পরিচ্ছেদঃ ৮. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - জিয্ইয়াহ্-এর বর্ণনা
৪০৩৮-[৪] আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদিন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খালিদ ইবনুল ওয়ালীদ (রাঃ)-কে দূমাহ্-এর শাসক উকায়দির-এর বিরুদ্ধে অভিযানে পাঠালে, তারা তাঁকে গ্রেফতার করে নিয়ে আসেন। অতঃপর তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তার খুন মাফ করে দিলেন এবং জিয্ইয়াহ্ আদায়ের শর্তে তার সাথে চুক্তিবদ্ধ হন। (আবূ দাঊদ)[1]
وَعَن أنس قَالَ: بَعَثَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خَالِدَ بْنَ الْوَلِيدِ إِلَى أُكَيْدِرِ دُومَةَ فَأَخَذُوهُ فَأَتَوْا بِهِ فَحَقَنَ لَهُ دَمَهُ وَصَالَحَهُ على الْجِزْيَة. رَوَاهُ أَبُو دَاوُد
ব্যাখ্যা: (أُكَيْدِرِ دُوْمَةَ) ‘‘দূমাহ্ অঞ্চলের উকাইদির’’ দূমাহ্ শামের কোনো শহর অথবা কোনো দুর্গের নাম যা তাবূকের নিকটবর্তী এলাকায় অবস্থিত। উকাইদির দূমাহ্ অঞ্চলের বাদশাহর নাম। তিনি হলেন উকাইদির ইবনু ‘আব্দুল মালিক আল কিন্দী। তিনি খৃষ্টান ধর্মের অনুসারী ছিলেন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার বিরুদ্ধে সেনাদল প্রেরণ করেছিলেন। এই সেনাদলের মুহাজিরদের নেতৃত্বে ছিলেন আবূ বাকর আর গ্রাম্য লোকেদের নেতৃত্বে ছিলেন খালিদ ইবনুল ওয়ালীদ। এ সেনাদলটি চাঁদনী রাতে দুর্গের নিকট পৌঁছে।
তখন উকাইদির তার স্ত্রীর সাথে দুর্গের ছাদে ছিলেন। কোনো কারণে তিনি তার ভাই এবং স্বীয় পরিবারের লোকেদের সাথে নীচে নেমে আসলে মুসলিম বাহিনী তাকে ধরে নিয়ে যায় এবং তার ভাইকে হত্যা করে ফেলে।
(فَحَقَنَ لَه دَمَه) ‘‘তার রক্ত নিষেধ করলেন।’’ অর্থাৎ তাকে হত্যা করতে নিষেধ করে তার রক্ত সংরক্ষণ করলেন।
(وَصَالَحَه عَلَى الْجِزْيَةٌ) ‘‘জিয্ইয়াহ্ প্রদানের শর্তে তার সাথে সন্ধি চুক্তি করেন।’’ ফলে পরবর্তীতে তিনি ইসলাম গ্রহণ করেন এবং তিনি একজন উত্তম মুসলিমে পরিণত হন। (মিরকাতুল মাফাতীহ)
খত্ত্বাবী বলেনঃ দূমার উকাইদির এক ‘আরব ব্যক্তি ছিলেন। তাকে গাসসানও বলা হয়।
অত্র হাদীস প্রমাণ করে যে, ‘আরবদের নিকট থেকেও জিয্ইয়াহ্ গ্রহণ করা বৈধ। যেমনটি অনারবদের নিকট থেকে তা গ্রহণ করা বৈধ। ইমাম আবূ ইউসুফ-এর মতে ‘আরবদের নিকট থেকে জিয্ইয়াহ্ গ্রহণ করা বৈধ নয়। ইমাম মালিক, আওযা‘ঈ ও শাফি‘ঈ-এর মতে ‘আরব ও অনারব জিয্ইয়ার ক্ষেত্রে সবাই সমান। (‘আওনুল মা‘বূদ ৫ম খন্ড, হাঃ ৩০৩৫)