৫৪৭৫

পরিচ্ছেদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ - কিয়ামতের পূর্বলক্ষণসমূহ এবং দাজ্জালের বর্ণনা

৫৪৭৫-[১২] নাওয়াস ইবনু সাম’আন (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদিন রাসূলুল্লাহ (সা.) দাজ্জালের আলোচনাকালে বললেন, যদি তার আগমন ঘটে আর আমি তোমাদের মাঝে বিদ্যমান থাকি, তখন তোমাদের মধ্যে আমিই তার সাথে দলীল-প্রমাণে বিজয়ী হব। আর আমি যদি বিদ্যমান না থাকি এবং তার আগমন ঘটে, তখন তোমাদের প্রত্যেক লোকই সরাসরি দলীল-প্রমাণে তার মোকাবিলা করবে। তখন প্রত্যেক মুসলিমের জন্য আমার পরিবর্তে আল্লাহ তা’আলাই হবেন সাহায্যকারী। সে হবে, একজন জোয়ান, মাথার চুল কোঁকড়ানো, ফোলা চক্ষুবিশিষ্ট। আমি তাকে (ইয়াহূদী) আবদুল উযযা ইবনু কত্বান-এর সাথে তুলনা করতে পারি। অতএব যে কেউ তাকে পাবে, সে যেন তার সামনে সূরাহ্ আল কাহফ-এর শুরুর আয়াতগুলো পাঠ করে।

অপর এক বর্ণনা আছে যে, সে যেন তার সামনে সূরা কাহফ-এর প্রথমাংশ হতে পাঠ করে। কেননা এ আয়াতগুলো তোমাদেরকে দাজ্জালের ফিতনাহ্ হতে নিরাপদে রাখবে। সে সিরিয়া ও ইরাকের মধ্যবর্তী পথ দিয়ে বের হবে এবং চলার পথে ডানে ও বামে (’র অঞ্চলসমূহ) ক্ষতিকর ফাসাদ সৃষ্টি করবে। হে আল্লাহর বান্দাগণ! তোমরা (ঈমান ও আক্বীদায়) দীনের উপর দৃঢ় থাকবে। আমরা প্রশ্ন করলাম, হে আল্লাহর রাসূল! সে কতদিন জমিনে অবস্থান করবে? তিনি (সা.) বললেন, চল্লিশ দিন। তবে তখনকার একদিন হবে এক বছরের সমান এবং একদিন হবে এক মাসের সমান আর একদিন হবে এক সপ্তাহের সমান। আর অন্যান্য দিনগুলো হবে তোমাদের স্বাভাবিক দিনগুলোর মতো। আমরা প্রশ্ন করলাম, হে আল্লাহর রাসূল! আচ্ছা বলুন তো, সেই একদিন, যা এক বছরের সমান হবে। আমরা প্রশ্ন করলাম, হে আল্লাহর রাসূল! জমিনে তার চলার গতি কি পরিমাণ দ্রুত হবে? তিনি (সা.) বললেন, সে মেঘের মতো, যার পিছনে প্রবল বাতাস রয়েছে। অতঃপর সে কোন এক সম্প্রদায়ের কাছে আসবে এবং তাদেরকে (তার অনুসরণে) আহ্বান করবে। অতএব লোকেরা তার প্রতি ঈমান আনবে। তখন সে আকাশকে নির্দেশ করবে, ফলে জমিন (ঘাস ফসলাদি) উৎপাদন করবে। লোকেদের গবাদিপশু সন্ধ্যায় যখন ফিরবে, তখন উচ্চ কুঁজবিশিষ্ট এবং দুধে ওলান ভর্তি (অবস্থায়) কোমর টেনে ফিরবে। অতঃপর সে (দাজ্জাল) অপরদিকে আহ্বান করবে, কিন্তু তারা তার দাবি অস্বীকার করবে। তখন সে তাদের নিকট থেকে ফিরে আসবে। অতএব সে কওমের লোকেরা মহাদুর্ভিক্ষে নিপতিত হবে। ফলে তাদের হাতে ধন-সম্পদ কিছুই থাকবে না। অতঃপর সে (দাজ্জাল) একটি অনাবাদ পতিত জায়গা অতিক্রম করবে এবং তাকে লক্ষ্য করে বলবে, তোমার ভিতরে যে সমস্ত রয়েছে তা বের করে দাও। অতঃপর উক্ত ধন-সম্পদ এমনিভাবে তাদের পেছনে ছুটতে থাকবে, যেমনিভাবে মৌমাছির দল তাদের সরদার মৌমাছির পিছনে ছুটে চলে।

