পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - কিয়ামতের আলামত
৫৪৫০-[১৪] আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন: যখন গনীমতের সম্পদকে ব্যক্তিগত সম্পদরূপে ব্যবহার করা হবে, আমানতকে গনীমতের সম্পদ মনে করা হবে যাকাতকে জরিমানা ধারণ করা হবে, দীন ছাড়া অন্য উদ্দেশ্য বিদ্যা হাসিল করা হবে, পুরুষ তার স্ত্রীর আনুগত্য করবে এবং মায়ের নাফরমানী করবে আর বন্ধুকে খুব কাছে স্থান দেবে এবং আপন পিতাকে দুরে সরিয়ে রাখবে, মসজিদসমূহে উচ্চ আওয়াজ করা হবে, ফাসিক লোকই গোত্রের সরদার হবে, জাতির নিকৃষ্টতম লোক তাদের নেতা হবে, ক্ষতির আশঙ্কায় মানুষের সম্মান করা হবে, গায়িকা ও বাদ্যযন্ত্রাদি ব্যাপকভাবে প্রকাশ লাভ করবে, মদ্যপান বেড়ে যাবে এবং এ উম্মাতের পরবর্তীকালের লোকেরা পূর্ববর্তী লোকেদের প্রতি অভিসম্পাত করতে থাকবে। সেই সময় তোমরা অপেক্ষা কর, রক্তবর্ণের ঝড়ের, ভূকম্পনের ভূমি ধসের, রূপ বিকৃতির, পাথর বর্ষণের এবং সুতা ছেড়ে পুঁতির দানা যেভাবে পড়তে থাকে অনুরূপ একটির পর একটি নিদর্শনসমূহের। (তিরমিযী)
اَلْفصْلُ الثَّنِفْ (بَاب أَشْرَاط السَّاعَة)
وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِذَا اتُّخِذَ الْفَيْءُ دِوَلًا وَالْأَمَانَةُ مَغْنَمًا وَالزَّكَاةُ مَغْرَمًا وَتُعُلِّمَ لِغَيْرِ الدِّينِ وَأَطَاعَ الرَّجُلُ امْرَأَتَهُ وَعَقَّ أُمَّهُ وَأَدْنَى صَدِيقَهُ وَأَقْصَى أَبَاهُ وَظَهَرَتِ الْأَصْوَاتُ فِي الْمَسَاجِدِ وَسَادَ الْقَبِيلَةَ فَاسِقُهُمْ وَكَانَ زَعِيمُ الْقَوْمِ أَرْذَلَهُمْ وَأُكْرِمَ الرَّجُلُ مَخَافَةَ شَرِّهِ وَظَهَرَتِ الْقَيْنَاتُ وَالْمَعَازِفُ وشُربتِ الخمورُ وَلَعَنَ آخِرُ هَذِهِ الْأُمَّةِ أَوَّلَهَا فَارْتَقِبُوا عِنْدَ ذَلِكَ رِيحًا حَمْرَاءَ وَزَلْزَلَةً وَخَسْفًا وَمَسْخًا وَقَذْفًا وَآيَاتٍ تَتَابَعُ كَنِظَامٍ قُطِعَ سِلْكُهُ فَتَتَابَعَ» . رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ
اسنادہ ضعیف ، رواہ الترمذی (2211 وقال : غریب) * فیہ رمیح : مجھول کما فی التقریب و الکاشف (1 / 243) وغیرھما ۔
(ضَعِيفٌ)
ব্যাখ্যা: (ظَهَرَتِ الْأَصْواتُ) মসজিদে লোকজন উচ্চ আওয়াজ করে কথা বলবে। বিশেষভাবে ব্যবসায়িক লেনদেন, অনর্থক কথা ও হাসি-তামাসা; এসবই মসজিদে চলতে থাকবে। মুল্লা ‘আলী আল ক্বারী (রহিমাহুল্লাহ) বলেন: এসব বর্তমান যামানায় অধিক পরিমাণে বৃদ্ধি পেয়েছে, অর্থাৎ আমাদের কতিপয় হানাফী উলামাগণ বলেন: মসজিদে যিক্র-আযকারও উচ্চ আওয়াজ করা হারাম। (তুহফাতুল আহওয়ায়ী ৬ষ্ঠ খণ্ড, ৭৬ পৃ., হা, ২২১০)
(وَلَعَنَ آخِرُ هَذِهِ الْأُمَّةِ أَوَّلَهَا) এখানে এ ইঙ্গিত করা হয়েছে যে, নিশ্চয় এ আলামতটি এ জাতির বৈশিষ্ট্য যা পূর্ববর্তী জাতির মাঝে ছিল না। আর এটাই হলো কিয়ামতের আলামত। আল্লামাহ্ ত্বীবী (রহিমাহুল্লাহ) বলেছেন, এ জাতি পূর্ববর্তীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করবে ও তাদেরকে খারাপভাবে স্মরণ করবে। তাদের কোন সৎ ‘আমলের অনুসরণ না করা এটাই যেন তাদেরকে অভিশাপ দেয়া। বিশ্ববাসীর কাছে এ বিষয়টি গোপন নেই যে, আল্লাহ তা'আলা পূর্ববর্তীদের ব্যাপারে বলেছেন: “পূর্ববর্তী মুহাজির ও আনসারগণ এবং যারা তাদের একনিষ্ঠ অনুসারী, আল্লাহ তা'আলা তাদের প্রতি সন্তুষ্ট ও তারাও তাঁর প্রতি সন্তুষ্ট”- (সূরাহ্ আত্ তাওবাহ্ ৯: ১০০) আমরা তাদের শানে কি বলব? আল্লাহ তা'আলা এটাও শিক্ষা দিয়েছেন, তা হলো: “হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদেরকে ও আমাদের ভাইগণ যারা ঈমান আনয়নের ক্ষেত্রে আমাদের অগ্রগামী হয়েছে তাদেরকে ক্ষমা করুন”- (সূরা আল হাশর ৫৯: ১০)। (মিরকাতুল মাফাতীহ)