৫২৯৩

পরিচ্ছেদঃ তৃতীয় অনুচ্ছেদ - ইবাদতের জন্য হায়াত ও দৌলতের আকাঙ্ক্ষা করা

৫২৯৩-[১০] ’আবদুল্লাহ ইবনু শাদ্দাদ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একবার ’আহ্ গোত্রীয় তিন ব্যক্তি নাবী (সা.) -এর কাছে এসে ইসলাম গ্রহণ করল। তখন রাসূলুল্লাহ (সা.)  (সাহাবায়ে কেরামদের উদ্দেশে) বললেন : তোমাদের মাঝে কে এদের দায়িত্ব নিতে পারে? ত্বলহাহ্ (রাঃ) বললেন : আমি। (শাদ্দাদ বলেন :) অতএব তারা ত্বলহাহ্-এর কাছে থাকতে লাগল, এরপর এক সময় নাবী (সা.) কোন এক অভিযানে একদল সৈন্য পাঠালেন, তখন তাদের একজন ঐ সেনাদলের সাথে বের হলো এবং যুদ্ধে শহীদ হয়ে গেল। অতঃপর নাবী (সা.) অন্য একটি সেনাদল পাঠালেন। এ দলের সাথেও দ্বিতীয় একজন বের হলো এবং সেও শহীদ হলো। এরপর (একদিন) তৃতীয়জন (স্বাভাবিক অবস্থায়) নিজ বিছানায় মৃত্যুবরণ করল। বর্ণনাকারী (ইবনু শাদ্দাদ) বলেন, ত্বলহাহ্ (রাঃ) বললেন : এরপর আমি এক সময় উক্ত তিন ব্যক্তিকে (স্বপ্নযোগে) জান্নাতের মধ্যে দেখতে পেলাম এবং এটাও দেখলাম যে, স্বীয় বিছানায় মৃত ব্যক্তিটি তাদের সামনে রয়েছে এবং দ্বিতীয় অভিযানে শহীদ ব্যক্তিটি রয়েছে তার পিছনে, আর এর পিছনে রয়েছে প্রথম ব্যক্তি। [ত্বলহাহ্ (রাঃ) বলেনঃ]  তাদের এ ক্রমিক মানে আমার মনে একটি সন্দেহ জাগল। অতএব এ কথাটি আমি নাবী (সা.) -এর নিকট উল্লেখ করলাম। তখন তিনি বললেন: কিসে তুমি আশ্চর্যান্বিত হলে? (জেনে রাখো!) যে ঈমানদার ইসলামের মধ্যে থেকে তাসবীহ, তাকবীর ও তাহলীল আদায় করার জন্য অতিরিক্ত বয়সের অবকাশ পেয়েছে এমন মু’মিন অপেক্ষা আল্লাহর নিকট অন্য কেউ উত্তম নয়। (আহমাদ)।

اَلْفصْلُ الثَّالِثُ (بَابُ اسْتِحْبَابِ الْمَالِ وَالْعُمُرِ لِلطَّاعَةِ)

وَعَن عبدِ الله بنِ شدَّادٍ قَالَ إِنَّ نَفرا من بني عذرةثلاثة أَتَوُا النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَسْلَمُوا قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ يَكْفِينِيهِمْ؟» قَالَ طَلْحَةُ: أَنَا. فَكَانُوا عِنْدَهُ فَبَعَثَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَعْثًا فَخَرَجَ فِيهِ أَحَدُهُمْ فَاسْتُشْهِدَ ثُمَّ بَعَثَ بَعْثًا فَخَرَجَ فِيهِ الْآخَرُ فَاسْتُشْهِدَ ثُمَّ مَاتَ الثَّالِثُ عَلَى فِرَاشِهِ. قَالَ: قَالَ طَلْحَةُ: فَرَأَيْتُ هَؤُلَاءِ الثَّلَاثَةَ فِي الْجَنَّةِ وَرَأَيْتُ الْمَيِّتَ عَلَى فِرَاشِهِ أَمَامَهُمْ وَالَّذِي اسْتُشْهِدَ آخِرًا يَلِيهِ وَأَوَّلَهُمْ يَلِيهِ فَدَخَلَنِي مِنْ ذَلِكَ فَذَكَرْتُ لِلنَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسلم فَقَالَ: «وَمَا أَنْكَرْتَ مِنْ ذَلِكَ؟ لَيْسَ أَحَدٌ أَفْضَلَ عِنْدَ اللَّهِ مِنْ مُؤْمِنٍ يُعَمَّرُ فِي الْإِسْلَام لتسبيحه وتكبيره وتهليله»

