পরিচ্ছেদঃ ৫. সালাতে খুশূ বা বিনয় নম্রতার প্রতি উৎসাহ প্ৰদান - সালাতে কংকর সরানোর বিধান
২৪১. আবূ যার গিফারী (রাঃ) থেকে বর্ণিত। আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ সালাতে দাঁড়িয়ে কেউ যেন সামনের কঙ্কর অপসারণ না করে। কেননা, সালাত আদায়কারী ব্যক্তির সম্মুখে আল্লাহর রহমত সমাগত হয়। সহীহ সানাদ সহকারে ৫ জনে[1] আহমাদ অতিরিক্ত শব্দ বৃদ্ধি করেছেন: “একবার কর নাহলে বিরত থাকবে”।[2]
وَعَنْ أَبِي ذَرٍّ - رضي الله عنه - قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ - صلى الله عليه وسلم: «إِذَا قَامَ أَحَدُكُمْ فِي الصَّلَاةِ فَلَا يَمْسَحِ الْحَصَى, فَإِنَّ الرَّحْمَةَ تُوَاجِهُهُ». رَوَاهُ الْخَمْسَةُ بِإِسْنَادٍ صَحِيحٍ
وَزَادَ أَحْمَدُ: «وَاحِدَةً أَوْ دَعْ
-
ضعيف. رواه أبو داود (945)، والنسائي (3/ 6)، والترمذي (379)، وابن ماجه (1027)، وأحمد (5/ 150و163و179) من طريق أبي الأحوص، عن أبي ذر. وقال الترمذي: «حديث حسن «. قلت: كلا. فإن أبا الأحوص «لا يعرف له حال «كما قال ابن القطان، والعجب بن الحافظ -رحمه الله- إذ أطلق القول بصحة الإسناد هنا. بينما قال في «التقريب» عن أبي الأحوص: «مقبول» يعني: إذا توبع وإلا فَلَيِّن الحديث. قلت: وفي الحديث علة أخرى، فهو ضعيف على أية حال
صحيح. رواه أحمد (5/ 163) وهو وإن كان في سنده ابن أبي ليلى وهو مُتَكَلَّم فيه من قِبَل حفظه إلا أنه حفظه، ومما يدل على ذلك الحديث التالي
[2] আহমাদ ৫/১৬৩। হাদীসের মধ্যে ইবনু আবূ লায়লা নামক একজন রাবী আছেন, যিনি স্মরণশক্তির দিক থেকে সমালোচনার সম্মুখীন হয়েছেন। তবে এ হাদীসটি মুখস্ত রেখেছেন। পরবর্তী হাদীস এর প্রমাণ বহন করে।
তুহফাতুল আহওয়াযী (২/১৯৩) গ্রন্থে আব্দুর রহমান মুবারকপুরী বলেন, এই হাদীসের রাবী আবূল আহওয়াস সম্পর্কে মুনযীরী বলেন, এ নামে তিনি কাউকে চেনেন না ইয়াহইয়া বিন মুঈন তার সম্পর্কে বিরূপ মন্তব্য করেছেন। ইবনু হাজার তাকে মাককূল হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন, সহীহ ইবনু খুযাইমাহ ((৯১৩) গ্রন্থে আবূল আহওয়াসকে আলবানী মাজহুল বলে আখ্যায়িত করেছেন। তামামুল মিন্নাহ (৩১৩) গ্রন্থেও আলবানী অনুরূপ বলেছেন। তবে আত-তামহীদ (২৪/১১৬) গ্রন্থে ইবনু আব্দুল বার হাদীসটিকে মারফূ’ সহীহ মাহফুয হিসেবে উল্লেখ করেছেন। ইমাম সুয়ূতী আল জামিউস সগীর গ্রন্থে ও ইমাম নববী আল খুলাসা (১/৪৮৫) গ্রন্থে হাদীসটিকে হাসান বলে উল্লেখ করেছেন। অনুরূপভাবে বিন বায মাজমুয়া ফাতাওয়া (১১/২৬৫) গ্রন্থে, আহমাদ শাকের শারহু সুনানু তিরমিযী (২/২/১৯) গ্রন্থে হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন।