৫৩১৪

পরিচ্ছেদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ - লোক দেখানো ও শুনানোর ব্যাপারে বর্ণনা

রিয়া হচ্ছে মূলত মানুষকে দেখানোর উদ্দেশে কোন নেক আমল করা। আর সুম’আহ্ হচ্ছে, মানুষকে শুনানোর জন্য কোন ভালো কাজ বা ভালো কথা বলা। এতে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করা আসল উদ্দেশ্য থাকে না। কখনো উভয় শব্দকে এই অর্থ বুঝানোর জন্য তাগিদ হিসেবে নিয়ে আসা হয়। এর বিপরীত শব্দ হচ্ছে ইখলাস তথা আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য একনিষ্ঠভাবে কোন কাজ করা। (মিরক্বাতুল মাফাতীহ)


৫৩১৪-[১] আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন: নিঃসন্দেহে আল্লাহ তা’আলা তোমাদের বাহ্যিক আকৃতি ও সম্পদের প্রতি দৃষ্টি দেন না, বরং তিনি তোমাদের অন্তর ও ’আমলের প্রতি দৃষ্টি দেন। (মুসলিম)

 

الفصل الاول (بَاب الرِّيَاء والسمعة)

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنَّ اللَّهَ لَا ينظر إِلَى صوركُمْ وَلَا أموالِكم وَلَكِنْ يَنْظُرُ إِلَى قُلُوبِكُمْ وَأَعْمَالِكُمْ» . رَوَاهُ مُسْلِمٌ

رواہ مسلم (34 /2564)، (6543) ۔
(صَحِيح)

عن ابي هريرة قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: «ان الله لا ينظر الى صوركم ولا اموالكم ولكن ينظر الى قلوبكم واعمالكم» . رواه مسلم رواہ مسلم (34 /2564)، (6543) ۔ (صحيح)

ব্যাখ্যা : (إِنَّ اللَّهَ لَا ينظر إِلَى صوركُمْ وَلَا أموالِكم) নিশ্চয় আল্লাহ তা'আলা তোমাদের সুন্দর বা বিশ্রী চেহারার দিকে বিবেচনার দৃষ্টিতে তাকান না। যেহেতু সুন্দর হওয়া বা না হওয়ার মধ্যে কোন মূল্যায়ন নেই। এমনিভাবে তোমাদের সম্পদের আধিক্য বা স্বল্পতার প্রতি দৃষ্টিপাত করেন না। বরং তিনি লক্ষ্য করেন তোমাদের অন্তরের দিকে সেখানে কি একনিষ্ঠতা, সত্যবাদিতা এবং দৃঢ় বিশ্বাস রয়েছে নাকি। উক্ত ‘আমলের দ্বারা উদ্দেশ্য হচ্ছে লৌকিকতা বা সুনাম, সুখ্যাতি অর্জন করা এবং সর্বপ্রকার মন্দ স্বভাব।

(وَأَعْمَالِكُمْ) এমনিভাবে তিনি লক্ষ্য করেন তোমাদের ‘আমলের দিকে অর্থাৎ তার যথার্থতা ও খারাপের দিকে এবং এর উপর ভিত্তি করেই তিনি তোমাদেরকে প্রতিদান দিয়ে থাকেন। (মিরক্বাতুল মাফাতীহ, ইবনু মাজাহ ৩/৪১৪৩)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-২৬: মন-গলানো উপদেশমালা (كتاب الرقَاق)