পরিচ্ছেদঃ ৬৭. মোজাদ্বয়ের উপর মসেহ করার অনুমতি এবং তৎসংশ্লিষ্ট বিষয়। এ সম্পর্কে বিভিন্নরূপ রিওয়ায়াত
৭৩৭(১৫). ইবনে সায়েদ (রহঃ) ... যির ইবনে হুবায়েশ (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি সাফওয়ান ইবনে আসসাল আল-মুরাদী (রাঃ)-র নিকট এলাম। তিনি বলেন, তুমি কী প্রয়োজনে এসেছো? আমি বললাম, জ্ঞানের অনুসন্ধানে এসেছি। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছিঃ কোন ব্যক্তি জ্ঞান অন্বেষণের জন্য নিজের ঘর থেকে রওয়ানা হলে ফেরেশতাগণ তার কাজে সন্তুষ্ট হয়ে তার জন্য (তার পথে) নিজেদের পাখা বিছিয়ে রাখেন। তিনি বলেন, আমি আপনার নিকট মোজাদ্বয়ের উপর মসেহ করা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করতে এসেছি। তিনি বলেন, হাঁ, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রেরিত একটি সামরিক বাহিনীর সদস্য ছিলাম।
তিনি আমাদের নির্দেশ দেন, আমরা যেন সফররত অবস্থায় থাকলে তিন দিন ও তিন রাত এবং আবাসে অবস্থানরত অবস্থায় এক দিন ও এক রাত পর্যন্ত মোজাদ্বয়ের উপর মসেহ করি, যদি আমরা পবিত্র অবস্থায় মোজায়ে পদদ্বয় ঢুকিয়ে থাকি। তিনি আমাদের আরো নির্দেশ দিয়েছেন, আমরা যেন পেশাব-পায়খানা করে এবং ঘুম থেকে ওঠার পর উযু করার সময় আমাদের মোজাদ্বয় না খুলি। তবে নাপাক (গোসল ফরয) হলে তিনি তা খোলার নির্দেশ দেন। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছিঃ নিশ্চয়ই পশ্চিম দিকে তাওবার জন্য একটি দরজা উন্মুক্ত অবস্থায় রেখে দেয়া হয়েছে, যার মাঝখানের দূরত্ব সত্তর বছরের পথ। পশ্চিম দিক থেকে সূর্য উদিত না হওয়া পর্যন্ত তা বন্ধ করা হবে না।
بَابُ الرُّخْصَةِ فِي الْمَسْحِ عَلَى الْخُفَّيْنِ ، وَمَا فِيهِ ، وَاخْتِلَافِ الرِّوَايَاتِ
حَدَّثَنَا ابْنُ صَاعِدٍ ، نَا زُهَيْرُ بْنُ مُحَمَّدٍ ، وَالْحَسَنُ بْنُ أَبِي الرَّبِيعِ - وَاللَّفْظُ لَهُ - حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ ، عَنْ عَاصِمِ بْنِ أَبِي النَّجُودِ ، عَنْ زِرِّ بْنِ حُبَيْشٍ ، قَالَ : جِئْتُ صَفْوَانَ بْنَ عَسَّالٍ الْمُرَادِيَّ ، فَقَالَ : مَا جَاءَ بِكَ ؟ فَقُلْتُ : جِئْتُ أَطْلُبُ الْعِلْمَ . ، قَالَ : فَإِنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - يَقُولُ : " مَا مِنْ خَارِجٍ يَخْرُجُ مِنْ بَيْتِهِ فِي طَلَبِ الْعِلْمِ ، إِلَّا وَضَعَتْ لَهُ الْمَلَائِكَةُ أَجْنِحَتَهَا رِضًا بِمَا يَصْنَعُ " . قَالَ : جِئْتُ أَسْأَلُكَ عَنِ الْمَسْحِ عَلَى الْخُفَّيْنِ ؟ قَالَ : نَعَمْ ، كُنْتُ فِي الْجَيْشِ الَّذِينَ بَعَثَهُمْ رَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - فَأَمَرَنَا أَنْ نَمْسَحَ عَلَى الْخُفَّيْنِ إِذَا نَحْنُ أَدْخَلْنَاهُمَا عَلَى طُهْرٍ ثَلَاثًا إِذَا سَافَرْنَا ، وَيَوْمًا وَلَيْلَةً إِذَا أَقَمْنَا ، وَلَا نَخْلَعَهُمَا مِنْ بَوْلٍ ، وَلَا غَائِطٍ ، وَلَا نَوْمٍ ، وَلَا نَخْلَعَهُمَا إِلَّا مِنْ جَنَابَةٍ " . قَالَ : وَسَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - يَقُولُ : " إِنَّ بِالْمَغْرِبِ بَابًا مَفْتُوحًا لِلتَّوْبَةِ ، مَسِيرَتُهُ سَبْعُونَ سَنَةً ، لَا يُغْلَقُ حَتَّى تَطْلُعَ الشَّمْسُ مِنْ نَحْوِهِ