৪০২২

পরিচ্ছেদঃ ৭. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - গনীমাতের সম্পদ বণ্টন এবং তা আত্মসাৎ করা

৪০২২-[৩৮] ’আবদুর রহমান ইবনু খালিদ-এর গোলাম কাসিম নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর জনৈক সাহাবী হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেছেনঃ যুদ্ধের সময় আমরা উটের গোশ্ত/মাংস খেতাম, কিন্তু তা বণ্টন করতাম না। এমনকি যখন আমরা যুদ্ধ শেষে নিজেদের তাঁবুতে ফিরে আসতাম, তখন আমাদের খাদ্যভাণ্ডারগুলো উক্ত মাংসে পরিপূর্ণ থাকত। (আবূ দাঊদ)[1]

وَعَنِ الْقَاسِمِ مَوْلَى عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَنْ بَعْضِ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: كنَّا نأكلُ الجَزورَ فِي الغزْوِ وَلَا نُقَسِّمُهُ حَتَّى إِذَا كُنَّا لَنَرْجِعُ إِلَى رِحَالِنَا وأخْرِجَتُنا مِنْهُ مَمْلُوءَة. رَوَاهُ أَبُو دَاوُد

وعن القاسم مولى عبد الرحمن عن بعض اصحاب النبي صلى الله عليه وسلم قال: كنا ناكل الجزور في الغزو ولا نقسمه حتى اذا كنا لنرجع الى رحالنا واخرجتنا منه مملوءة. رواه ابو داود

ব্যাখ্যা : এটাও পূর্বের হাদীসের ব্যাখ্যানুরূপ। গনীমাতের সম্পদ থেকে উটের মতো একটি বড় খাদ্য প্রাণীও যুদ্ধের ময়দানে যাবাহ করে সৈন্যরা বায়তুল মালের খুমুস বণ্টন না করেই প্রয়োজন মতো পেট ভরে খেতেন, অনেকে গোশত পাত্রে তুলে সেনা ছাওনী বা তাঁবুতে নিয়ে যেতেন।

দারুল হার্‌ব থেকে পাওয়া খাদ্য সামগ্রীর বিষয়ে ফাকীহগণ মতবিরোধ করেছেন।

সুফ্ইয়ান সাওরী (রহঃ) বলেনঃ যা কিছুই পাওয়া যাক না কেন তাই ইমামের নিকট জমা দিতে হবে, তা না দিয়ে নিজেরা ইচ্ছামত ভক্ষণ বা ব্যবহার করা যাবে না। ইমাম আবূ হানীফাহ্ (রহঃ)-এর মতও এটাই। ইমাম শাফি‘ঈ (রহঃ)-এর দু’টি মতের একটি এর পক্ষেই। কিন্তু তার দ্বিতীয় মতটি হলো দারুল হার্ব এ কিছু পাওয়া গেলে সেটা তার বা তাদের, এটা তারা নিয়ে নিতে পারবে। ইমাম আওযা‘ঈও এমনি মত প্রকাশ করেছেন। তবে তিনি আরো বলেছেন, ঐ সম্পদ সে বিক্রি করতে পারবে না, সে শুধু খেতে পারবে। যদি বিক্রি করে তবে ওটার মূল্য মুসলিমদের গনীমাতের ভা-ারে জমা দিতে হবে। ইমাম মালিক (রহঃ) বলেন, অল্প পরিমাণ খাদ্য বস্তু যেমন গোশত, রুটি ইত্যাদি নেয়া বা পরিবারের লোকেদের খাওয়ানোর অনুমতি আছে। (‘আওনুল মা‘বূদ ৫ম খন্ড, হাঃ ২৭০৩, মিরকাতুল মাফাতীহ)


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-১৯: জিহাদ (كتاب الجهاد)