৯৩৯

পরিচ্ছেদঃ ৮০. ফিদয়া সম্পর্কিত বিবিধ আহকাম

রেওয়ায়ত ২৪৪. মালিক (রহঃ) বলেন, ফিদয়া দেওয়া সহজ মনে করিয়া যদি কেউ ইহরাম অবস্থায় পড়া নাজায়েয এমন ধরনের কাপড় পরে বা চুল কাটিয়া ফেলে বা বিনা প্রয়োজনে সুগন্ধি দ্রব্য ব্যবহার করে, তবে ইহা তাহার জন্য অনুচিত হইবে। একান্ত প্রয়োজনের খাতিরেই একজন ঐ সমস্ত কাজ করিতে পারে। তাহা করিলে তাহাকে অবশ্যই ফিদয়া দিতে হইবে।

মালিক (রহঃ)-কে জিজ্ঞাসা করা হইলঃ আল্লাহ তা’আলা ইরশাদ করিয়াছেনঃ যে ব্যক্তি ফিদয়া দিবে তাহার পক্ষে রোযা বা সদকা বা নুসুক এই তিনটির যেকোন একটি দ্বারা ফিদয়া দেওয়ার ইখতিয়ার আছে কিনা? নুসুক অর্থ কি? সদকা বা মিসকীনদের কতটুকু খাদ্য প্রদান করিতে হইবে এবং কোন ধরনের ’মুদের (এক প্রকার মাপ) মাপে উহা আদায় করিতে হইবে? রোযা কয়টি রাখিতে হইবে? সঙ্গে সঙ্গে রাখিতে হইবে, না বিলম্ব করিলেও চলিবে? মালিক (রহঃ) উত্তরে বলিলেনঃ আল্লাহ তা’আলা যত জায়গায় কাফফারা সম্পর্কে ইহা বা উহা এই ধরনের শব্দ ব্যবহার করিয়াছেন সকল স্থানেই উল্লিখিত বিষয়সমূহের যেকোন একটি আদায় করার ইখতিয়ার থাকে। নুসুক অর্থ এইখানে একটি বকরী কুরবানী করা। রোযা তিনটি রাখিতে হইবে। ছয়জন মিসকীনকে খাদ্য প্রদান করিতে হইবে। প্রত্যেক মিসকীনকেই নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর মুদে দুই মুদ পরিমাণ খাদ্য প্রদান করিতে হইবে।

মালিক (রহঃ) বলেন- কতিপয় আলিমের নিকট শুনিয়াছিঃ তাহারা বলেন, কোন বস্তুকে লক্ষ করিয়া মুহরিম ব্যক্তি যদি কিছু নিক্ষেপ করে আর উহা লক্ষ্যভ্রষ্ট হইয়া কোন পশু বা পাখির গায়ে আঘাত করার ফলে যদি উহা মারা যায়, তবে উক্ত প্রাণী হত্যা করার ইচ্ছা না থাকা সত্ত্বেও ঐ ব্যক্তিকে ফিদয়া দিতে হইবে। এমনিভাবে মুহরিম নহে এরূপ কোন ব্যক্তি হারমের ভিতর কোন বস্তুর প্রতি লক্ষ করিয়া কিছু ছুড়িলে আর উহা কোন প্রাণীর গায়ে লাগিয়া যদি উহা মারা যায়, তবে উহার উপরও ফিদয়া ধার্য হইবে। এই বিষয়টিতে ইচ্ছাকৃতভাবে মারা বা লক্ষ্যভ্রষ্ট হইয়া মারা যাওয়া উভয় অবস্থার হুকুমই এক।

মালিক (রহঃ) বলেনঃ কয়েকজন ব্যক্তি মিলিয়া যদি একটি শিকার হত্যা করে আর সকলেই যদি মুহরিম হয় অথবা হারম শরীফে থাকে তবে প্রত্যেককেই সম্পূর্ণভাবে এক একটি ফিদয়া আদায় করিতে হইবে। কুরবানী দিতে হইলে প্রত্যেককেই একটি করিয়া দিতে হইবে। আর রোযা রাখিতে হইলে প্রত্যেককেই রোযা রাখিতে হইবে। যেমন কয়েক ব্যক্তি যদি ভুলক্রমে একজনকে হত্যা করিয়া ফেলে, তবে হত্যার কাফফারা (অর্থাৎ একটি গোলাম আযাদ করা) প্রত্যেকের উপর আলাদাভাবে ওয়াজিব হয় বা প্রত্যেককেই একাধারে দুই মাস রোযা রাখিতে হয়। এইখানেও তদ্রুপ হুকুম হইবে।

