পরিচ্ছেদঃ
১২৩৩। লুত (আঃ)-এর কওম দশটি মন্দ চরিত্রের সাথে জড়িত হয়েছিল, সেগুলোর কারণে তারা ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল। আমার উম্মাতের মাঝে একটি খাসালাত বেশী হবেঃ পুরুষরা পরস্পরের সাথে (সমকামিতায়) মিলিত হওয়া, মাটির তৈরি বন্দুক দ্বারা তাদের গুলি নিক্ষেপ করা, ছোট ছোট পাথর নিক্ষেপ করা, কবুতর নিয়ে খেলা করা, দফ বাজানো, মদ্য পান করা, দাড়ি ছোট করা, গোফ লম্বা করা, শিস (সুদীর্ঘ ধ্বনি) দেয়া, হাত তালি দেয়া ও রেশমী পোষাক পরিধান করা। আর আমার উম্মাতের অতিরিক্ত চরিত্রটি হচ্ছে এই যে, নারীরা পরস্পরের সাথে মিলিত হবে।
হাদীসটি বানোয়াট।
হাদীসটি ইবনু আসাকির “আত-তারীখ” গ্রন্থে (১৪/৩২০/২-১) ইসহাক ইবনু বিশর হতে, তিনি সাঈদ ইবনু আবী আরবাহ হতে, তিনি কাতাদাহ হতে, তিনি হাসান হতে মারফু হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
আমি (আলবানী) বলছি এ ইসহাক মিথ্যুক। সে "কিতাবুল মুবতাদা" এর লেখক বুখারী হোক অথবা কাহেলী কুফী হোক। তারা উভয়ে মিথ্যুক, জলকারী। আশ্চর্য হতে হয় ইমাম সুয়ুতী কর্তৃক তার "আল-জামেউস সাগীর" গ্রন্থে ইবনু আসাকিরের বর্ণনায় এটিকে উল্লেখ করার কারণে। আরো আশ্চর্য ব্যাপার এই যে, মানবী তার কোন সমালোচনা করেননি।
হাদীসটির কিছু অংশ আনাস (রাঃ) হতে মওকুফ হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। এটি দাওলাবী “আল-কুনা” গ্রন্থে (১/৬২) আবু ইমরান সাঈদ ইবনু মায়সারাহ বিকরী মূসেলী সূত্রে আনাস ইবনু মালেক (রাঃ) হতে বর্ণনা করেছেন।
আমি (আলবানী) বলছিঃ এটিও বানোয়াট। সাঈদ ইবনু মায়সারাকে ইয়াহইয়া আল-কাত্তান মিথ্যুক আখ্যা দিয়েছেন। ইবনু হিব্বান তার সম্পর্কে বলেনঃ তিনি বানোয়াট হাদীস বর্ণনাকারী। হাকিম বলেনঃ তিনি আনাস (রাঃ) হতে বানোয়াট হাদীস বর্ণনা করেন।
আমি (আলবানী) বলছিঃ আলোচ্য হাদীসটিকে শাইখ গুমারী তার "মুতাবাকাতুল ইখতিরা আতিল আসরিয়্যাহ" গ্রন্থে (পৃঃ ৬১-৬২) উল্লেখ করে গ্রন্থটিকে কালিমাযুক্ত করেছেন। তার এ কিতাবে কতই না এরূপ হাদীস উল্লেখ করেছেন যেগুলো নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে সহীহ সূত্রে সাব্যস্ত হয়নি।
আমি (আলবানী) বলছিঃ হাদীসটি অন্য ভাষাতেও বর্ণিত হয়েছে কিন্তু সেটিও বানোয়াটঃ লুত (আঃ)-এর দশটি (মন্দ) চরিত্রগুলো হচ্ছেঃ মজলিসের মধ্যে পাথর নিক্ষেপ করা, চুইংগাম (বা এ জাতীয়) কিছু চিবানো, রাস্তার উপরে মিসওয়াক করা, শিস্ দেয়া, কবুতর পালা, মাটি দিয়ে তৈরি বন্দুক দিয়ে গুলি নিক্ষেপ করা...।
এটিকে দায়লামী (২/৩০১) ইসমাঈল ইবনু আবী যিয়াদ শামী হতে, তিনি জুওয়াইবির হতে, তিনি যহহাক হতে, তিনি ইবনু আব্বাস (রাঃ) হতে মারফু হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
আমি (আলবানী) বলছিঃ এ হাদীসটি বানোয়াট। কারণ ইসমাঈল একজন মিথ্যুক। আর জুওয়াইবির মাতরূক।
عشر خصال عملتها قوم لوط بها أهلكوا، وتزيدها أمتي بخلة: إتيان الرجال بعضهم بعذا، ورميهم بالجلاهق والخذف، ولعبهم بالحمام، وضرب الدفوف، وشرب الخمور، وقص اللحية، وطول الشارب، والصفير، ولباس الحرير، وتزيدها أمتي بخلة: إتيان النساء بعضهن بعضا
موضوع
-
رواه ابن عساكر في " التاريخ " (14/320/1 - 2) عن إسحاق بن بشر. أخبرني سعيد
ابن أبي عروبة عن قتادة عن الحسن مرفوعا
قلت: وإسحاق هذا كذاب، سواء كان هو البخاري صاحب " كتاب المبتدأ " أو الكاهلي الكوفي، فكلاهما كذاب وضاع، والعجب من السيوطي كيف يخفى عليه هذا؟ فأورد الحديث في " الجامع " من رواية ابن عساكر هذه، وبيض له المناوي فلم يتعقبه بشيء
وروي بعضه موقوفا على أنس، أخرجه الدولابي في " الكنى " (1/62) من طريق أبي عمران سعيد بن ميسرة البكري الموصلي عن أنس بن مالك أنه دخل عليه شاب قد سكن
عليه شعره فقال هل: مالك والسكينة؟ ! افرقه أوجزه، فقال له رجل: يا أبا حمزة! فيمن كانت السكينة؟ قال: في قوم لوط، كانوا يسكنون شعورهم، ويمضغون العلك في الطرق والمنازل، ويخذفون، ويفرجون أقبيتهم إلى خواصرهم
قلت: وهذا موضوع أيضا، سعيد بن ميسرة كذبه يحيى القطان وقال ابن حبان: يروي الموضوعات
وقال الحاكم: روى عن أنس موضوعات
قلت: وهذا الحديث والذي قبله مما سود به الشيخ الغماري كتابه " مطابقة الاختراعات العصرية " (ص 61 و62) وكم له من مثلهما في هذا الكتاب الذي لو اقتصر فيه على ما صح عنه صلى الله عليه وسلم لكان آية في بابه
وقد روي الحديث بلفظ آخر وهو موضوع أيضا وهو:
" عشرة من أخلاق قوم لوط: الخذف في النادي، ومضغ العلك، والسواك على ظهر الطريق، والصفر، والحمام، والجلاهق، والعمامة التي لا يتلحى بها، والسكينة، والطريف بالحناء، وحل أزرار الأقبية، والمشي في الأسواق والأفخاذ بادية أخرجه الديلمي (2/301) عن إسماعيل بن أبي زياد الشامي عن جويبر عن الضحاك عن ابن عباس مرفوعا
قلت: وهذا موضوع، إسماعيل هذا كذاب
وجويبر متروك