পরিচ্ছেদঃ ১৫. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - সৃষ্টির প্রতি দয়া ও অনুগ্রহ
৪৯৭৬-[৩০] জাবির ইবনু সামুরাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কোন ব্যক্তি কর্তৃক তার সন্তানকে শিষ্টাচারের একটি কথা শিখানো এক সা’ পরিমাণ খাদ্য দান করার চেয়েও উত্তম। (তিরমিযী)[1]
ইমাম তিরমিযী (রহিমাহুল্লাহ) বলেনঃ এ হাদীসটি গরীব। এর রাবী ’’নাসিহ’’ হাদীসবিদদের মতে সবল নয়।
وَعَنْ جَابِرِ
بْنِ سَمُرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَأَنْ يُؤَدِّبَ الرَّجُلُ وَلَدَهُ خَيْرٌ لَهُ مِنْ أَنْ يَتَصَدَّقَ بِصَاعٍ» . رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وَقَالَ: هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ وَنَاصِحٌ الرَّاوِي لَيْسَ عِنْدَ أصحابِ الحَدِيث بِالْقَوِيّ
হাদীসটি য‘ঈফ হওয়ার কারণ, এর সনদে আছে ‘‘নাসিহ’’ (ناصح) নামের একজন ব্যক্তি, যে হাদীস বর্ণনায় য‘ঈফ। দেখুন- সিলসিলাতুয্ য‘ঈফাহ্ ১৮৮৭।
ব্যাখ্যাঃ لَأَنْ يُؤَدِّبَ الرَّجُلُ وَلَدَهُ خَيْرٌ لَهُ مِنْ أَنْ يَتَصَدَّقَ بِصَاعٍ ‘কোন ব্যক্তি এক সা' পরিমাণ সাদাকা করবে এর চেয়ে সে তার সন্তানকে আদব শিক্ষা দিবে, এটা উত্তম। ‘আল্লামা মুল্লা ‘আলী কারী হানাফী (রহিমাহুল্লাহ) এর ব্যাখ্যায় বলেছেনঃ এখানে একটি আদব বলার কারণ হলো আদব শিক্ষা দেয়ার গুরুত্ব মাহাত্ম্যকে ফুটিয়ে তোলা, সর্বোপরি এ বিষয়টিকে গুরুত্ব দেয়া। কেননা সম্পদ দান এটা ক্ষয় হয়ে গেলেও আদব শিক্ষা দেয়ার বিষয়টি কিয়ামত পর্যন্ত জারি থাকবে।
‘আল্লামা আল মানবী (রহিমাহুল্লাহ) বলেনঃ সন্তানকে আদব শিক্ষা দেয়া সদাকায়ে জারিয়াহ্ তথা চলমান সাওয়াব সংশ্লিষ্ট কাজের অন্তর্ভুক্ত। (তুহফাতুল আহওয়াযী ৫ম খন্ড, হাঃ ১৯৫১)