মালিক (রহঃ) বলেনঃ কেউ যদি তাওয়াফে যিয়ারতের পূর্বে এবং কঙ্কর নিক্ষেপ ও মাথার চুল কাটার পর কোন কিছু শিকার করে তবে তাহাকেও ফিদয়া দিতে হইবে। কেননা আল্লাহ তা’আলা ইরশাদ করিয়াছেনঃ (وَإِذَا حَلَلْتُمْ فَاصْطَادُوا) তোমরা ইহরাম হইতে যখন হালাল হও তখন শিকার করিতে পার। আর তাওয়াফে যিয়ারত না করা পর্যন্ত মুহরিম থাকে, পুরাপুরি হালাল হয় না। তাওয়াফে ইফাযার পূর্বে স্ত্রীসহবাস ও সুগন্ধি দ্রব্য ব্যবহার করা বৈধ নহে।

মালিক (রহঃ) বলেনঃ হারম শরীফের গাছপালা উপড়ান মুহরিমের জন্য ভাল নহে। তবে ইহার জন্য কোন ফিদয়া দিতে হইবে না। কেউ এই কাজের জন্য ফিদয়া দিতে বলিয়াছেন এমন কথা আমরা শুনি নাই।

মালিক (রহঃ) বলেনঃ হজ্জের সময় যদি তিনদিন রোযা রাখিতে কেউ (যাহার উপর উহা রাখা ওয়াজিব) ভুলিয়া যায় বা অসুস্থতার দরুন রাখিতে না পারে আর সে নিজ বাড়ি চলিয়া আসে, তবে সম্ভব হইলে সে কুরবানী করবে। আর তাহা না পারিলে বাড়িতে প্রথমে তিনদিন রোযা রাখিয়া পরে সাতদিন রোযা রাখিবে।

