১০১৭

পরিচ্ছেদঃ ৫. নিরর্থক কসমের বিবরণ

রেওয়ায়ত ৯. হিশাম ইবন উরওয়াহ (রহঃ) তাহার পিতা হইতে বর্ণনা করেন যে, উম্মুল মু’মিনীন আয়েশা (রাঃ) বলিতেন, কথায় কথায় লা ওয়াল্লাহি, বালা ওয়াল্লাহি (না, আল্লাহর কসম, হ্যাঁ আল্লাহর কসম) ধরনের কসম করা য়ামীনে লাগব হইবে (অর্থাৎ শরীয়তের দৃষ্টিতে উহা কসম বলিয়া ধর্তব্য হইবে না)।

মালিক (রহঃ) বলেনঃ য়ামীনে লাগব হইল সত্য মনে করিয়া কোন বিষয়ে কসম করা অথচ পরে উহা বিপরীত বলিয়া সাব্যস্ত হয়। এই বিষয়ে ইহাই উত্তম যাহা আমি শুনিয়াছি।

মালিক (রহঃ) বলেনঃ ভবিষ্যতে কোন কাজ করা না করা সম্পর্কে কসম করা হইলে তাহা পূরণ করা বাধ্যতামূলক, عقد اليمين যেমন কেহ বলিলঃ আল্লাহর কসম, এই কাপড়টি আমি দশ দীনারে বিক্রয় করিব না। কিন্তু পরে দশ দীনারে উহা বিক্রয় করিয়া দিল বা কেহ বলিলঃ আল্লাহর কসম, এই ব্যক্তির গোলামকে আমি মারিব, পীর মারিল না ইত্যাদি। এই ধরনের কসমের কাফফার ওয়াজিব হয়। আর য়ামীনে লাগব-এর জন্য কাফফারা নাই।

মালিক (রহঃ) বলিয়াছেনঃ য়ামীনে গুমুস হইল কাহাকেও খুশী করিবার জন্য বা ওযর গ্রহণ করানোর জন্য বা কাহারো ধন-সম্পত্তি আত্মসাৎ করিবার উদ্দেশ্যে জানিয়া-শুনিয়া মিথ্যা কসম করা। এই ধরনের কসমের গুনাহ এত মারাত্মক যে, ইহার কাফফারা হয় না।

بَاب اللَّغْوِ فِي الْيَمِينِ

حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ عَنْ أَبِيهِ عَنْ عَائِشَةَ أُمِّ الْمُؤْمِنِينَ أَنَّهَا كَانَتْ تَقُولُ لَغْوُ الْيَمِينِ قَوْلُ الْإِنْسَانِ لَا وَاللَّهِ وَبَلَى وَاللَّهِ
قَالَ مَالِك أَحْسَنُ مَا سَمِعْتُ فِي هَذَا أَنَّ اللَّغْوَ حَلِفُ الْإِنْسَانِ عَلَى الشَّيْءِ يَسْتَيْقِنُ أَنَّهُ كَذَلِكَ ثُمَّ يُوجَدُ عَلَى غَيْرِ ذَلِكَ فَهُوَ اللَّغْوُ قَالَ مَالِك وَعَقْدُ الْيَمِينِ أَنْ يَحْلِفَ الرَّجُلُ أَنْ لَا يَبِيعَ ثَوْبَهُ بِعَشَرَةِ دَنَانِيرَ ثُمَّ يَبِيعَهُ بِذَلِكَ أَوْ يَحْلِفَ لَيَضْرِبَنَّ غُلَامَهُ ثُمَّ لَا يَضْرِبُهُ وَنَحْوَ هَذَا فَهَذَا الَّذِي يُكَفِّرُ صَاحِبُهُ عَنْ يَمِينِهِ وَلَيْسَ فِي اللَّغْوِ كَفَّارَةٌ قَالَ مَالِك فَأَمَّا الَّذِي يَحْلِفُ عَلَى الشَّيْءِ وَهُوَ يَعْلَمُ أَنَّهُ آثِمٌ وَيَحْلِفُ عَلَى الْكَذِبِ وَهُوَ يَعْلَمُ لِيُرْضِيَ بِهِ أَحَدًا أَوْ لِيَعْتَذِرَ بِهِ إِلَى مُعْتَذَرٍ إِلَيْهِ أَوْ لِيَقْطَعَ بِهِ مَالًا فَهَذَا أَعْظَمُ مِنْ أَنْ تَكُونَ فِيهِ كَفَّارَةٌ

حدثني يحيى عن مالك عن هشام بن عروة عن ابيه عن عاىشة ام المومنين انها كانت تقول لغو اليمين قول الانسان لا والله وبلى والله قال مالك احسن ما سمعت في هذا ان اللغو حلف الانسان على الشيء يستيقن انه كذلك ثم يوجد على غير ذلك فهو اللغو قال مالك وعقد اليمين ان يحلف الرجل ان لا يبيع ثوبه بعشرة دنانير ثم يبيعه بذلك او يحلف ليضربن غلامه ثم لا يضربه ونحو هذا فهذا الذي يكفر صاحبه عن يمينه وليس في اللغو كفارة قال مالك فاما الذي يحلف على الشيء وهو يعلم انه اثم ويحلف على الكذب وهو يعلم ليرضي به احدا او ليعتذر به الى معتذر اليه او ليقطع به مالا فهذا اعظم من ان تكون فيه كفارة


Yahya related to me from Malik from Hisham ibn Urwa from his father that A'isha, umm al-muminin said, "Rashness in oaths is that a man says, 'By Allah, No! by Allah!' " i.e. out of habit.

Malik said, "The best of what I have heard on the matter is that rashness in oaths is that a man take an oath on something to show that he is certain that it is like he said, only to find that it is other than what he said. This is rashness."

Malik said, "The binding oath is for example, that a man says that he will not sell his garment for ten dinars, and then he sells it for that, or that he will beat his young slave and then does not beat him, and so on. One does kaffara for making such an oath, and there is no kaffara in rashness."

Malik said, "As for the one who swears to a thing which he knows is wicked, and he swears to a lie he knows to be a lie, in order to please someone with it or to excuse himself to someone by it or to gain money by it, no kaffara that he does for it can cover it."


হাদিসের মানঃ তাহকীক অপেক্ষমাণ
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মুয়াত্তা মালিক
২২. মানত ও কসম সম্পর্কিত অধ্যায় (كتاب النذور والأيمان)