পরিচ্ছেদঃ
১১৯৫। কুরআন বহনকারী রক্ষিত থাকবে।
হাদীসটি দুর্বল।
হাদীসটিকে আবু হাফস কাতানী তার “হাদীস” গ্রন্থে (১/১৩৪) ও আল-মুখলেস “আল-ফাওয়াইদুল মুন্তাকাত” গ্রন্থে (৮/১০/১) আবু হাফস হতে, তিনি শামী এক শাইখ হতে, তিনি মাকহুল হতে, তিনি উসমান ইবনু আফফান (রাঃ) হতে মারফু’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
আমি (আলবানী) বলছিঃ এ সনদটি দুটি কারণে দুর্বলঃ
১। এ শামী শাইখ অপরিচিত।
২। মাকহুল আর উসমান (রাঃ)-এর মাঝে বিচ্ছিন্নতা।
ইমাম সুয়ূতী হাদীসটিকে “আল-জামেউস সাগীর” গ্রন্থে দায়লামীর “মুসনাদুল ফিরদাউস” গ্রন্থের উদ্ধৃতিতে উল্লেখ করেছেন। তার ভাষ্যকার মানবী বলেনঃ হাদীসটি উসমান (রাঃ) হতে দুটি সূত্রে বর্ণিত হয়েছে। এর সনদে বর্ণনাকারী মুহাম্মাদ ইবনু রাশেদ আল-মাকহূলী রয়েছেন। ইমাম নাসাঈ তার সম্পর্কে বলেনঃ তিনি শক্তিশালী নন।
আমি (আলবানী) বলছিঃ প্রথম সূত্রে যে শামী শাইখের কথা বলা হয়েছে সম্ভবত তিনিই এই মাকহুলী। অতঃপর আমি "মুসনাদুল ফিরদাউস" গ্রন্থে দেখলাম হাদীসটিকে একটি সূত্রেই বর্ণনা করা হয়েছে। তিনি পৃষ্ঠা নং ৮৯ তে বর্ণনাকারী সূরাহ ইবনুল হাকাম হতে, তিনি মুহাম্মাদ ইবনু রাশেদ (মাকহুলী) হতে, তিনি মাকহুল হতে বর্ণনা করেছেন। বর্ণনাকারী এ সূরাহ মাজহুলুল হালের পর্যায়ভুক্ত।
ইবনু আবী হাতিম (২/১/৩২৭) ও খাতীব বাগদাদী "আত-তারীখ" গ্রন্থে (৯/২২৭) তাকে উল্লেখ করে তার সম্পর্কে ভাল-মন্দ কোনই মন্তব্য করেননি।
حامل القرآن موقى
ضعيف
-
رواه أبو حفص الكتاني في " حديثه " (134/1) والمخلص في الفوائد المنتقاة
(8/10/2) عن أبي حفص عن شيخ من أهل الشام عن مكحول عن عثمان بن عفان
مرفوعا
قلت: وهذا سند ضعيف وله علتان
الأولى: جهالة هذا الشيخ الشامي
الثانية: الانقطاع بين مكحول وعثمان
وأبو حفص هو عمر بن عبد الرحمن الأبار وهو ثقة وكذلك سائر رجاله ثقات إلا ما بينت
والحديث عزاه السيوطي في " الجامع الصغير " للديلمي في " مسند الفردوس " فقال
شارحه المناوي
رواه عن عثمان من طريقين، وفيه محمد بن راشد المكحولي، قال النسائي: ليس
بالقوي
قلت: ولعل المكحولي هذا هو الشيخ الشامي في الطريق الأولى. والله أعلم.
ثم إنني رأيته في " مسند الفردوس " من طريق واحدة، فإن النسخة المصورة التي
عندي سيئة، وبعض صفحاتها غير ظاهرة، أخرجه (ص 89) من طريق سورة بن الحكم
حدثنا محمد بن راشد عن مكحول به. وسورة هذا في حكم مجهول الحال، فقد أورده
ابن أبي حاتم (2/1/327) والخطيب في " تاريخه " (9/227) ولم يذكرا فيه جرحا ولا تعديلا