৫৮০৪

পরিচ্ছেদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ - রাসূলুল্লাহ (সা.) -এর স্বভাব-চরিত্রের বর্ণনা

৫৮০৪-[8] উক্ত রাবী [আনাস (রাঃ)] হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) লোকেদের মাঝে সকলের চেয়ে সুন্দরতম, সর্বাপেক্ষা দানশীল এবং সকলের চেয়ে বেশি সাহসী ছিলেন। একরাত্রে মদীনাবাসী (কোন শব্দ শুনে) ভীষণ ভয় পেয়েছিল। এতে লোকজন সেই আওয়াজের দিকে ছুটে চলল, তখন নবী (সা.) - কে তাদের সামনে পেল। সকলের আগে তিনি (সা.) সেই আওয়াজের দিকে পৌঁছে গিয়েছিলেন। এ সময় তিনি (সা.) বলতে লাগলেন, তোমরা ভয় করো না, তোমরা ভয় করো না। তখন তিনি (সা.) আবূ ত্বলহাহ্ (রাঃ)-এর একটি ঘোড়ার খালি পিঠে জিন-পোষ ছাড়াই আরোহণ করেছিলেন। তার গলায় ঝুলছিল একখানা তলোয়ার। এরপর তিনি (সা.) বললেন, আমি এ ঘোড়াটিকে দরিয়ার মতো পেয়েছি। (বুখারী ও মুসলিম)

الفصل الاول (بَابٌ فِي أَخْلَاقِهِ وَشَمَائِلِهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسلم)

وَعَنْهُ قَالَ: كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَحْسَنَ النَّاسِ وَأَجْوَدَ النَّاسِ وَأَشْجَعَ النَّاسِ وَلَقَدْ فَزِعَ أَهْلُ الْمَدِينَةِ ذَاتَ لَيْلَةٍ فَانْطَلَقَ النَّاسُ قِبَلَ الصَّوْتِ فَاسْتَقْبَلَهُمُ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَدْ سَبَقَ النَّاس إِلَى الصَّوْت هُوَ يَقُولُ: «لَمْ تُرَاعُوا لَمْ تُرَاعُوا» وَهُوَ عَلَى فَرَسٍ لِأَبِي طَلْحَةَ عُرْيٍ مَا عَلَيْهِ سَرْجٌ وَفِي عُنُقِهِ سَيْفٌ. فَقَالَ: «لَقَدْ وَجَدْتُهُ بَحْرًا» . مُتَّفق عَلَيْهِ

متفق علیہ ، رواہ البخاری (6033) و مسلم (48 / 2307)، (6006) ۔
(مُتَّفق عَلَيْهِ)

وعنه قال: كان رسول الله صلى الله عليه وسلم احسن الناس واجود الناس واشجع الناس ولقد فزع اهل المدينة ذات ليلة فانطلق الناس قبل الصوت فاستقبلهم النبي صلى الله عليه وسلم قد سبق الناس الى الصوت هو يقول: «لم تراعوا لم تراعوا» وهو على فرس لابي طلحة عري ما عليه سرج وفي عنقه سيف. فقال: «لقد وجدته بحرا» . متفق عليه متفق علیہ ، رواہ البخاری (6033) و مسلم (48 / 2307)، (6006) ۔ (متفق عليه)

ব্যাখ্যা: রাসূলুল্লাহ (সা.) - সকলের চেয়ে সুন্দরতম ছিলেন অর্থাৎ সৃষ্টির ও চরিত্রের দিক থেকে, আকৃতির দিক থেকে ও জীবনীর দিক থেকে, বংশমর্যাদার দিক থেকে ও ব্যক্তিত্বের দিক থেকে, জীবনযাপনের দিক থেকে ও সাথী হওয়ার দিক থেকে। তিনি দানশীলতার দিক থেকেও সকলের চেয়ে শ্রেষ্ঠ ছিলেন। “আর তিনি ছিলেন সবচেয়ে বীর পুরুষ” অর্থাৎ তিনি শক্তি ও হৃদয়ের দিক দিয়ে শ্রেষ্ঠ ছিলেন। তাঁর ব্যাপারে মহান আল্লাহ বলেন -
(فَقَاتِلۡ فِیۡ سَبِیۡلِ اللّٰهِ ۚ لَا تُکَلَّفُ اِلَّا نَفۡسَکَ وَ حَرِّضِ الۡمُؤۡمِنِیۡنَ ۚ) “অতএব তুমি আল্লাহর রাস্তায় লড়াই কর। তুমি শুধু তোমার নিজের ব্যাপারে দায়িত্বপ্রাপ্ত এবং মু'মিনদেরকে উদ্বুদ্ধ কর”- (সূরা আন নিসা ৪: ৮৪)। অর্থাৎ মু'মিনদেরকে যুদ্ধের ব্যাপারে উৎসাহিত করুন। এ কারণেই তিনি (সা.) খচ্চরের উপর আরোহণ করেন। আর তার সাথে কেউ আক্রমণ করেনি। তিনি (সা.) একাই সেখানে গিয়েছিলেন। আর ফিরে এসে তার সাহাবীদেরকে এ সংবাদ প্রদান করেন যে, সেখানে ভীতিকর কিছু ঘটেনি। আমি সেখান থেকে মাত্র আসলাম। (মিরকাতুল মাফাতীহ)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-২৯: চারিত্রিক গুণাবলি ও মর্যাদাসমূহ (كتاب الْفَضَائِل وَالشَّمَائِل)