অতঃপর দাজ্জাল যৌবনে পূর্ণাঙ্গ এক যুবককে তার প্রতি আহ্বান করবে, (কিন্তু তার প্রতি অস্বীকারের দরুন) দাজ্জাল তাকে তরবারির আঘাতে দ্বি-খণ্ডিত করে ফেলবে এবং উভয় খণ্ডকে এত দূরে দূরে নিক্ষেপ করবে যে, একটি নিক্ষিপ্ত তীরের দূরত্ব পরিমাণ তাদের মধ্যে ব্যবধান হবে। অতঃপর সে উভয় খণ্ডকে নিজের কাছে ডাকবে, ফলে ঐ যুবক জীবিত হয়ে তার সামনে উপস্থিত হবে, তখন তার মুখমণ্ডল হাস্যোজ্জল হয়ে উঠবে। যখন সে এ সকল কাণ্ডে লিপ্ত, ঠিক এমনি সময়ে আল্লাহ তা’আলা হঠাৎ ’ঈসা ইবনু মারইয়াম (আঃ) কে (আকাশ হতে) পাঠাবেন এবং তিনি দামিশকের পূর্ব প্রান্তের শ্বেত মিনারা হতে হলুদ রঙের দু’টি কাপড় পরিহিত অবস্থায় দুজন মালাকের (ফেরেশতার) পাখায় হাত রেখে অবতরণ করবেন।
তিনি যখন মাথা নিচু করবেন তখন ফোটা ফোটা ঘর্ম ঝরবে, আর যখন মাথা উঁচু করবেন তখন তা স্বচ্ছ মুক্তার মতো ঝরতে থাকবে। যে কোন কাফির তার শ্বাস-বায়ু তাঁর দৃষ্টির প্রান্তসীমা পর্যন্ত পৌছে যাবে। এ অবস্থায় তিনি দাজ্জালকে অনুসন্ধান করতে থাকবেন। অবশেষে তিনি তাকে (বায়তুল মাক্বদিসের) ’লুদ্দ’ নামক দরজার কাছে পেয়ে তাকে হত্যা করবেন। অতঃপর এমন একটি সম্প্রদায় ’ঈসা (আঃ)-এর কাছে আসবে যাদেরকে আল্লাহ তা’আলা দাজ্জালের ফিতনাহ হতে নিরাপদে রেখেছিলেন। তখন তিনি তাদের মুখমণ্ডলে হাত ফিরাবেন এবং জান্নাতে তাদের জন্য কি পরিমাণ সুউচ্চ মর্যাদা রয়েছে সে সুসংবাদও প্রদান করবেন। এদিকে তিনি এ সমস্ত কাজে লিপ্ত থাকতেই আল্লাহ তা’আলা ’ঈসা আলায়হিস সালাম-এর নিকট এ সংবাদ পাঠাবেন যে, আমি আমার এমন কিছু সংখ্যক বান্দা সৃষ্টি করে রেখেছি, যাদের মোকাবিলা করার ক্ষমতা কারো নেই। অতএব তুমি আমার বান্দাদেরকে ’তুর’ পর্বতে নিয়ে সংরক্ষণ (একত্রিত) কর। অতঃপর আল্লাহ তা’আলা ইয়াজুজ ও মাজুজকে পাঠাবেন। তারা প্রত্যেক উঁচু জায়গা থেকে নিচে জমিনে নেমে দ্রুত বিচরণ করতে থাকবে এবং তাদের প্রথম দল ’ত্ববারিয়্যাহ’ নদী (সিরিয়ার একটি নদী) অতিক্রম করবে এবং তারা এটার সবটুকু পানি পান করে ফেলবে। ফলে তাদের সর্বশেষ দল সে স্থান অতিক্রম করার সময় বলবে, হয়তো কোন সময় এখানে পানি ছিল। অতঃপর তার সামনে অগ্রসর হয়ে ’খমার’ নামক পাহাড় পর্যন্ত পৌছবে। এটা বায়তুল মাক্বদিসের নিকটে অবস্থিত পাহাড়। এখানে পৌঁছে তারা বলবে, জামিনে যারা বসবাস করত, ইতোমধ্যে আমরা নিশ্চিত সকলকে হত্যা করে ফেলেছি! এই বলে তারা আকাশের দিকে তীর নিক্ষেপ করবে।
আর আল্লাহ তা’আলা তাদের তীরগুলোকে রুক্তমাখা অবস্থায় তাদের দিকে ফিরিয়ে দেবেন। এ সময়। আল্লাহর নবী (ঈসা আলায়হিস সালাম) ও তার সঙ্গীগণকে তূর পর্বতে মারাত্মক দুরাবস্থায় অবরোধ করা হবে। অর্থাৎ তারা ভীষণ খাদ্য সংকটের সম্মুখীন হবেন। এমনকি তাদের কারো জন্য একটি গরুর মাথা এ যুগের একশত দীনার (স্বর্ণমুদ্রা) অপেক্ষা বেশি মূল্যবান হবে। এই চরম অবস্থায় আল্লাহ নবী ’ঈসা আলায়হিস্ সালাম এবং তার সঙ্গীগণ আল্লাহর দিকে রুজু হবেন (এবং ইয়াজুজ ও মাজুজ-এর ধ্বংসের জন্য দু’আ করবেন) অতঃপর আল্লাহ তা’আলা তাদের ঘাড়ের উপর বিষাক্ত কীটের ’আযাব অবতীর্ণ করবেন। (এটা উট, বকরির নাকের মধ্যে জন্মে) ফলে তারা মুহূর্তের মধ্যে সমূলে ধ্বংস হয়ে যাবে। অতঃপর আল্লাহর নবী ’ঈসা (আঃ) ও তার সঙ্গীগণ পর্বত থেকে নিচে জমিনে অবতরণ করবেন। কিন্তু ইয়াজুজ ও মাজুজ-এর মরদেহের চর্বি ও দুর্গন্ধ হতে মুক্ত, এমন একবিঘত জমিনও খালি পাবেন না। তখন আল্লাহ তা’আলার কাছে ফরিয়াদ করবেন