بَاب جَامِعِ الْفِدْيَةِ

قَالَ مَالِك فِيمَنْ أَرَادَ أَنْ يَلْبَسَ شَيْئًا مِنْ الثِّيَابِ الَّتِي لَا يَنْبَغِي لَهُ أَنْ يَلْبَسَهَا وَهُوَ مُحْرِمٌ أَوْ يُقَصِّرَ شَعَرَهُ أَوْ يَمَسَّ طِيبًا مِنْ غَيْرِ ضَرُورَةٍ لِيَسَارَةِ مُؤْنَةِ الْفِدْيَةِ عَلَيْهِ قَالَ لَا يَنْبَغِي لِأَحَدٍ أَنْ يَفْعَلَ ذَلِكَ وَإِنَّمَا أُرْخِصَ فِيهِ لِلضَّرُورَةِ وَعَلَى مَنْ فَعَلَ ذَلِكَ الْفِدْيَةُ وَسُئِلَ مَالِك عَنْ الْفِدْيَةِ مِنْ الصِّيَامِ أَوْ الصَّدَقَةِ أَوْ النُّسُكِ أَصَاحِبُهُ بِالْخِيَارِ فِي ذَلِكَ وَمَا النُّسُكُ وَكَمْ الطَّعَامُ وَبِأَيِّ مُدٍّ هُوَ وَكَمْ الصِّيَامُ وَهَلْ يُؤَخِّرُ شَيْئًا مِنْ ذَلِكَ أَمْ يَفْعَلُهُ فِي فَوْرِهِ ذَلِكَ قَالَ مَالِك كُلُّ شَيْءٍ فِي كِتَابِ اللَّهِ فِي الْكَفَّارَاتِ كَذَا أَوْ كَذَا فَصَاحِبُهُ مُخَيَّرٌ فِي ذَلِكَ أَيَّ شَيْءٍ أَحَبَّ أَنْ يَفْعَلَ ذَلِكَ فَعَلَ قَالَ وَأَمَّا النُّسُكُ فَشَاةٌ وَأَمَّا الصِّيَامُ فَثَلَاثَةُ أَيَّامٍ وَأَمَّا الطَّعَامُ فَيُطْعِمُ سِتَّةَ مَسَاكِينَ لِكُلِّ مِسْكِينٍ مُدَّانِ بِالْمُدِّ الْأَوَّلِ مُدِّ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ مَالِك وَسَمِعْتُ بَعْضَ أَهْلِ الْعِلْمِ يَقُولُ إِذَا رَمَى الْمُحْرِمُ شَيْئًا فَأَصَابَ شَيْئًا مِنْ الصَّيْدِ لَمْ يُرِدْهُ فَقَتَلَهُ إِنَّ عَلَيْهِ أَنْ يَفْدِيَهُ وَكَذَلِكَ الْحَلَالُ يَرْمِي فِي الْحَرَمِ شَيْئًا فَيُصِيبُ صَيْدًا لَمْ يُرِدْهُ فَيَقْتُلُهُ إِنَّ عَلَيْهِ أَنْ يَفْدِيَهُ لِأَنَّ الْعَمْدَ وَالْخَطَأَ فِي ذَلِكَ بِمَنْزِلَةٍ سَوَاءٌ قَالَ مَالِك فِي الْقَوْمِ يُصِيبُونَ الصَّيْدَ جَمِيعًا وَهُمْ مُحْرِمُونَ أَوْ فِي الْحَرَمِ قَالَ أَرَى أَنَّ عَلَى كُلِّ إِنْسَانٍ مِنْهُمْ جَزَاءَهُ إِنْ حُكِمَ عَلَيْهِمْ بِالْهَدْيِ فَعَلَى كُلِّ إِنْسَانٍ مِنْهُمْ هَدْيٌ وَإِنْ حُكِمَ عَلَيْهِمْ بِالصِّيَامِ كَانَ عَلَى كُلِّ إِنْسَانٍ مِنْهُمْ الصِّيَامُ وَمِثْلُ ذَلِكَ الْقَوْمُ يَقْتُلُونَ الرَّجُلَ خَطَأً فَتَكُونُ كَفَّارَةُ ذَلِكَ عِتْقَ رَقَبَةٍ عَلَى كُلِّ إِنْسَانٍ مِنْهُمْ أَوْ صِيَامَ شَهْرَيْنِ مُتَتَابِعَيْنِ عَلَى كُلِّ إِنْسَانٍ مِنْهُمْ قَالَ مَالِك مَنْ رَمَى صَيْدًا أَوْ صَادَهُ بَعْدَ رَمْيِهِ الْجَمْرَةَ وَحِلَاقِ رَأْسِهِ غَيْرَ أَنَّهُ لَمْ يُفِضْ إِنَّ عَلَيْهِ جَزَاءَ ذَلِكَ الصَّيْدِ لِأَنَّ اللَّهَ تَبَارَكَ وَتَعَالَى قَالَ وَإِذَا حَلَلْتُمْ فَاصْطَادُوا وَمَنْ لَمْ يُفِضْ فَقَدْ بَقِيَ عَلَيْهِ مَسُّ الطِّيبِ وَالنِّسَاءِ قَالَ مَالِك لَيْسَ عَلَى الْمُحْرِمِ فِيمَا قَطَعَ مِنْ الشَّجَرِ فِي الْحَرَمِ شَيْءٌ وَلَمْ يَبْلُغْنَا أَنَّ أَحَدًا حَكَمَ عَلَيْهِ فِيهِ بِشَيْءٍ وَبِئْسَ مَا صَنَعَ قَالَ مَالِك فِي الَّذِي يَجْهَلُ أَوْ يَنْسَى صِيَامَ ثَلَاثَةِ أَيَّامٍ فِي الْحَجِّ أَوْ يَمْرَضُ فِيهَا فَلَا يَصُومُهَا حَتَّى يَقْدَمَ بَلَدَهُ قَالَ لِيُهْدِ إِنْ وَجَدَ هَدْيًا وَإِلَّا فَلْيَصُمْ ثَلَاثَةَ أَيَّامٍ فِي أَهْلِهِ وَسَبْعَةً بَعْدَ ذَلِكَ

