يَدْخُلُ النَّارَ إِنْ شَاءَ اللَّهُ مِنْ أَصْحَابِ الشَّجَرَةِ - أَحَدُ - الَّذِينَ بَايَعُوا تحتهَا» . رَوَاهُ مُسلم

رواہ مسلم (163 / 2496)، (6404) ۔

وعن حفصة قالت: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: «اني لارجو ان لا يدخل النار ان شاء الله احد شهد بدرا والحديبية» قلت: يا رسول الله اليس قد قال الله تعالى: [وان منكم الا واردها] قال: فلم تسمعيه يقول: [ثم ننجي الذين اتقوا] وفي رواية: «لا يدخل النار ان شاء الله من اصحاب الشجرة - احد - الذين بايعوا تحتها» . رواه مسلم رواہ مسلم (163 / 2496)، (6404) ۔

ব্যাখ্যা: উক্ত হাদীসে যখন রাসূলুল্লাহ (সা.) বদর এবং হুদায়বিয়াতে অংশগ্রহণকারীদের ব্যাপারে জান্নাতী হওয়ার আশা ব্যক্ত করলেন তখন হাফসাহ্ (রাঃ) জানার জন্য বললেন, আল্লাহ তা'আলা বলেছেন, (اِنۡ مِّنۡکُمۡ اِلَّا وَارِدُهَا) অর্থাৎ “তোমাদের প্রত্যেকেই তা অতিক্রম করবে”- (সূরা মারইয়াম ১৯ : ৭১)। এখানে হাফসাহ্ (রাঃ) (وَارِدُهَا) এর অর্থ বুঝে ছিলেন যে, তাতে প্রবেশ করবে। কিন্তু রাসূলুল্লাহ (সা.) তাকে অন্য আয়াতের মাধ্যমে বুঝিয়ে দিলেন যে, না আল্লাহ মুত্তাকী বান্দাদেরকে মুক্তি দিবেন।
ইমাম নবাবী (রহিমাহুল্লাহ) শারহুন্ নাবাবী গ্রন্থে বলেন, উক্ত আয়াত বলা হয়েছে, তোমাদের প্রত্যেকেই তা অতিক্রম করবে। এখানে তা দ্বারা উদ্দেশ্য হলো, জাহান্নামের উপর স্থাপিত একটি পুল। যা সবাইকে অতিক্রম করতে হবে। সে সময় জাহান্নামীরা তখনই তাতে পড়ে যাবে। আর মুত্তাকী বান্দারা মুক্তি পেয়ে যাবে। (শারহুন নাবাবী ১৬শ, ৫০ পৃ., হা. ২৪৯৬)
উক্ত হাদীসটি সম্পর্কে মিরাক বলেন, হাদীসটি দেখে মনে হয় যে, তা হাফসাহ (রাঃ)-এর সূত্রে বর্ণিত হয়েছে। কিন্তু বিষয়টি তা নয়। বরং এ হাদীসটি বর্ণিত হয়েছে উম্মু মুবাশশির আল আনসারিয়্যাহ্ সূত্রে।
তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সা.)-কে বলতে শুনেছি। তিনি বলেন, আমি আশা করি আল্লাহ চাহে তো যারা গাছের নিচে বায়'আত করেছে তারা কেউ জাহান্নামে প্রবেশ করবে না। তখন উম্মু মুবাশশির বললেন, অবশ্যই আল্লাহর রাসূল (সা.)। হাফসাহ্ (রাঃ) তখন রাসূলুল্লাহ (সা.) -এর কাছেই ছিল। সে উম্মু মুবাশশির-কে ধমক দিয়ে বলল, আল্লাহ বলেছেন, (اِنۡ مِّنۡکُمۡ اِلَّا وَارِدُهَا) অর্থাৎ “তোমাদের প্রত্যেকেই তা অতিক্রম করবে"- (সূরা মারইয়াম ১৯ : ৭১)। তখন রাসূলুল্লাহ (সা.) বললেন, (ثُمَّ نُنَجِّی الَّذِیۡنَ اتَّقَوۡا وَّ نَذَرُ الظّٰلِمِیۡنَ فِیۡهَا جِثِیًّا) অর্থাৎ “তারপর আমি মুক্তাক্বীদেরকে মুক্তি দিব আর যালিমদেরকে তাতে উপুড় করে ফেলে দিব”- (সূরা মারইয়াম ১৯: ৭২)। তারপর হাফসাহ্ (রাঃ) বিষয়টি বুঝতে পারলেন। (মিরকাতুল মাফাতীহ)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ হাফসাহ (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৩০: মান-মর্যাদা (كتاب المناقب)