অতঃপর আল্লাহ তা’আলা বখতী উটের ঘাড়ের মতো লম্বা লম্বা ঘাড়বিশিষ্ট পাখির ঝাঁক পাঠাবেন। পাখির দল তাদের মরদেহসমূহকে তুলে নেবে এবং যেখানে আল্লাহ ইচ্ছা সেখানে নিয়ে নিক্ষেপ করবে। অবশ্য অন্য এক রিওয়ায়াতে আছে, তাদেরকে ’নহবল’ নামক স্থানে নিয়ে ফেলে দিবে এবং মুসলিমগণ তাদের ধনুক, তীর এবং তীর রাখার কোষসমূহ সাত বছর পর্যন্ত লাকড়িস্বরূপ জ্বালাতে থাকবে। অতঃপর আল্লাহ তা’আলা ব্যাপক বৃষ্টি বর্ষণ করবেন। যার কারণে জনবসতির কোন একটি অংশ, চাই তা মাটির ঘর হোক কিংবা পশমের হোক বাদ থাকবে না, ধৌত করে পরিষ্কার করে দিবে। অবশেষে তা আয়নার মতো পরিষ্কার ও পরিচ্ছন্ন হয়ে যাবে। তারপর জমিনকে বলা হবে, তোমার ফল-ফলাদি বের করে দাও এবং তোমার কল্যাণ ও বরকত ফিরিয়ে আনো। ফলে সে সময় এক দল লোক একটি ডালিম পরিতৃপ্ত হয়ে খাবে এবং তার খোসা দ্বারা লোকেরা ছায়া লাভ করবে। আর দুগ্ধের মধ্যে বরকত দান করা হবে। এমনকি একটি উষ্ট্রীর দুধ একদল লোকের জন্য যথেষ্ট হবে এবং একটি গাভীর দুধ এক সম্প্রদায়ের মানুষের জন্য যথেষ্ট হবে এবং একটি বকরির দুধ একটি পরিবারের লোকের জন্য যথেষ্ট হবে। ঠিক এমনি সময়ে হঠাৎ একদিন আল্লাহ তা’আলা একটি সিগ্ধ বাতাস প্রবাহিত করবেন। তা তাদের বগল স্পর্শ করবে এবং উক্ত বায়ু প্রতিটি মু’মিন মুসলিমের আত্মা কবয করবে, অতঃপর কেবলমাত্র পাপী ও মন্দ লোকেরাই অবশিষ্ট থাকবে, আর তারা গাধার মতো পরস্পর দ্বন্দ্ব-কলহে লিপ্ত হয়ে পড়বে, তখন তাদের ওপরেই কিয়ামত প্রতিষ্ঠিত হবে। (মুসলিম; তবে রিওয়ায়াতের দ্বিতীয়াংশ অর্থাৎ (تَطْرَ بِاْلنَّهْبَلِ) হতে (سَبْعَ سِبِيْن) পর্যন্ত তিরমিযী বর্ণনা করেছেন)

الفصل الاول (بَابُ الْعَلَامَاتِ بَيْنَ يَدَيِ السَّاعَةِ وَذِكْرِ الدَّجَّالِ)

