৫২৮০

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - আশা আকাঙ্ক্ষা ও উদ্বেগ প্রসঙ্গ

৫২৮০-[১৩] উক্ত রাবী (আবু হুরায়রাহ্ রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন : আমার উম্মতের বয়স ষাট হতে সত্তর বছরের মাঝামাঝি এবং এমন লোকের সংখ্যা কম হবে যারা তা পাড়ি দিবে। (তিরমিযী ও ইবনু মাজাহ)
এ প্রসঙ্গে ’আবদুল্লাহ ইবনু শিখীর-এর বর্ণিত হাদীস “রোগীর সেবাযত্ন” অধ্যায়ে বর্ণিত হয়েছে।

اَلْفصْلُ الثَّنِفْ ( بَاب الأمل والحرص)

وَعَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «أَعْمَارُ أُمَّتِي مَا بَيْنَ السِتِّينَ إِلَى السَبْعِينَ وَأَقَلُّهُمْ مَنْ يَجُوزُ ذَلِكَ» . رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وَابْنُ مَاجَهْ وَذُكِرَ حَدِيثُ عَبْدِ اللَّهِ بنِ الشِّخيرِ فِي «بَاب عِيَادَة الْمَرِيض»

حسن ، رواہ الترمذی (3550 وقال : غریب حسن) و ابن ماجہ (4236) 0 حدیث عبداللہ بن الشخیر تقدم (1469) ۔
(حسن)

وعنه قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم اعمار امتي ما بين الستين الى السبعين واقلهم من يجوز ذلك رواه الترمذي وابن ماجه وذكر حديث عبد الله بن الشخير في باب عيادة المريضحسن رواہ الترمذی 3550 وقال غریب حسن و ابن ماجہ 4236 0 حدیث عبداللہ بن الشخیر تقدم 1469 ۔حسن

ব্যাখ্যা : অত্র হাদীসের ব্যাখ্যা পূর্বের হাদীসের অনুরূপ। ষাট থেকে সত্তর বছর বয়স হলো এ উম্মাতের ভারসম্পন্ন বা জীবনের উৎকর্ষের নির্দিষ্ট স্তর (STANDARD TIME)। খুব অল্প সংখ্যক মানুষ এটা অতিক্রম করে একশত বা তার ঊর্ধ্বে পৌঁছতে পারে। সাহাবীদের মধ্যে আনাস ইবনু মালিক, আসমা বিনতু আবু বাকর প্রমুখ একশত বছর বা তার চেয়ে সামান্য বেশি বছর বেঁচে ছিলেন।
এছাড়াও ব্যতিক্রম দুই একজন সাহাবী শতবর্ষের ঊর্ধ্বে বেঁচে ছিলেন, যেমন কবি হাসসান ইবনু সাবিত, সালমান ফারসী প্রমুখ সাহাবী (রাঃ)। সালমান ফারসী সম্পর্কে কথিত আছে, তিনি আড়াইশত বছর জীবিত ছিলেন। এমনকি সাড়ে তিনশত বছরের কথাও উল্লেখ আছে। (মিরক্বাতুল মাফাতীহ; লুম'আহ্ ৮ম খণ্ড, ৪৯১ পৃ.)


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-২৬: মন-গলানো উপদেশমালা (كتاب الرقَاق)