৫৫৬৫

পরিচ্ছেদঃ তৃতীয় অনুচ্ছেদ - হিসাব-নিকাশ, প্রতিশোধ গ্রহণ ও মীযানের বর্ণনা

৫৫৬৫-[১৭] আসমা বিনতু ইয়াযীদ (রাঃ) রাসূলুল্লাহ (সা.) থেকে বর্ণনা করেন। তিনি (সা.) বলেছেন: কিয়ামতের দিন মানবমণ্ডলীকে একটি ময়দানে একত্রিত করা হবে, তখন একজন ঘোষক এ ঘোষণা করবে, ঐ সমস্ত লোকেরা কোথায়? যারা (রাত্রে) আরামের বিছানা থেকে নিজেদের পার্শ্বকে দূরে রেখেছিল, তখন অল্প কিছু সংখ্যক লোক উঠে দাঁড়াবে এবং তারা বিনা হিসাবে জান্নাতে প্রবেশ করবে। অতঃপর অবশিষ্ট সকল মানুষ থেকে হিসাব নেয়ার নির্দেশ করা হবে। (বায়হাক্বী’র শুআবূল ঈমান)

اَلْفصْلُ الثَّالِثُ (باب الحساب و القصاص و المیزان)

وَعَن أَسمَاء بنت يزِيد عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: يُحْشَرُ النَّاسُ فِي صَعِيدٍ وَاحِدٍ يَوْمَ الْقِيَامَة فينادي منادٍ فَيَقُول: أَيْنَ الَّذِينَ كَانَتْ تَتَجَافَى جُنُوبُهُمْ عَنِ الْمَضَاجِعِ؟ فَيَقُومُونَ وَهُمْ قَلِيلٌ فَيَدْخُلُونَ الْجَنَّةَ بِغَيْرِ حِسَابٍ ثمَّ يُؤمر لسَائِر النَّاسِ إِلَى الْحِسَابِ «. رَوَاهُ الْبَيْهَقِيُّ فِي» شُعَبِ الْإِيمَان

اسنادہ ضعیف ، رواہ البیھقی فی شعب الایمان (3244 ، نسخۃ محققۃ : 2974) [و ھناد بن السری فی الزھد (176) و المروزی کما فی مختصر قیام اللیل (ص 18)] ۔
(ضَعِيف)

وعن اسماء بنت يزيد عن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال: يحشر الناس في صعيد واحد يوم القيامة فينادي مناد فيقول: اين الذين كانت تتجافى جنوبهم عن المضاجع؟ فيقومون وهم قليل فيدخلون الجنة بغير حساب ثم يومر لساىر الناس الى الحساب «. رواه البيهقي في» شعب الايمان اسنادہ ضعیف ، رواہ البیھقی فی شعب الایمان (3244 ، نسخۃ محققۃ : 2974) [و ھناد بن السری فی الزھد (176) و المروزی کما فی مختصر قیام اللیل (ص 18)] ۔ (ضعيف)

ব্যাখ্যা: (تَتَجَافَى جُنُوبُهُمْ عَنِ الْمَضَاجِعِ؟) তাদের পার্শ্ব বিছানা থেকে দূরে থাকে। এখানে রূপক ও ব্যাপকাৰ্থক রয়েছে। এতে আল্লাহর বাণী, (يَدْعُونَ رَبَّهُمْ) “তারা (জাহান্নামের) ভীতি ও (জান্নাতের) আশা নিয়ে তাদের প্রতিপালককে ডাকে”- (সূরাহ আস সিজদাহ ৩২: ১৬); এর ইঙ্গিত অস্পষ্ট নয়। এর দ্বারা কারা উদ্দেশ্য এ নিয়ে মতভেদে রয়েছে। কেউ বলেন, এর দ্বারা তাহাজ্জুদগুজার লোকেরা উদ্দেশ্য। কেউ বলেন, আওয়াবীন সালাত আদায়কারী ব্যক্তিরা উদ্দেশ্য। অথবা এর দ্বারা ইশা ও ফজর সালাত আদায়কারী ব্যক্তিরাও উদ্দেশ্য হতে পারে। আর এ ধরনের গুণসম্পন্ন লোক ইসলামে খুব কম সংখ্যক। আল্লাহ বলেন, (کَانُوۡا قَلِیۡلًا مِّنَ الَّیۡلِ مَا یَهۡجَعُوۡنَ) “তারা রাত্রিকালে খুব কমই শয়ন করত”- (সূরহ্ আহ্ যারিয়াত ৫১: ১৭)।
(اِلَّا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا وَ عَمِلُوا الصّٰلِحٰتِ وَ قَلِیۡلٌ مَّا هُمۡ)“...কিন্তু যারা ঈমান আনে আর সৎ ‘আমল করে তারা ব্যতীত, এদের সংখ্যা খুবই কম...”- (সূরাহ্ সোয়াদ ৩৮: ২৪)।
তারা জান্নাতে যাবে বিনা হিসাবে কারণ তারা আনুগত্যের তিক্ততার উপর সবর করেছে আর রাতের নিদ্রার স্বাদকে পরিত্যাগ করেছে। আল্লাহ বলেন, (اِنَّمَا یُوَفَّی الصّٰبِرُوۡنَ اَجۡرَهُمۡ بِغَیۡرِ حِسَابٍ) “আমি ধৈর্যশীলদেরকে তাদের পুরস্কার অপরিমিতভাবে দিয়ে থাকি”- (সূরা আয যুমার ৩৯: ১০)। (মিরক্বাতুল মাফাতীহ)


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-২৮: সৃষ্টির সূচনা ও কিয়ামতের বিভিন্ন অবস্থা (كتاب أَحْوَال الْقِيَامَة وبدء الْخلق)