৬২১১

পরিচ্ছেদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ - সমষ্টিগতভাবে মর্যাদা ও বৈশিষ্ট্য

৬২১১-[১৬] আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, সাবিত ইবনু কায়স ইবনু শাম্মাস (রাঃ) ছিলেন আনসারদের মুখপাত্র। যখন আল্লাহর বাণী, “হে ঈমানদারগণ! তোমাদের কণ্ঠস্বরকে নবীর কণ্ঠস্বরের উপরের উঁচু করো না”- (সূরাহ্ আল হুজুরাত ৪৯ : ২); অবতীর্ণ হলো, তখন সাবিত (রাঃ) স্বীয় গৃহের মধ্যে বসে রইলেন এবং নবী (সা.)-এর কাছে যাওয়া-আসা বন্ধ করে দিলেন। নবী (সা.) সা’দ ইবনু মু’আয (রাঃ) কে সাবিত সম্পর্কে প্রশ্ন করলেন, সাবিত-এর কি হয়েছে, সে কি অসুস্থ? অতঃপর সা’দ তাঁর কাছে আসলেন এবং রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর কথাটিও তাঁর কাছে বললেন। উত্তরে সাবিত বললেন, এ আয়াতটি অবতীর্ণ হয়েছে, আর তোমরা জান যে, তোমাদের মধ্যে আমার কণ্ঠস্বর রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর আওয়াজ হতে উঁচু। অতএব আমি তো জাহান্নামী হয়ে গিয়েছি। অতঃপর সা’দ রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর কাছে এসে সাবিত-এর অনুপস্থিতির ব্যাপারটি জানালে রাসূলুল্লাহ (সা.) বললেন, আরে না, সে তো জান্নাতী। (মুসলিম)

الفصل الاول (بَاب جَامع المناقب)

عَن أَنَسٍ قَالَ: كَانَ ثَابِتُ بْنُ قَيْسِ بْنِ شماس خطيب الْأَنْصَار فَلَمَّا نزلت هَذِه الْآيَة: [يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لَا تَرْفَعُوا أَصْوَاتَكُمْ فَوق صَوت النَّبِي] إِلَى آخِرِ الْآيَةِ جَلَسَ ثَابِتٌ فِي بَيْتِهِ وَاحْتَبَسَ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَسَأَلَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سَعْدَ بْنَ مُعَاذٍ فَقَالَ: «مَا شَأْنُ ثَابِتٍ أَيَشْتَكِي؟» فَأَتَاهُ سَعْدٌ فَذَكَرَ لَهُ قَوْلُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ ثَابِتٌ: أُنْزِلَتْ هَذِهِ الْآيَةُ وَلَقَدْ عَلِمْتُمْ أَنِّي مِنْ أَرْفَعِكُمْ صَوْتًا عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَنَا مِنْ أَهْلِ النَّارِ فَذَكَرَ ذَلِكَ سَعْدٌ لِلنَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «بَلْ هُوَ من أهل الْجنَّة» . رَوَاهُ مُسلم

رواہ مسلم (188 ، 187 / 219)، (314 و 315) ۔
(صَحِيح)

عن انس قال: كان ثابت بن قيس بن شماس خطيب الانصار فلما نزلت هذه الاية: [يا ايها الذين امنوا لا ترفعوا اصواتكم فوق صوت النبي] الى اخر الاية جلس ثابت في بيته واحتبس عن النبي صلى الله عليه وسلم فسال النبي صلى الله عليه وسلم سعد بن معاذ فقال: «ما شان ثابت ايشتكي؟» فاتاه سعد فذكر له قول رسول الله صلى الله عليه وسلم فقال ثابت: انزلت هذه الاية ولقد علمتم اني من ارفعكم صوتا على رسول الله صلى الله عليه وسلم فانا من اهل النار فذكر ذلك سعد للنبي صلى الله عليه وسلم. فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم: «بل هو من اهل الجنة» . رواه مسلم رواہ مسلم (188 ، 187 / 219)، (314 و 315) ۔ (صحيح)

ব্যাখ্যা: উক্ত হাদীসে বলা হয়েছে যে, কায়স ইবনু শাম্মাস ছিলেন আনসারদের বক্তা, তার মানে হলো তিনি ছিলেন কথাবার্তায় বিশুদ্ধভাষী। যেমন কবীরা তাদের কবিতায় বিশুদ্ধভাষী হয়ে থাকে। তিনি ছিলেন খাযরাজ গোত্রের লোক। রাসূলুল্লাহ (সা.) সাক্ষী দিয়েছেন যে, তিনি হলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) এবং আনসারদের খত্বীব। ১২শ হিজরীতে ইয়ামামায় মুসায়লামাতুল কাযযাব-এর সাথে যুদ্ধ করার সময় তিনি শহীদ হন। তার থেকে আনাস ইবনু মালিক ছাড়াও আরো অনেক হাদীস বর্ণনা করেছেন।
এ হাদীসকে কেন্দ্র করে একটি প্রশ্ন উত্থাপিত হয়, আর তা হলো হাদীস উল্লেখ করা হয়েছে যে, এ আয়াত নাযিল হওয়ার পর কায়স ইবনু শাম্মাস-কে কয়েকদিন রাসূলুল্লাহ (সা.) ও তার মাজলিসে দেখতে পেলেন না, তাই তিনি সা'দ ইবনু মু'আয-কে জিজ্ঞেস করলেন। সে কি অসুস্থ? এখন কথা হলো সা'দ ইবনু মু'আয (রাঃ) মারা গেছেন ৫ম হিজরীতে। আর সূরাহ্ আল হুজুরাত-এর প্রথম দিকের আয়াত নাযিল হয়েছে ৯ম হিজরীতে। তাহলে এটি কিভাবে সম্ভব?
উত্তর হলো, সূরাহ্ আল হুজুরত-এর প্রথম আয়াত (لَا تُقَدِّمُوۡا بَیۡنَ یَدَیِ) নাযিল হয়েছে ৯ম হিজরীতে। কিন্তু দ্বিতীয় এ আয়াত- (یٰۤاَیُّهَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا لَا تَرۡفَعُوۡۤا اَصۡوَاتَکُمۡ فَوۡقَ صَوۡتِ النَّبِیِّ) নাযিল হয়েছে অনেক আগেই।
রাসূলুল্লাহ (সা.) তাকে জান্নাতী হিসেবে জানিয়ে দিয়েছেন। আর এটির প্রতিফলন দেখা গেছে ইয়ামামার যুদ্ধে। কারণ তিনি সেখানে শহীদ হয়েছেন। (মিরক্বাতুল মাফাতীহ)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৩০: মান-মর্যাদা (كتاب المناقب)