وَعَن النوَّاس بن سمْعَان قَالَ: ذَكَرَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الدَّجَّالَ فَقَالَ: «إِنْ يَخْرُجْ وَأَنَا فِيكُمْ فَأَنَا حَجِيجُهُ دُونَكُمْ وَإِنْ يَخْرُجْ وَلَسْتُ فِيكُمْ فَامْرُؤٌ حَجِيجُ نَفْسِهِ وَاللَّهُ خَلِيفَتِي عَلَى كُلِّ مُسْلِمٍ إِنَّهُ شَابٌّ قَطَطٌ عَيْنُهُ طَافِيَةٌ كَأَنِّي أُشَبِّهُهُ بِعَبْدِ الْعُزَّى بْنِ قَطَنٍ فَمَنْ أَدْرَكَهُ مِنْكُمْ فَلْيَقْرَأْ عَلَيْهِ فَوَاتِحَ سُورَةِ الْكَهْفِ» . وَفِي رِوَايَةٍ «فَلْيَقْرَأْ عَلَيْهِ بِفَوَاتِحِ سُورَةِ الْكَهْفِ فَإِنَّهَا جوارُكم من فتنته إِنَّه خَارج خلة بِي الشَّامِ وَالْعِرَاقِ فَعَاثَ يَمِينًا وَعَاثَ شِمَالًا يَا عِبَادَ اللَّهِ فَاثْبُتُوا» . قُلْنَا: يَا رَسُولَ اللَّهِ وَمَا لَبْثُهُ فِي الْأَرْضِ؟ قَالَ: «أَرْبَعُونَ يَوْمًا يَوْمٌ كَسَنَةٍ وَيَوْمٌ كَشَهْرٍ وَيَوْمٌ كَجُمُعَةٍ وَسَائِرُ أَيَّامِهِ كَأَيَّامِكُمْ» . قُلْنَا: يَا رَسُولَ اللَّهِ فَذَلِكَ الْيَوْمُ الَّذِي كَسَنَةٍ أَتَكْفِينَا فِيهِ صَلَاةُ يَوْمٍ. قَالَ: «لَا اقْدُرُوا لَهُ قَدَرَه» . قُلْنَا: يَا رسولَ اللَّهِ وَمَا إِسْرَاعُهُ فِي الْأَرْضِ؟ قَالَ: كَالْغَيْثِ اسْتَدْبَرَتْهُ الرِّيحُ فَيَأْتِي عَلَى الْقَوْمِ فَيَدْعُوهُمْ فَيُؤْمِنُونَ بِهِ فَيَأْمُرُ السَّمَاءَ فَتُمْطِرُ وَالْأَرْضَ فَتُنْبِتُ فَتَرُوحُ عَلَيْهِمْ سَارِحَتُهُمْ أَطْوَلَ مَا كَانَتْ ذُرًى وَأَسْبَغَهُ ضُرُوعًا وَأَمَدَّهُ خَوَاصِرَ ثُمَّ يَأْتِي الْقَوْمَ فَيَدْعُوهُمْ فَيَرُدُّونَ عَلَيْهِ قَوْله فَيَنْصَرِف عَنْهُم فيصبحون مملحين لَيْسَ بِأَيْدِيهِمْ شَيْءٌ مِنْ أَمْوَالِهِمْ وَيَمُرُّ بِالْخَرِبَةِ فَيَقُولُ لَهَا: أَخْرِجِي كُنُوزَكِ فَتَتْبَعُهُ كُنُوزُهَا كَيَعَاسِيبِ النَّحْلِ ثُمَّ يَدْعُو رَجُلًا مُمْتَلِئًا شَبَابًا فَيَضْرِبُهُ بِالسَّيْفِ فَيَقْطَعُهُ جَزْلَتَيْنِ رَمْيَةَ الْغَرَضِ ثُمَّ يَدْعُوهُ فَيُقْبِلُ وَيَتَهَلَّلُ وَجْهُهُ يَضْحَكُ فَبَيْنَمَا هُوَ كَذَلِكَ إِذْ بَعَثَ اللَّهُ الْمَسِيحَ بْنَ مَرْيَمَ فَيَنْزِلُ عِنْد المنارة الْبَيْضَاء شرقيّ دمشق بَين مهروذتين وَاضِعًا كَفَّيْهِ عَلَى أَجْنِحَةِ مَلَكَيْنِ إِذَا طَأْطَأَ رَأسه قطر وَإِذا رَفعه تحدرمنه مثل جُمان كَاللُّؤْلُؤِ فَلَا يحل لكافرٍ يَجِدَ مِنْ رِيحِ نَفَسِهِ إِلَّا مَاتَ وَنَفَسُهُ يَنْتَهِي حَيْثُ يَنْتَهِي طَرْفُهُ فَيَطْلُبُهُ حَتَّى يُدْرِكَهُ بِبَاب لُدٍّ فيقتُلُه ثمَّ يَأْتِي عِيسَى إِلى قَوْمٌ قَدْ عَصَمَهُمُ اللَّهُ مِنْهُ فَيَمْسَحُ عَنْ وُجُوهِهِمْ وَيُحَدِّثُهُمْ بِدَرَجَاتِهِمْ فِي الْجَنَّةِ فَبَيْنَمَا هُوَ كَذَلِكَ إِذْ أَوْحَى اللَّهُ إِلَى عِيسَى: أَنِّي قَدْ أَخْرَجْتُ عِبَادًا لِي لَا يَدَانِ لِأَحَدٍ بِقِتَالِهِمْ فَحَرِّزْ عِبَادِيَ إِلَى الطُّورِ وَيَبْعَثُ اللَّهُ يَأْجُوجَ وَمَأْجُوجَ (وَهُمْ مِنْ كُلِّ حَدَبٍ يَنْسِلُونَ) فَيَمُرُّ أَوَائِلُهُمْ عَلَى بُحَيْرَةِ طَبَرِيَّةَ فَيَشْرَبُونَ مَا فِيهَا ويمر آخِرهم وَيَقُول: لَقَدْ كَانَ بِهَذِهِ مَرَّةً مَاءٌ ثُمَّ يَسِيرُونَ حَتَّى يَنْتَهُوا إِلَى جَبَلِ الْخَمَرِ وَهُوَ جَبَلُ بَيْتِ الْمَقْدِسِ فَيَقُولُونَ لَقَدْ قَتَلْنَا مَنْ فِي الْأَرْضِ هَلُمَّ فَلْنَقْتُلْ مَنْ فِي السَّمَاءِ فَيَرْمُونَ بِنُشَّابِهِمْ إِلَى السَّمَاءِ فَيَرُدُّ اللَّهُ عَلَيْهِمْ نُشَّابَهُمْ مَخْضُوبَةً دَمًا وَيُحْصَرُ نَبِيُّ اللَّهِ وَأَصْحَابُهُ حَتَّى يَكُونَ رَأْسُ الثَّوْرِ لِأَحَدِهِمْ خَيْرًا مِنْ مِائَةِ دِينَارٍ لِأَحَدِكُمُ الْيَوْمَ فَيَرْغَبُ نَبِيُّ اللَّهِ عِيسَى وَأَصْحَابُهُ فَيُرْسِلُ اللَّهُ عَلَيْهِمُ النَّغَفَ فِي رِقَابِهِمْ فَيُصْبِحُونَ فَرْسَى كَمَوْتِ نَفْسٍ وَاحِدَةٍ ثُمَّ يَهْبِطُ نَبِيُّ اللَّهِ عِيسَى وَأَصْحَابُهُ إِلَى الْأَرْضِ فَلَا يَجِدُونَ فِي الْأَرْضِ مَوْضِعَ شِبْرٍ إِلَّا مَلَأَهُ زَهَمُهُمْ وَنَتْنُهُمْ فَيَرْغَبُ نَبِيُّ اللَّهِ عِيسَى وَأَصْحَابُهُ إِلَى اللَّهِ فَيُرْسِلُ اللَّهُ طَيْرًا كَأَعْنَاقِ الْبُخْتِ فَتَحْمِلُهُمْ فَتَطْرَحُهُمْ حَيْثُ شَاءَ اللَّهُ «. وَفِي رِوَايَةٍ» تَطْرَحُهُمْ بِالنَّهْبَلِ وَيَسْتَوْقِدُ الْمُسْلِمُونَ مِنْ قِسِيِّهِمْ وَنُشَّابِهِمْ وَجِعَابِهِمْ سَبْعَ سِنِينَ ثُمَّ يُرْسِلُ اللَّهُ مَطَرًا لَا يَكُنُّ مِنْهُ بَيْتُ مَدَرٍ وَلَا وَبَرٍ فَيَغْسِلُ الْأَرْضَ حَتَّى يَتْرُكَهَا كَالزَّلَفَةِ ثُمَّ يُقَالُ لِلْأَرْضِ: أَنْبِتِي ثَمَرَتَكِ وَرُدِّي بَرَكَتَكِ فَيَوْمَئِذٍ تَأْكُلُ الْعِصَابَةُ مِنَ الرُّمَّانَةِ وَيَسْتَظِلُّونَ بِقِحْفِهَا وَيُبَارَكُ فِي الرِّسْلِ حَتَّى إِنَّ اللِّقْحَةَ مِنَ الْإِبِلِ لَتَكْفِي الْفِئَامَ مِنَ النَّاسِ وَاللِّقْحَةَ مِنَ الْبَقَرِ لَتَكْفِي الْقَبِيلَةَ مِنَ النَّاسِ وَاللِّقْحَةَ مِنَ الْغَنَمِ لَتَكْفِي الْفَخْذَ مِنَ النَّاسِ فَبَيْنَا هُمْ كَذَلِكَ إِذْ بَعَثَ اللَّهُ رِيحًا طَيِّبَةً فَتَأْخُذُهُمْ تَحْتَ آبَاطِهِمْ فَتَقْبِضُ رُوحَ كُلِّ مؤمنٍ وكلِّ مسلمٍ وَيَبْقَى شِرَارُ النَّاسِ يَتَهَارَجُونَ فِيهَا تَهَارُجَ الْحُمُرِ فَعَلَيْهِمْ تَقُومُ السَّاعَةُ رَوَاهُ مُسْلِمٌ إِلَّا الرِّوَايَةَ الثَّانِيَةَ وَهِيَ قَوْلُهُ: تَطْرَحُهُمْ بِالنَّهْبَلِ إِلَى قَوْلِهِ: سبع سِنِين . رَوَاهَا التِّرْمِذِيّ

