পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - হিসাব-নিকাশ, প্রতিশোধ গ্রহণ ও মীযানের বর্ণনা
৫৫৬০-[১২] ’আয়িশাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। একদিন তিনি জাহান্নামের কথা স্মরণ করে কেঁদে ফেললেন। তখন রাসূলুল্লাহ (সা.) - প্রশ্ন করলেন, কিসে তোমাকে কাঁদাচ্ছে? তিনি [’আয়িশাহ্ (রাঃ)] বললেন, জাহান্নামের আগুনের কথা স্মরণ করে কাঁদছি। (আচ্ছা বলুন তো!) কিয়ামতের দিন আপনি আপনার পরিবার-পরিজনকে স্মরণ করবেন কি? উত্তরে রাসূলুল্লাহ (সা.) বললেন, (হে ’আয়িশাহ্!) জেনে রাখ, তিনটি জায়গা এমন হবে, যেখানে কেউ কাউকে স্মরণ করবে না। একটি মীযানের কাছে যতক্ষণ না সে জেনে নিবে যে, তার ’আমলের পাল্লা ভারী হয়েছে নাকি হালকা। দ্বিতীয়টি ’আমলনামা পাওয়ার সময়, যখন তাকে বলা হবে, আরে অমুক! এই নাও তোমার আমলনামা এবং তা পড়ে দেখ। যে পর্যন্ত না সে জেনে নিবে যে, তা তাকে ডান হাতে দেয়া হচ্ছে নাকি পিছন থেকে বাম হাতে? আর তৃতীয় হলো ’পুলসিরাত পার হওয়ার সময়, যখন তা জাহান্নামের উপর স্থাপন করা হবে। (আবূ দাউদ)
اَلْفصْلُ الثَّنِفْ (باب الحساب و القصاص و المیزان)
وَعَن عائشةَ أَنَّهَا ذَكَرَتِ النَّارَ فَبَكَتْ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَا يُبْكِيكِ؟» . قَالَتْ: ذَكَرْتُ النَّارَ فَبَكَيْتُ فَهَلْ تَذْكُرُونَ أَهْلِيكُمْ يَوْمَ الْقِيَامَةِ؟ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: أَمَّا فِي ثَلَاثَةِ مَوَاطِنَ فَلَا يَذْكُرُ أَحَدٌ أَحَدًا: عِنْدَ الْمِيزَانِ حَتَّى يَعْلَمَ: أَيَخِفُّ مِيزَانُهُ أَمْ يَثْقُلُ؟ وَعِنْدَ الْكِتَابِ حِينَ يُقَالُ (هاؤم اقرؤوا كِتَابيه) حَتَّى يَعْلَمَ: أَيْنَ يَقَعُ كِتَابُهُ أَفِي يَمِينِهِ أم فِي شِمَاله؟ أم مِنْ وَرَاءِ ظَهْرِهِ؟ وَعِنْدَ الصِّرَاطِ: إِذَا وُضِعَ بينَ ظَهْري جَهَنَّم . رَوَاهُ أَبُو دَاوُد
اسنادہ ضعیف ، رواہ ابوداؤد (4755) * الحسن البصری مدلس و عنعن ۔
(ضَعِيف)
ব্যাখ্যা: (فَهَلْ تَذْكُرُونَ... فَلَا يَذْكُرُ أَحَدٌ أَحَدًا) অর্থাৎ আপনি কী আপনার পরিবারদেরকে কিয়ামতের দিন স্মরণ করবেন? রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, তিন স্থানে কেউ কাউকে স্মরণ করবে না। এর অর্থ হলো, বিশেষভাবে কেউ কাউকে স্মরণ করবে না। কিন্তু (الشَّفَاعَةُ الْعُظْمَى) (বড় শাফা'আত) সবার জন্য আম। কিয়ামতের দিন দাড়িপাল্লা কায়িম করে খাতাগুলোকে পরিমাপ করা হবে যাতে বান্দাদের ‘আমলসমূহ লিপিবদ্ধ থাকবে। যার দুটি পাল্লা থাকবে, একটি নেকীর জন্য অপরটি গুনাহর। প্রত্যেক ব্যক্তি জানতে পারবে তার পাল্লা হালকা হচ্ছে না ভারী। এর প্রকাশ্য অর্থ থেকে বুঝা যায়, এটা প্রত্যেক ব্যক্তির জন্য প্রযোজ্য। এর বাইরে নবী-রাসূলগণও নন।
(هَاؤُم) অর্থ গ্রহণ কর। নাবাবী (রহিমাহুল্লাহ) বলেন, আহলে হাক্বদের অভিমত হলো, অবশ্যই এটা বিস্তৃত পুল যা জাহান্নামের পৃষ্ঠের উপরে অবস্থিত, সব মানুষকে সেটা অতিক্রম করতে হবে। অতঃপর মুমিনরা তাদের ‘আমল ও মর্যাদা অনুযায়ী রেহাই পাবে আর অন্যরা তথায় পতিত হবে।
(মিরক্বাতুল মাফাতীহ)