৫৪৬৭

পরিচ্ছেদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ - কিয়ামতের পূর্বলক্ষণসমূহ এবং দাজ্জালের বর্ণনা

৫৪৬৭-[৪] আবু হুরায়রাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন: তিনটি নিদর্শন যখন প্রকাশ পাবে তখন আর কারো ঈমান ও আমল তার কোন কাজে আসবে না, যদি তার পূর্বে ঈমান এনে না থাকে অথবা ঈমানের সাথে আমল সঞ্চয় না করে থাকে। আর তা হলো পশ্চিমাকাশ থেকে সূর্য উদিত হওয়া, দাজ্জালের আবির্ভাব এবং ’দাব্বাতুল আরয বের হওয়া। (মুসলিম)

الفصل الاول (بَابُ الْعَلَامَاتِ بَيْنَ يَدَيِ السَّاعَةِ وَذِكْرِ الدَّجَّالِ)

وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «ثَلَاثٌ إِذَا خَرَجْنَ (لَا يَنْفَعُ نَفْسًا إِيمَانُهَا لَمْ تَكُنْ آمَنَتْ مِنْ قَبْلُ أَوْ كَسَبَتْ فِي إِيمَانِهَا خَيْرًا) طُلُوعُ الشَّمْسِ مِنْ مَغْرِبِهَا وَالدَّجَّالُ وَدَابَّةُ الْأَرْضِ» . رَوَاهُ مُسلم

رواہ مسلم (249 / 158)، (398) ۔
(صَحِيح)

وعن ابي هريرة قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: «ثلاث اذا خرجن (لا ينفع نفسا ايمانها لم تكن امنت من قبل او كسبت في ايمانها خيرا) طلوع الشمس من مغربها والدجال ودابة الارض» . رواه مسلم رواہ مسلم (249 / 158)، (398) ۔ (صحيح)

ব্যাখ্যা: ثَلَاثٌ إِذَا خَرَجْنَ (لَا يَنْفَعُ نَفْسًا إِيمَانُهَا لَمْ تَكُنْ آمَنَتْ مِنْ قَبْلُ) তিনটি নিদর্শন প্রকাশ পেলে যারা ইতোপূর্বে ঈমান আনেনি অথবা ঈমান অনুযায়ী আমল করেনি, তাদের ‘আমল কোনই কাজে আসবে না। নিদর্শন তিনটি হলো: সূর্য পশ্চিম দিগন্তে উদিত হওয়া দাজ্জাল এবং দাব্বাতুল আরয বা ভূগর্ভ থেকে বেরিয়া আসা বিরাট প্রাণী।
এ হাদীসে সূর্য পশ্চিম দিগন্তে উদিত হওয়ার কথা আগে বলা হয়েছে যদিও তা অন্যান্য নিদর্শনের পরে আসার কথা। কেননা তাওবাহ্ কবুল না হওয়ার ব্যাপারটি এর সাথে সংশ্লিষ্ট। (মিরকাতুল মাফাতীহ)

(لَا يَنْفَعُ نَفْسًا إِيمَانُهَا) এর ব্যাখ্যায় ‘আওনুল মা'বুদ গ্রন্থে বলা হয়েছে, মু'তাযিলাগণ এই আয়াত দ্বারা দলীল গ্রহণ করে থাকেন যে, ঈমানের সাথে আমলের কোন সম্পর্ক নেই। এমনকি আমল করলেও তার দ্বারা উপকৃত হবে না। এর জবাব হচ্ছে, ব্যক্তি তার ‘আমল দ্বারা অবশ্যই উপকৃত হবে। কিন্তু যদি কোন কাফির কিয়ামতের উক্ত লক্ষণ প্রকাশ পাওয়ার পর ঈমান আনে অথবা কোন ফাসিক বা পাপী ব্যক্তি অন্যায় কাজ থেকে তাওবাহ করে, নেক আমল করতে থাকে তাহলে এই ‘আমল কোনই কাজে আসবে না।
‘আল্লামাহ্ শাওকানী (রহিমাহুল্লাহ) তাঁর 'ফাতহুল ক্বদীর’ গ্রন্থে এ ব্যাপারে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন। সত্য উন্মোচনের জন্য তা পাঠকের পড়া উচিত। ('আওনুল মা'বুদ ৭/৪৩৪)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-২৭: ফিতনাহ (كتاب الْفِتَن)