৩৯৭৪

পরিচ্ছেদঃ ৫. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - যুদ্ধবন্দীদের বিধিমালা

৩৯৭৪-[১৫] ’আত্বিয়্যাতুল কুরাযী (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমিও বানী কুরায়যার বন্দীদের মধ্যে ছিলাম। আমাদেরকে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সম্মুখে উপস্থিত করা হলো। সাহাবীগণ বন্দীদের সতর খুলে দেখেন। যার গুপ্তাঙ্গের লোম উঠেছে তাকে হত্যা করা হয়, আর যার লোম প্রকাশ পায়নি তাকে হত্যা করা হয়নি। ফলে তাঁরা আমার সতর খুলে দেখলেন যে, আমার গুপ্তাঙ্গের লোম উঠেনি। তাই আমাকে হত্যা না করে বন্দীদের মধ্যে রেখে দিলেন। (আবূ দাঊদ, ইবনু মাজাহ, দারিমী)[1]

عَن عَطِيَّة القَرظِي قَالَ: كنتُ فِي سَبي قُرَيْظَةَ عُرِضْنَا عَلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَكَانُوا يَنْظُرُونَ فَمَنْ أَنْبَتَ الشَّعَرَ قُتِلَ وَمَنْ لَمْ يُنْبِتْ لَمْ يُقْتَلْ فَكَشَفُوا عَانَتِي فَوَجَدُوهَا لَمْ تُنْبِتْ فَجَعَلُونِي فِي السَّبْيِ. رَوَاهُ أَبُو دَاوُد وَابْن مَاجَه. والدارمي

عن عطية القرظي قال: كنت في سبي قريظة عرضنا على النبي صلى الله عليه وسلم فكانوا ينظرون فمن انبت الشعر قتل ومن لم ينبت لم يقتل فكشفوا عانتي فوجدوها لم تنبت فجعلوني في السبي. رواه ابو داود وابن ماجه. والدارمي

ব্যাখ্যা: (فَمَنْ أَنْبَتَ الشَّعَرَ قُتِلَ) অর্থাৎ- যার নাভির নীচে চুল গজিয়েছে তাকে হত্যা করা হয়েছে, কেননা নাভির নীচে চুল গজানো প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার আলামাত। সুতরাং সে যোদ্ধাদের অন্তর্ভুক্ত হবে।

(وَمَنْ لَمْ يُنْبِتْ لَمْ يُقْتَلْ) কেননা এ ধরনের মানুষ শিশুদের অন্তর্ভুক্ত। এ অর্থটি তাদের কাছে সংশয়পূর্ণ হচ্ছে যারা মুসলিম এবং কাফিরদের মাঝে পার্থক্য করে থাকে আর এটা ঐ সময় যখন নাভীর নীচে চুল গজানোকে কাফিরদের ক্ষেত্রে প্রাপ্তবয়স্ক হিসেবে নির্ধারণ করে থাকে আর মুসলিমদের ক্ষেত্রে তা বিবেচনা করা হয় না। কারণ কাফিরদের প্রাপ্তবয়স্ক হওয়া বয়সের দৃষ্টিকোণ থেকে জানা যায় না, আর তাদের কথাও গ্রহণ করা সম্ভব নয়, কেননা তারা নিজেদের থেকে হত্যার বিধান প্রতিহত করার উদ্দেশে ঐ ব্যাপারে তারা মিথ্যা বলবে। আর এজন্যই তাদের সংবাদ গ্রহণযোগ্য নয়। পক্ষান্তরে মুসলিম এবং তাদের সন্তানদের বয়সের পরিমাণ সম্পর্কে জানা সম্ভব, কেননা তাদের জন্মের সময় সংরক্ষিত। তাদের জন্মের সময়ের তারিখ দেয়া আছে, জানা আছে। এ ব্যাপারে তাদের সংবাদ গ্রহণযোগ্য। এ কারণেই মুশরিকদের ক্ষেত্রে চুল গজানোকে বিবেচনা করা হয়েছে। [আল্লাহ সর্বাধিক জ্ঞাত] এ উক্তিটি খত্ত্বাবীর।

তূরিবিশ্তী বলেনঃ কেবল মুশরিকদের ক্ষেত্রে নাভীর নীচে চুল গজানোকে প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার জন্য বিবেচনা করা হয়েছে এটা মূলত জরুরী হিসেবে। এমতাস্থায় যদি কাফিরদেরকে তাদের বয়সের পরিমাণ সম্পর্কে প্রশ্ন করা হয় তাহলে তারা সত্য বলবে না, কেননা এতে তারা ধ্বংস দেখছে। (আওনুল মা‘বূদ ৯ম খন্ড, হাঃ ৪৩৯৫; তুহফাতুল আহওয়াযী ৪র্থ খন্ড, হাঃ ১৫৮৪; মিরকাতুল মাফাতীহ)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-১৯: জিহাদ (كتاب الجهاد)