رواہ مسلم (111 ، 110 / 2937)، (7373 و 7374) و الترمذی (2240 وقال : غریب حسن صحیح) ۔
(صَحِيح)

وعن النواس بن سمعان قال: ذكر رسول الله صلى الله عليه وسلم الدجال فقال: «ان يخرج وانا فيكم فانا حجيجه دونكم وان يخرج ولست فيكم فامرو حجيج نفسه والله خليفتي على كل مسلم انه شاب قطط عينه طافية كاني اشبهه بعبد العزى بن قطن فمن ادركه منكم فليقرا عليه فواتح سورة الكهف» . وفي رواية «فليقرا عليه بفواتح سورة الكهف فانها جواركم من فتنته انه خارج خلة بي الشام والعراق فعاث يمينا وعاث شمالا يا عباد الله فاثبتوا» . قلنا: يا رسول الله وما لبثه في الارض؟ قال: «اربعون يوما يوم كسنة ويوم كشهر ويوم كجمعة وساىر ايامه كايامكم» . قلنا: يا رسول الله فذلك اليوم الذي كسنة اتكفينا فيه صلاة يوم. قال: «لا اقدروا له قدره» . قلنا: يا رسول الله وما اسراعه في الارض؟ قال: كالغيث استدبرته الريح فياتي على القوم فيدعوهم فيومنون به فيامر السماء فتمطر والارض فتنبت فتروح عليهم سارحتهم اطول ما كانت ذرى واسبغه ضروعا وامده خواصر ثم ياتي القوم فيدعوهم فيردون عليه قوله فينصرف عنهم فيصبحون مملحين ليس بايديهم شيء من اموالهم ويمر بالخربة فيقول لها: اخرجي كنوزك فتتبعه كنوزها كيعاسيب النحل ثم يدعو رجلا ممتلىا شبابا فيضربه بالسيف فيقطعه جزلتين رمية الغرض ثم يدعوه فيقبل ويتهلل وجهه يضحك فبينما هو كذلك اذ بعث الله المسيح بن مريم فينزل عند المنارة البيضاء شرقي دمشق بين مهروذتين واضعا كفيه على اجنحة ملكين اذا طاطا راسه قطر واذا رفعه تحدرمنه مثل جمان كاللولو فلا يحل لكافر يجد من ريح نفسه الا مات ونفسه ينتهي حيث ينتهي طرفه فيطلبه حتى يدركه بباب لد فيقتله ثم ياتي عيسى الى قوم قد عصمهم الله منه فيمسح عن وجوههم ويحدثهم بدرجاتهم في الجنة فبينما هو كذلك اذ اوحى الله الى عيسى: اني قد اخرجت عبادا لي لا يدان لاحد بقتالهم فحرز عبادي الى الطور ويبعث الله ياجوج وماجوج (وهم من كل حدب ينسلون) فيمر اواىلهم على بحيرة طبرية فيشربون ما فيها ويمر اخرهم ويقول: لقد كان بهذه مرة ماء ثم يسيرون حتى ينتهوا الى جبل الخمر وهو جبل بيت المقدس فيقولون لقد قتلنا من في الارض هلم فلنقتل من في السماء فيرمون بنشابهم الى السماء فيرد الله عليهم نشابهم مخضوبة دما ويحصر نبي الله واصحابه حتى يكون راس الثور لاحدهم خيرا من ماىة دينار لاحدكم اليوم فيرغب نبي الله عيسى واصحابه فيرسل الله عليهم النغف في رقابهم فيصبحون فرسى كموت نفس واحدة ثم يهبط نبي الله عيسى واصحابه الى الارض فلا يجدون في الارض موضع شبر الا ملاه زهمهم ونتنهم فيرغب نبي الله عيسى واصحابه الى الله فيرسل الله طيرا كاعناق البخت فتحملهم فتطرحهم حيث شاء الله «. وفي رواية» تطرحهم بالنهبل ويستوقد المسلمون من قسيهم ونشابهم وجعابهم سبع سنين ثم يرسل الله مطرا لا يكن منه بيت مدر ولا وبر فيغسل الارض حتى يتركها كالزلفة ثم يقال للارض: انبتي ثمرتك وردي بركتك فيومىذ تاكل العصابة من الرمانة ويستظلون بقحفها ويبارك في الرسل حتى ان اللقحة من الابل لتكفي الفىام من الناس واللقحة من البقر لتكفي القبيلة من الناس واللقحة من الغنم لتكفي الفخذ من الناس فبينا هم كذلك اذ بعث الله ريحا طيبة فتاخذهم تحت اباطهم فتقبض روح كل مومن وكل مسلم ويبقى شرار الناس يتهارجون فيها تهارج الحمر فعليهم تقوم الساعة رواه مسلم الا الرواية الثانية وهي قوله: تطرحهم بالنهبل الى قوله: سبع سنين . رواها الترمذي رواہ مسلم (111 ، 110 / 2937)، (7373 و 7374) و الترمذی (2240 وقال : غریب حسن صحیح) ۔ (صحيح)

