৫৮০৩

পরিচ্ছেদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ - রাসূলুল্লাহ (সা.) -এর স্বভাব-চরিত্রের বর্ণনা

৫৮০৩-[৩] উক্ত রাবী [আনাস (রাঃ)] হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদিন আমি রাসূলুল্লাহ (সা.) -এর সাথে পথ চলছিলাম। তাঁর দেহে ছিল মোটা পাড়ের একখানা নাজরানী চাদর, বেদুঈন চাদর ধরে জোরে টান দিল। টানের চোটে নবী (সা.) উক্ত বেদুইনের বক্ষের কাছে এসে পড়লেন। আনাস (রাঃ) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর কাঁধের প্রতি দৃষ্টি দিয়ে দেখলাম, সে জোরে টানার কারণে তার কাঁধে চাদরের ডোরার ছাপ পড়ে গেছে। অতঃপর বেদুঈনটি বলল, হে মুহাম্মাদ! আল্লাহ তা’আলার যে সকল ধন-সম্পদ তোমার কাছে আছে, তা হতে আমাকে কিছু দেয়ার নির্দেশ দাও। এ সময় রাসূলুল্লাহ (সা.) তার দিকে ফিরে তাকিয়ে হেসে ফেললেন। এরপর তাকে কিছু দেয়ার নির্দেশ দান করলেন। (বুখারী ও মুসলিম)

الفصل الاول (بَابٌ فِي أَخْلَاقِهِ وَشَمَائِلِهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسلم)

وَعَنْهُ قَالَ: كُنْتُ أَمْشِي مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَعَلَيْهِ بُرْدٌ نَجْرَانِيٌّ غَلِيظُ الْحَاشِيَةِ فَأَدْرَكَهُ أَعْرَابِيٌّ فجبذه جَبْذَةً شَدِيدَةً وَرَجَعَ نَبِيُّ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي نَحْرِ الْأَعْرَابِيِّ حَتَّى نَظَرْتُ إِلَى صَفْحَةِ عَاتِقِ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَدْ أثرت بِهِ حَاشِيَةُ الْبُرْدِ مِنْ شِدَّةِ جَبْذَتِهِ ثُمَّ قَالَ: يَا مُحَمَّدُ مُرْ لِي مِنْ مَالِ اللَّهِ الَّذِي عنْدك فَالْتَفَتَ إِلَيْهِ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ثُمَّ ضَحِكَ ثُمَّ أَمَرَ لَهُ بِعَطَاءٍ. مُتَّفق عَلَيْهِ

متفق علیہ ، رواہ البخاری (3149) و مسلم (128 / 1057)، (2429) ۔
(صَحِيحٍ)

وعنه قال: كنت امشي مع رسول الله صلى الله عليه وسلم وعليه برد نجراني غليظ الحاشية فادركه اعرابي فجبذه جبذة شديدة ورجع نبي الله صلى الله عليه وسلم في نحر الاعرابي حتى نظرت الى صفحة عاتق رسول الله صلى الله عليه وسلم قد اثرت به حاشية البرد من شدة جبذته ثم قال: يا محمد مر لي من مال الله الذي عندك فالتفت اليه رسول الله صلى الله عليه وسلم ثم ضحك ثم امر له بعطاء. متفق عليه متفق علیہ ، رواہ البخاری (3149) و مسلم (128 / 1057)، (2429) ۔ (صحيح)

ব্যাখ্যা: অত্র হাদীস হতে শিক্ষা পাওয়া যায় যে, জাহিলদের মুকাবালা না করে তাদেরকে এড়িয়ে যাওয়া ভালো। আর মন্দ কাজকে ভালো কাজ দ্বারা পরিবর্তন করতে হয়। আর যাদের অন্তর আকৃষ্ট করা হচ্ছে তাদেরকে দান করা। কবীরা গুনাহে লিপ্ত ব্যক্তি যে তার শাস্তি সম্পর্কে অবহিত নয় তাকে ক্ষমা করে দেয়া। (শারহুন নাবাবী হা. ১৩০/১৩১)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-২৯: চারিত্রিক গুণাবলি ও মর্যাদাসমূহ (كتاب الْفَضَائِل وَالشَّمَائِل)