পরিচ্ছেদঃ ৬৭. কবিতা বা কাব্য সম্পর্কে
২৭৪১. ইবনু আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম (কবি) উমাইয়া ইবনু আবী সালতের দু’টি পংক্তিকে সত্যায়ন করেছেন। (তাতে) সে বলেছিল:
’(আরশ বহনকারী ফিরিশতাগণ হলেন[1]:) একজন পুরুষ (আকৃতির), (অপর) একটি ষাঁড় (আকৃতির, যারা রয়েছে) তাঁর ডান পায়ের নীচে, আরেকটি ঈগল (আকৃতির), সিংহ(আকৃতির অপরটি) সদা প্রস্তুত।’
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, সে সত্যই বলেছে।
তিনি বলেন,
’আর প্রত্যেক নিশি শেষে সুর্য উদিত হয়, চমতকার রক্তিম বর্ণে সুশোভিত হয়ে।’
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, সে সত্যই বলেছে।
তখন এক ব্যক্তি বললো,
সুর্য প্রত্যাবর্তন করে আমাদের উপর ধীরে ধীরে উদিত হয়, কেবল শাস্তিপ্রাপ্ত ও আঘাতপ্রাপ্ত হিসেবে। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, সে সত্যই বলেছে।[2]
باب فِي الشِّعْرِ
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عِيسَى حَدَّثَنَا عَبْدَةُ بْنُ سُلَيْمَانَ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَقَ عَنْ يَعْقُوبَ بْنِ عُتْبَةَ عَنْ عِكْرِمَةَ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ صَدَّقَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أُمَيَّةَ بْنَ أَبِي الصَّلْتِ فِي بَيْتَيْنِ مِنْ الشِّعْرِ فَقَالَ
رَجُلٌ وَثَوْرٌ تَحْتَ رِجْلِ يَمِينِهِ وَالنَّسْرُ لِلْأُخْرَى وَلَيْثٌ مُرْصَدُ
فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ صَدَقَ قَالَ
وَالشَّمْسُ تَطْلُعُ كُلَّ آخِرِ لَيْلَةٍ حَمْرَاءَ يُصْبِحُ لَوْنُهَا يَتَوَرَّدُ
فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ صَدَقَ قَالَ
تَأْبَى فَمَا تَطْلُعُ لَنَا فِي رِسْلِهَا إِلَّا مُعَذَّبَةً وَإِلَّا تُجْلَدُ
فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ صَدَقَ
[2] তাহক্বীক্ব: এর সনদ যয়ীফ।
তাখরীজ: ইবনু আবী শাইবা ৮/৬৯৩ নং ৬০৬৪; ইবনু আবী আসিম, আসসুন্নাহ ১/২৫৬ নং ৫৭৯; তাবারাণী, কাবীর ১১/২৩৩ নং ১১৫৯১; ইবনু আব্দুল বারর, আত তামহীদ ৪/৮-৯; ইবনু কাছীর, আল বিদায়া ১/১২। ইবনু কাছীর বলেন, এ হাদীসের সনদ সহীহ, রাবীগণ সকলেই বিশ্বস্ত।’
আমি বলছি: রাবীগণ সকলেই বিশ্বস্ত, কথাটি সত্য, তবে এর সনদ সহীহ হওয়ার বিষয়টি সঠিক নয়। কেননা, ইবনু ইসহাক এটি ‘আন আন’ শব্দে বর্ণনা করেছেন, আর তিনি মুদাল্লিস।
এছাড়া, আহমাদ, মুসনাদ ও তাঁর ছেলে, যাওয়াইদ আলাল মুসনাদ ১/২৫৬; তাহাবী, শারহু মা’আনিল আছার ৪/২৯৯; বাইহাকী, আসমা ওয়াস সিফাত পৃ: ৩৬০ (যয়ীফ সনদে)।