قال مالك فيمن اراد ان يلبس شيىا من الثياب التي لا ينبغي له ان يلبسها وهو محرم او يقصر شعره او يمس طيبا من غير ضرورة ليسارة مونة الفدية عليه قال لا ينبغي لاحد ان يفعل ذلك وانما ارخص فيه للضرورة وعلى من فعل ذلك الفدية وسىل مالك عن الفدية من الصيام او الصدقة او النسك اصاحبه بالخيار في ذلك وما النسك وكم الطعام وباي مد هو وكم الصيام وهل يوخر شيىا من ذلك ام يفعله في فوره ذلك قال مالك كل شيء في كتاب الله في الكفارات كذا او كذا فصاحبه مخير في ذلك اي شيء احب ان يفعل ذلك فعل قال واما النسك فشاة واما الصيام فثلاثة ايام واما الطعام فيطعم ستة مساكين لكل مسكين مدان بالمد الاول مد النبي صلى الله عليه وسلم قال مالك وسمعت بعض اهل العلم يقول اذا رمى المحرم شيىا فاصاب شيىا من الصيد لم يرده فقتله ان عليه ان يفديه وكذلك الحلال يرمي في الحرم شيىا فيصيب صيدا لم يرده فيقتله ان عليه ان يفديه لان العمد والخطا في ذلك بمنزلة سواء قال مالك في القوم يصيبون الصيد جميعا وهم محرمون او في الحرم قال ارى ان على كل انسان منهم جزاءه ان حكم عليهم بالهدي فعلى كل انسان منهم هدي وان حكم عليهم بالصيام كان على كل انسان منهم الصيام ومثل ذلك القوم يقتلون الرجل خطا فتكون كفارة ذلك عتق رقبة على كل انسان منهم او صيام شهرين متتابعين على كل انسان منهم قال مالك من رمى صيدا او صاده بعد رميه الجمرة وحلاق راسه غير انه لم يفض ان عليه جزاء ذلك الصيد لان الله تبارك وتعالى قال واذا حللتم فاصطادوا ومن لم يفض فقد بقي عليه مس الطيب والنساء قال مالك ليس على المحرم فيما قطع من الشجر في الحرم شيء ولم يبلغنا ان احدا حكم عليه فيه بشيء وبىس ما صنع قال مالك في الذي يجهل او ينسى صيام ثلاثة ايام في الحج او يمرض فيها فلا يصومها حتى يقدم بلده قال ليهد ان وجد هديا والا فليصم ثلاثة ايام في اهله وسبعة بعد ذلك


Malik said, concerning someone who wishes to wear clothes that a person in ihram must not wear, or cut his hair, or touch perfume without necessity, because he finds it easy to pay the compensation, "No-one must do such things. They are only allowed in cases of necessity, and compensation is owed by whoever does them."

Malik was asked whether the culprit could choose for himself the method of compensation he makes, and he was asked what kind of animal was to be sacrificed, and how much food was to be given, and how many days were to be fasted, and whether the person could delay any of these, or if they had to be done immediately. He answered, 'Whenever there are alternatives in the Book of Allah for the kaffara, the culprit can choose to do whichever of the alternatives he prefers. As for the sacrifice - a sheep, and as for the fasting - three days. As for the food - feeding six poor men, for every poor man two mudds, by the first mudd, the mudd of the Prophet, may Allah bless him and grant him peace."

Malik said, "I have heard one of the people of knowledge saying, 'When a person in ihram throws something and hits game unintentionally and kills it, he must pay compensation. In the same way, someone outside the Haram who throws anything into the Haram and hits game he did not intend to, killing it, has to pay compensation, because the intentional and the mistaken are in the same position in this matter.' "

Malik said, concerning people who kill game together while they are muhrim or in the Haram, "I think that each one of them owes a full share. If a sacrificial animal is decided for them, each one of them owes one, and if fasting is decided for them, the full fasting is owed by each one of them. The analogy of that is a group of people who kill a man by mistake and the kaffara for that is that each person among them must free a slave or fast two consecutive months."

Malik said, "Anyone who stones or hunts game after stoning the jamra and shaving his head but before he has performed the tawaf al-ifada, owes compensation for that game, because Allah the Blessed, the Exalted said, 'And when you leave ihram, then hunt,' and restrictions still remain for someone who has not done the tawaf al-ifada about touching perfume and women."

Malik said, "The person in ihram does not owe anything for plants he cuts down in the Haram and it has not reached us that anyone has given a decision of anything for it, but O how wrong is what he has done! "

Malik said, concerning some one who was ignorant of, or who forgot the fast of three days in the hajj, or who was ill during them and so did not fast them until he had returned to his community, "He must offer a sacrificial animal (hady) if he can find one and if not he must fast the three days among his people and the remaining seven after that."


হাদিসের মানঃ তাহকীক অপেক্ষমাণ
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মুয়াত্তা মালিক
২০. হজ্জ (كتاب الحج)