৫১৪

পরিচ্ছেদঃ ১৬. সালাতুল ইসতিসকা বা বৃষ্টির জন্য সালাত - বৃষ্টি প্রার্থনার সালাতের পদ্ধতি ও তার খুতবা

৫১৪. ’আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত হয়েছে, তিনি বলেন- লোকেরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকটে অনাবৃষ্টির অভিযোগ জানালে তিনি মিম্বার আনার আদেশ দিলেন-যেটি তাঁর জন্য মুসল্লায় (মাঠে) পাতা হয়েছিল, তিনি লোকদিগকে সালাতের উদ্দেশে বের হবার জন্য একটি ধার্য দিনের ওয়াদাও করলেন। তারপর তিনি সূর্যের একাংশ প্রকাশিত হবার সময় বেরিয়ে পড়লেন। এবং মিম্বারের উপর বসলেন, তারপর আল্লাহর শ্রেষ্ঠত্ব ও তাঁর মহিমা বর্ণনা করলেন। তারপর বললেন, তোমরা তোমাদের অঞ্চলে খরা-পীড়িত হবার কথা বলেছ, আর আল্লাহও (বিপদ মুক্তির জন্য) তাঁর নিকট প্রার্থনা করার নির্দেশ দিয়েছেন। আর তিনি তোমাদের প্রার্থনা গ্ৰহণ করবেন বলে অঙ্গীকার করেছেন। এ বলে তিনি দু’আ আরম্ভ করলেন-

উচ্চারণ: আলহামদু লিল্লাহি রব্বিল ’আলামীন। আর-রাহমানির রহীম। মালিকি ইয়াউমিদ্দীন। লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু। ইয়াফ’আলু মা ইউরীদ। আল্লাহুম্মা আনতাল্লাহ। লা ইলাহা ইল্লা আনতা। আনতাল গানী। ওয়া নাহনুল ফুকারাউ। আনযিল ’আলাইনাল গাইসা। ওয়াজ’আল মা আনযালতা ’আলাইনা কুওওয়াতান ওয়া বালাগান ইলা হীন।

অর্থ: “সকল প্রশংসা আল্লাহর নিমিত্তে যিনি সমগ্র বিশ্বের প্রতিপালক। তিনি করুণাময় অত্যন্ত দয়ালু। বিচার দিনের মালিক। আল্লাহ ব্যতীত প্রকৃত কোন ইলাহ নেই। তিনি যা ইচ্ছা করতে পারেন। হে আল্লাহ! তুমিই আল্লাহ, তুমি ব্যতীত প্রকৃত কোন ইলাহ নেই। তুমি ধনাঢ্য আর আমরা অভাবগ্ৰস্ত, আমাদের উপর বৃষ্টি বর্ষণ কর, তুমি যা আমাদের জন্য বর্ষণ করবে তাকে আমাদের জন্য শক্তির আধার কর ও এটাকে বিশেষ সময়ের জন্য উদ্দেশ্য পূরণের উপযোগী কর”।

তারপর তিনি তাঁর দু’হাত উঠালেন ও তাঁর বগলের শুভ্রতা প্ৰকাশ না পাওয়া পর্যন্ত তা উঁচু করতেই থাকলেন। তারপর তিনি লোকেদের দিকে পিঠ করলেন ও হাত উত্তোলন অবস্থায় তার চাদরকে উলটিয়ে নিলেন। এবারে আবার তিনি লোকেদের দিকে পুনঃ মুখ ফিরালেন ও মিম্বার হতে নামলেন। তারপর দু’রাক’আত সালাত আদায় করলেন। এরপরে আল্লাহ একখণ্ড মেঘের উদ্ভাবন করলেন- মেঘ গৰ্জন করতে লাগল, বিদ্যুৎ চমকাল তারপর বৃষ্টি বর্ষিত হলো। -আবূ দাউদ গরীব বলেছেন, এর সানাদ জাইয়্যিদ (উত্তম)।[1]

وَعَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا قَالَتْ: شَكَا النَّاسُ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ - صلى الله عليه وسلم - قُحُوطَ الْمَطَرِ, فَأَمَرَ بِمِنْبَرٍ, فَوُضِعَ لَهُ فِي الْمُصَلَّى, وَوَعَدَ النَّاسَ يَوْمًا يَخْرُجُونَ فِيهِ, فَخَرَجَ حِينَ بَدَا حَاجِبُ الشَّمْسِ, فَقَعَدَ عَلَى الْمِنْبَرِ, فَكَبَّرَ وَحَمِدَ اللَّهَ, ثُمَّ قَالَ: «إِنَّكُمْ شَكَوْتُمْ جَدَبَ دِيَارِكُمْ, وَقَدْ أَمَرَكُمْ اللَّهُ أَنْ تَدْعُوَهُ, وَوَعَدَكُمْ أَنْ يَسْتَجِيبَ لَكُمْ, ثُمَّ قَالَ: الْحَمْدُ لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ, الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ, مَالِكِ يَوْمِ الدِّينِ, لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ يَفْعَلُ مَا يُرِيدُ, اللَّهُمَّ أَنْتَ اللَّهُ, لَا إِلَهَ إِلَّا أَنْتَ, أَنْتَ الْغَنِيُّ وَنَحْنُ الْفُقَرَاءُ, أَنْزِلْ عَلَيْنَا الْغَيْثَ, وَاجْعَلْ مَا أَنْزَلْتَ قُوَّةً وَبَلَاغًا إِلَى حِينٍ»، ثُمَّ رَفَعَ يَدَيْهِ, فَلَمْ يَزَلْ حَتَّى رُئِيَ بَيَاضُ إِبِطَيْهِ, ثُمَّ حَوَّلَ إِلَى النَّاسِ ظَهْرَهُ, وَقَلَبَ رِدَاءَهُ, وَهُوَ رَافِعٌ يَدَيْهِ, ثُمَّ أَقْبِلَ عَلَى النَّاسِ وَنَزَلَ, وَصَلَّى رَكْعَتَيْنِ, فَأَنْشَأَ اللَّهُ سَحَابَةً, فَرَعَدَتْ, وَبَرَقَتْ, ثُمَّ أَمْطَرَتْ

رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ وَقَالَ: «غَرِيبٌ, وَإِسْنَادُهُ جَيِّدٌ». (1)
وَقِصَّةُ التَّحْوِيلِ فِي «الصَّحِيحِ» مِنْ

-

حسن. رواه أبو داود (1173)، وصححه ابن حبان (2860)

وعن عاىشة رضي الله عنها قالت: شكا الناس الى رسول الله - صلى الله عليه وسلم - قحوط المطر, فامر بمنبر, فوضع له في المصلى, ووعد الناس يوما يخرجون فيه, فخرج حين بدا حاجب الشمس, فقعد على المنبر, فكبر وحمد الله, ثم قال: «انكم شكوتم جدب دياركم, وقد امركم الله ان تدعوه, ووعدكم ان يستجيب لكم, ثم قال: الحمد لله رب العالمين, الرحمن الرحيم, مالك يوم الدين, لا اله الا الله يفعل ما يريد, اللهم انت الله, لا اله الا انت, انت الغني ونحن الفقراء, انزل علينا الغيث, واجعل ما انزلت قوة وبلاغا الى حين»، ثم رفع يديه, فلم يزل حتى رىي بياض ابطيه, ثم حول الى الناس ظهره, وقلب رداءه, وهو رافع يديه, ثم اقبل على الناس ونزل, وصلى ركعتين, فانشا الله سحابة, فرعدت, وبرقت, ثم امطرت رواه ابو داود وقال: «غريب, واسناده جيد». (1) وقصة التحويل في «الصحيح» من - حسن. رواه ابو داود (1173)، وصححه ابن حبان (2860)

হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
বুলুগুল মারাম
পর্ব - ২ঃ সালাত (كتاب الصلاة)