৪০২৫

পরিচ্ছেদঃ ৭. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - গনীমাতের সম্পদ বণ্টন এবং তা আত্মসাৎ করা

৪০২৫-[৪১] ’আমর ইবনু শু’আয়ব তাঁর পিতার মাধ্যমে তাঁর দাদা হতে বর্ণনা করেন। একদিন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একটি উটের কাছে গিয়ে তার কুঁজের চুলের গোস্বা ধরে বললেনঃ হে লোক সকল! এ সমস্ত গনীমাতের মালে আমি মালিক নই। এমনকি এ চুলের গোস্বারও আমি মালিক নই। তিনি তাঁর অঙ্গুলি উঠিয়ে বললেনঃ শুধু এক-পঞ্চমাংশ রয়েছে। আর সে এক-পঞ্চমাংশও তোমাদের মাঝে বণ্টন করা হবে। সুতরাং সুঁচ-সুতা থাকলেও তা জমা দিয়ে দাও। এটা শুনে জনৈক ব্যক্তি একগুচ্ছ পশম হাতে নিয়ে দাঁড়িয়ে বললঃ হে আল্লাহর রসূল! আমি তো আমার সওয়ারীর গদির নিচের কম্বলটি সেলাই করার জন্য এটা নিয়েছি। তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ অবশ্যই এটার মধ্যে আমার ও বানী ’আবদুল মুত্ত্বালিব-এর যে পরিমাণ অংশ রয়েছে, তা তোমাকে দান করলাম। এটা শুনে লোকটি বলে উঠল, এই একগুচ্ছ পশমের অবস্থা যদি এ পর্যায়ে পৌঁছে, তখন তো আর আমার এটার কোনই প্রয়োজন নেই। এ বলে সে পশম গুচ্ছটি ছুঁড়ে ফেলে দিলো। (আবূ দাঊদ)[1]

وَعَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ جَدِّهِ قَالَ: دَنَا النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ بَعِيرٍ فَأَخَذَ وَبَرَةً مِنْ سَنَامِهِ ثُمَّ قَالَ: «يَا أَيُّهَا النَّاسُ إِنَّهُ لَيْسَ لِي مِنْ هَذَا الْفَيْءِ شَيْءٌ وَلَا هَذَا وَرَفَعَ إِصْبَعَهُ إِلَّا الْخُمُسَ وَالْخُمُسُ مَرْدُودٌ عَلَيْكُمْ فَأَدُّوا الْخِيَاطَ وَالْمِخْيَطَ» فَقَامَ رَجُلٌ فِي يَدِهِ كُبَّةٌ شَعَرٍ فَقَالَ: أَخَذْتُ هَذِهِ لِأُصْلِحَ بِهَا بَرْدَعَةً فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «أَمَّا مَا كانَ لي ولبني عبدِ المطلبِ فهوَ لكَ» . فَقَالَ: أمّا إِذا بَلَغَتْ مَا أَرَى فَلَا أَرَبَ لِي فِيهَا ونبَذَها. رَوَاهُ أَبُو دَاوُد

وعن عمرو بن شعيب عن ابيه عن جده قال: دنا النبي صلى الله عليه وسلم من بعير فاخذ وبرة من سنامه ثم قال: «يا ايها الناس انه ليس لي من هذا الفيء شيء ولا هذا ورفع اصبعه الا الخمس والخمس مردود عليكم فادوا الخياط والمخيط» فقام رجل في يده كبة شعر فقال: اخذت هذه لاصلح بها بردعة فقال النبي صلى الله عليه وسلم: «اما ما كان لي ولبني عبد المطلب فهو لك» . فقال: اما اذا بلغت ما ارى فلا ارب لي فيها ونبذها. رواه ابو داود

ব্যাখ্যা: ইমাম খত্ত্বাবী (রহঃ) বলেনঃ এ গনীমাতের মাল কম হোক আর বেশি হোক সবই গনীমাতের ভা-ারে জমা দিতে হবে এবং সেটা যুদ্ধে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে বণ্টন হবে। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজেও ইচ্ছা করে কাউকে বণ্টনবিহীন কোনো কিছু প্রদান করেননি এবং কেউ নিজেও (ছোট বড় যাই হোক বণ্টনবিহীন) গ্রহণ করবে না। তবে খাদ্য হলে সেটা স্বতন্ত্র কথা, ক্ষুধা নিবারণের জন্য প্রয়োজন মতো সেখান থেকে নেয়ার অনুমতি আছে। আল্লাহর রসূল সাহাবীর এক টুকরা সুতা গ্রহণ যা দিয়ে ছালা সেলাই হবে মাত্র, তাও অনুমোদন করেননি। এমনকি তিনি এ কথাও বললেন যে, আমার এবং বানী ‘আবদুল মুত্ত্বালিব-এর অধিকার তোমাকে না হয় ছেড়ে দিলাম কিন্তু অন্যান্য যোদ্ধাদের অংশ তোমাকে কে দান করবে? আর আমি তো তাদের অংশ তোমাকে দিতে পারি না! (‘আওনুল মা‘বূদ ৫ম খন্ড, হাঃ ২৬৯১)


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-১৯: জিহাদ (كتاب الجهاد)