ব্যাখ্যা: (ذَكَرَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الدَّجَّالَ) রাসূলুল্লাহ (সা.) দাজ্জালের কথা আলোচনা করলেন অর্থাৎ তার আবির্ভাব তার সমস্ত কর্মকাণ্ড এবং তার মাধ্যমে মানুষকে পরীক্ষায় ফেলার ব্যাপারে আলোচনা করলেন।
(إِنْ يَخْرُجْ وَأَنَا فِيكُمْ فَأَنَا حَجِيجُهُ) যদি সে বের হয় আর আমি তোমাদের মাঝে বিদ্যমান থাকি তাহলে আমি দলীল প্রমাণের মাধ্যমে তাকে প্রতিহত করব।
(دُونَكُمْ) তোমাদের সম্মুখে থাকব এবং তোমাদের পক্ষ থেকে প্রতিহত করব। আমি তোমাদের নেতৃত্ব দিব ও তোমাদের সামনে থাকব। এখানে শিক্ষণীয় বিষয় হচ্ছে, নবী (সা.) দাজ্জালের সাথে বিজিত হওয়ার জন্য তার উম্মতের মধ্যে কোন ব্যক্তির সাহায্যের প্রয়োজন নেই।
(وَإِنْ يَخْرُجْ وَلَسْتُ فِيكُمْ فَامْرُؤٌ حَجِيجُ نَفْسِهِ) আর যদি সে বের হয় এবং আমি তোমাদের মাঝে বিদ্যমান না থাকি তাহলে প্রত্যেক ব্যক্তি তার সাথে দলীল প্রমাণের সাহায্যে ঝগড়া ও বিতর্ক করে তাকে পরাজিত করবে। আল্লামাহ্ মুল্লা আলী ক্বারী (রহিমাহুল্লাহ) বলেন, অর্থাৎ আর অনিষ্ট থেকে নিজেকে দলীল প্রমাণের মাধ্যমে প্রতিহত করবে। এটা সেক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে যদি সে দলীল শুনে। অন্যথা এর অর্থ হবে প্রত্যেকেই নিজের ওপর থেকে তার অনিষ্টকে প্রতিহত করবে তাকে মিথ্যাবাদী প্রমাণিত করে এবং তার দেয়া ‘আযাবকে গ্রহণ করার মাধ্যমে।

(وَاللَّهُ خَلِيفَتِي عَلَى كُلِّ مُسْلِمٍ) অর্থাৎ আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'আলা প্রত্যেক মুসলিমের অভিভাবক এবং তার হিফাযাতকারী। তিনি তাকে তার বিরুদ্ধে সাহায্য করবেন ও তার অনিষ্টকে প্রতিহত করবেন। এটা একটি স্পষ্ট দলীল যে, আল্লাহর মুমিন বান্দা সর্বদা বিজয় লাভ করবে যদিও তার সাথে কোন নবী অথবা ইমাম না থাকে। এর মাধ্যমে শী'আদের ইমাম আগমনের ধারণাকে খণ্ডন করা হয়েছে।

(فَمَنْ أَدْرَكَهُ مِنْكُمْ فَلْيَقْرَأْ عَلَيْهِ فَوَاتِحَ سُورَةِ الْكَهْفِ) যদি তোমাদের মধ্যে কেউ তাকে পেয়ে যায় তাহলে সে যেন সূরাহ্ আল কাহফ-এর শুরু থেকে কিছু অংশ পাঠ করে তাহলে তা তোমাদেরকে তার ফিতনা থেকে হিফাযত করবে। আবূ দাউদ ও সহীহ মুসলিমে মারফু সূত্রে বর্ণিত হয়েছে, যে ব্যক্তি প্রথম থেকে দশটি আয়াত মুখস্থ করবে সে দাজ্জাল থেকে নিরাপদে থাকবে। তবে নাসায়ীতে বর্ণিত হয়েছে, যে ব্যক্তি সূরাহ্ আল কাহফ-এর শেষ দশ আয়াত পাঠ করবে সে দাজ্জালের ফেতনা থেকে নিরাপদে থাকবে। তিরমিযীর এক বর্ণনায় আছে, যে সূরাহ আল কাহফ-এর শুরু থেকে তিনটি আয়াত পাঠ করবে সে দাজ্জালের ফিনাহ থেকে বেঁচে থাকবে। অতএব হাদীসগুলোর মধ্যে সমন্বয় করা যায় এভাবে:
১) যে দশটি আয়ত পাঠ করল, সে তিনটির ‘আমলও করে ফেলল।
২) অথবা দশটি আয়াতের হাদীস মুখস্থের ক্ষেত্রে এবং তিনটির হাদীস পাঠ করার ক্ষেত্রে। অতএব যে দশটি আয়াত মুখস্থ করবে এবং তিনটি পাঠ করবে, সে দাজ্জালের ফিতনাহ থেকে বাঁচবে।
৩) অথবা যারা দশটি আয়াত মুখস্থ করবে তারা দাজ্জালের সাক্ষাৎ হলে তার ফিতনাহ্ থেকে বাঁচবে আর যারা তিনটি আয়াত পাঠ করবে তারা তার ফিতনাহ থেকে বাঁচবে যদিও তার সাক্ষাৎ না হয়।
৪) অথবা মুখস্থ করার দ্বারা উদ্দেশ্য হলো, না দেখে পাঠ করা আর বাঁচার অর্থ হলো দাজ্জালের ফিতনাহ থেকে রক্ষা পাওয়া।