سندہ ضعیف ، رواہ احمد (1 / 163 ح 1401) * السند مرسل ولہ طریق آخر عند البزار (954 کشف الاستار) و ابی یعلی (634) و سندہ ضعیف ۔

وعن عبد الله بن شداد قال ان نفرا من بني عذرةثلاثة اتوا النبي صلى الله عليه وسلم فاسلموا قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: «من يكفينيهم؟» قال طلحة: انا. فكانوا عنده فبعث النبي صلى الله عليه وسلم بعثا فخرج فيه احدهم فاستشهد ثم بعث بعثا فخرج فيه الاخر فاستشهد ثم مات الثالث على فراشه. قال: قال طلحة: فرايت هولاء الثلاثة في الجنة ورايت الميت على فراشه امامهم والذي استشهد اخرا يليه واولهم يليه فدخلني من ذلك فذكرت للنبي صلى الله عليه وسلم فقال: «وما انكرت من ذلك؟ ليس احد افضل عند الله من مومن يعمر في الاسلام لتسبيحه وتكبيره وتهليله» سندہ ضعیف ، رواہ احمد (1 / 163 ح 1401) * السند مرسل ولہ طریق آخر عند البزار (954 کشف الاستار) و ابی یعلی (634) و سندہ ضعیف ۔

ব্যাখ্যা : (فَرَأَيْتُ هَؤُلَاءِ الثَّلَاثَةَ فِي الْجَنَّةِ وَرَأَيْتُ الْمَيِّتَ عَلَى فِرَاشِهِ أَمَامَهُمْ) আবূ ত্বলহাহ্ (রাঃ) বলেন, আমি স্বপ্নে ঐ তিন ব্যক্তিকে জান্নাতে দেখলাম। আর যে বিনা যুদ্ধে বিছানায় মারা গিয়েছে তাকে দেখলাম সবার সামনে। আল্লামাহ্ ত্বীবী (রহিমাহুল্লাহ) বলেন, মূলত এ কথা বলা উচিত ছিল : “তাদের দু'জনের সামনে দেখলাম, কিন্তু তা না বলে তাদের সকলের সামনে দেখলাম” দ্বারা এ কথার দিকে ইঙ্গিত করা হয়েছে যে, (أَقَلَّ الْجَلَمْع اشْنَانِ)  তথা বহুবচনের সর্বনিম্ন সংখ্যা হচ্ছে দুই।
(فَدَخَلَنِي مِنْ ذَلِكَ) তাদের তিনজনের মধ্যে যিনি পরে মারা গেছেন, তিনি সবার আগে, তারপর ২য় ব্যক্তি, তার পর ১ম ব্যক্তি। এরূপ ধারাবাহিকতা দেখে আমার মনে প্রশ্ন দেখা দিল। তাই এ ব্যাপারটি রাসূল (সা.) -এর নিকট পেশ করি। তিনি আমার কথা শুনে বললেন, তুমি এখানে কোন্ বিষয়টিকে অপছন্দ করছ?
(لَيْسَ أَحَدٌ أَفْضَلَ عِنْدَ اللَّهِ مِنْ مُؤْمِنٍ يُعَمَّرُ فِي الْإِسْلَام) আল্লাহর নিকট ইসলামের উপর অধিক বয়সপ্রাপ্ত মু'মিনের চেয়ে উত্তম আর কিছু নেই। কেননা যে বেশি বয়স পেয়েছে সে তাসবীহ, তাকবীর ও তাহলীলসহ যাবতীয় মৌখিক ও শারীরিক ‘ইবাদাত বেশি পরিমাণে করতে সক্ষম হয়েছে। (মিরক্বাতুল মাফাতীহ)


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-২৬: মন-গলানো উপদেশমালা (كتاب الرقَاق)