৪৫৮৩

পরিচ্ছেদঃ ১. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - শুভ ও অশুভ লক্ষণ

৪৫৮৩-[৮] কত্বান ইবনু কবীসাহ্ (রহঃ) তাঁর পিতা হতে বর্ণনা করেন যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ (ভাগ্যের ভালো-মন্দ নির্ণয়ের জন্য) পাখি উড়ানো বা ঢিল ছোঁড়া বা কোন কিছুতে অশুভ লক্ষণ মান্য করা শির্কের অন্তরভুক্ত। (আবূ দাঊদ)[1]

وَعَن قَطن بن قَبيصةَ عَنْ أَبِيهِ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «الْعِيَافَةُ وَالطَّرْقُ وَالطِّيَرَةُ مِنَ الْجِبْتِ» . رَوَاهُ أَبُو دَاوُد

وعن قطن بن قبيصة عن ابيه ان النبي صلى الله عليه وسلم قال: «العيافة والطرق والطيرة من الجبت» . رواه ابو داود

ব্যাখ্যাঃ (الْعِيَافَةُ) ‘আইন’ বর্ণে যের যোগে। (الْعِيَافَةُ) বলা হয়, কোন পাখিকে উড়িয়ে দেয়া, শুভ লক্ষণ গ্রহণ করা ও তার নামের উপর ভিত্তি করে শিক্ষা গ্রহণ করাকে। যেমন, শকুনের কারণে শাস্তির লক্ষণ মনে করা, কাকের কারণে নির্বাসনের লক্ষণ মনে করা এবং হুদহুদের কারণে হিদায়াতের লক্ষণ মনে করা। (الطِّيَرَةُ) ও উভয়টির মধ্যে পার্থক্য হলো (الطِّيَرَةُ)-এর ক্ষেত্রে কেবল পাখির দ্বারাই অশুভ লক্ষণ মনে করা হয়। আর (الْعِيَافَةُ وَالطَّرْقُ)-এর ক্ষেত্রে শুধু পাখি নয়, বরং বিভিন্ন প্রাণী ও অন্যান্য জিনিসের মাধ্যমেও অশুভ লক্ষণ গণনা করা হয়। (মিরক্বাতুল মাফাতীহ)

ইবনুল ‘আসীর (রহিমাহুল্লাহ) বলেনঃ (الْعِيَافَةُ) পাখি উড়ানো, তার নাম দ্বারা তার শব্দ দ্বারা এবং তার অতিক্রম করার দ্বারা শুভ লক্ষণ গ্রহণ করা। আর এটি ‘আরবদের অভ্যাসে প্রচুর পরিমাণে পরিলক্ষিত হতো। এতে তাদের কবিতায় বেশি দেখা যেত। বানূ আসাদ দলের লোকেরা (الْعِيَافَةُ)-কে এভাবেই বর্ণনা করত।

(الطَّرْقُ) ‘ত্ব’ বর্ণে যবর ও ‘র’ বর্ণে সাকিন যোগে। তা হলো সেই কংকর নিক্ষেপ যা মহিলারা করে থাকে। বলা হয়, তা হলো বালুর অংশ। নিহায়াহ্ গ্রন্থে এভাবেই এসেছে। (‘আওনুল মা‘বূদ ৭ম খন্ড, হাঃ ৩৯০৩)


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-২৩: চিকিৎসা ও ঝাড়-ফুঁক (كتاب الطب والرقى)