(لْنَا: يَا رَسُولَ اللَّهِ وَمَا لَبْثُهُ فِي الْأَرْضِ؟) আমরা বললাম: হে আল্লাহর রাসূল ! সে পৃথিবীতে কতদিন অবস্থান করবে? তিনি (সা.) বললেন, ৪০ দিন যার ১ দিন হবে ১ বছরের মতো দীর্ঘ অথবা চিন্তাভাবনার ব্যাপকতার জন্য ১ দিন ১ বছর মনে হবে এবং ১ দিন মাসের মতো এবং ১ দিন জুমু'আর মতো এবং অন্যান্য দিনগুলো তোমাদের দিনের মতোই হবে। ইবনু মালিক (রহিমাহুল্লাহ) বলেন, এর মর্ম হচ্ছে প্রথম দিনটি মুমিনদের চিন্তার ব্যাপকতা ও কঠিন বিপদাপদের জন্য এক বছর মনে হবে। দ্বিতীয় দিনটি তার চক্রান্ত ও সমস্যাগুলো আগের তুলনায় সহজ হওয়ায় মাসের মতো মনে হবে এবং তৃতীয় দিনটি জুমু'আর দিনের মতো দীর্ঘ মনে হওয়ার কারণ হলো সত্য দিন দিন প্রকাশিত হবে এবং মিথ্যার প্রভাব কমতে থাকবে।

আমরা বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! যে দিনটি বছরের মতো দীর্ঘ হবে তাতে কি শুধু একদিনের সালাতই আমাদের জন্য যথেষ্ট হবে? তিনি (সা.) বললেন, না, বরং তোমরা এর সময় নির্ধারণ করে নাও। ‘আল্লামাহ্ ক্বারী (রহিমাহুল্লাহ) কতিপয় ভাষ্যকার থেকে এর মর্ম বর্ণনা করে বলেন, যে দিনটি বছরের সমান দীর্ঘ হবে সে দিনটিকে প্রতিদিনের সময় অনুযায়ী ভাগ করে সালাত আদায় করবে। ইমাম নবাবী (রহিমাহুল্লাহ) বলেন, হাদীসের মর্ম হচ্ছে প্রতিদিন সূর্য উদয়ের পর যুহর পর্যন্ত যতটুকু সময় হয় সেই পরিমাণ সময় অতিক্রম করলে যুহরের সালাত আদায় করবে। এরপর যতটুকু সময় অতিক্রম করলে আসরের সময় হয় ততটুকু সময় পরে ‘আসরের সালাত আদায় করবে। এরপর মাগরিব ‘ইশা ফজর এভাবে ঐ দিন শেষ হওয়া পর্যন্ত সময়ভাগ করে সালাত আদায় করবে। তাহলেই ১ বছর সমপরিমাণ দীর্ঘ দিনের সকল ফরয সালাতসমূহ যথাসময়ে আদায় হয়ে যাবে। এমনিভাবে দ্বিতীয় যে দিনটি মাসের মত হবে এবং তৃতীয় যে দিনটি জুমু'আর মতো হবে তা প্রথম দিনটির মতো সময়ানুযায়ী সালাত আদায় করবে।

(فَيَنْزِلُ عِنْد المنارة الْبَيْضَاء شرقيّ دمشق) অতঃপর ‘ঈসা আলায়হিস সালাম দামিশকের পূর্বদিকে সাদা মিনার থেকে নেমে আসবেন। আল্লামাহ সুয়ুত্বী ইবনু মাজার বর্ণনার টীকায় বলেন, আল্লামাহ ইবনু কাসীর ভিন্ন সূত্রে বলেন যে, তিনি ‘ঈসা আলায়হিস সালাম বায়তুল মাক্বদিস মাসজিদে অবতরণ করবেন। উভয় বর্ণনায় সমন্বয় হচ্ছে, বায়তুল মাক্বদিস দামিস্ক শহরের অন্তর্গত, অতএব এটাই সঠিক মত। অতঃপর ‘ঈসা আলায়হিস সালাম বাবে লুদ্দ নামক স্থানে দাজ্জালকে ধরে হত্যা করে ফেলবেন। (মিরক্বাতুল মাফাতীহ, আওনুল মা'বূদ ৭ম খণ্ড, হা, ৪৩১৩)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-২৭: ফিতনাহ (كتاب الْفِتَن)