৫২২৫

পরিচ্ছেদঃ তৃতীয় অনুচ্ছেদ

৫২২৫-[৭১] ’আয়িশাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমাদের একটি পর্দা ছিল যাতে পাখির ছবি ছিল। রাসূলুল্লাহ (সা.) (একদিন) তা দেখতে পেয়ে বললেন : হে ’আয়িশাহ্! এটাকে পরিবর্তন করে ফেল। কেননা আমি যখনই তা দেখতে পাই, তখনই দুনিয়া (বিলাসী জীবন) আমার স্মরণে এসে যায়।”

اَلْفصْلُ الثَّالِثُ

وَعَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا قَالَتْ: كَانَ لَنَا سِتْرٌ فِيهِ تَمَاثِيلُ طَيْرٍ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: يَا عَائِشَةُ حوِّليه فإِني إِذا رَأَيْته ذكرت الدُّنْيَا

صحیح ، رواہ احمد (6 / 241 ح 26571) [و مسلم (88 / 2107)] ۔
(صَحِيح)

وعن عاىشة رضي الله عنها قالت: كان لنا ستر فيه تماثيل طير فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم: يا عاىشة حوليه فاني اذا رايته ذكرت الدنيا صحیح ، رواہ احمد (6 / 241 ح 26571) [و مسلم (88 / 2107)] ۔ (صحيح)

ব্যাখ্যা : পাখির ছবিযুক্ত নকশাদার পর্দাটি ছিল বাড়ির গেইট অথবা দরজায় টাঙ্গানোর জন্য। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) সরিয়ে ফেলতে বললেন, আর বললেন, যখন এটা দেখি তখন দুনিয়ার কথা স্মরণ হয়। ব্যাখ্যাকারগণ বলেছেন, এই ইল্লাত বা কারণের মধ্যেই দলীল রয়েছে যে, ঐ ছবিগুলো ছিল অতীব ক্ষুদ্রাকৃতির। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) -এর বাড়ীতে এটা ব্যবহার হচ্ছিল ছবি নিষিদ্ধ ঘোষণার অথবা নিষিদ্ধ হিসেবে জানার আগের ঘটনা। অতঃপর রাসূলুল্লাহ (সাঃ) যখন জানতে পারলেন যে, ছবিযুক্ত ঘরে আল্লাহর রহমতের মালাক (ফেরেশতা) প্রবেশ করে না, তখন তিনি এটাকে অপসারণ করতে নির্দেশ প্রদান করলেন। (মিক্বাতুল মাফাতীহ; ইবনু মাজাহ ৩য় খণ্ড, হা, ৪১৭১; আল কাশিফ ১০ম খণ্ড, ৩৩০৭ পৃ.)।


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-২৬: মন-গলানো উপদেশমালা (كتاب الرقَاق)