৩৯৭১

পরিচ্ছেদঃ ৫. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - যুদ্ধবন্দীদের বিধিমালা

৩৯৭১-[১২] উক্ত রাবী [’আয়িশাহ্ (রাঃ)] হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বদর যুদ্ধে যখন কুরায়শদেরকে বন্দী করলেন, তখন ’উকবা ইবনু আবূ মু’আয়ত্ব ও নযর ইবনু হারিস-কে হত্যা করেন। আর আবূ ’আয্যাতুল জুমাহী-কে মুক্তিপণ ব্যতীত এমনিই ছেড়ে দেন। (শারহুস্ সুন্নাহ্, শাফি’ঈ, ইবনু ইসহক-এর ’সীরাত’ গ্রন্থে)[1]

وَعَنْهَا: أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَمَّا أَسَرَ أَهْلَ بَدْرٍ قَتَلَ عُقْبَةَ بْنَ أَبِي مُعَيْطٍ وَالنَّضْرَ بْنَ الْحَارِثِ وَمَنَّ عَلَى أَبِي عَزَّةَ الْجُمَحِيِّ. رَوَاهُ فِي شَرْحِ السّنة وَالشَّافِعِيّ وَابْن إِسْحَاق فِي «السِّيرَة»

وعنها: ان رسول الله صلى الله عليه وسلم لما اسر اهل بدر قتل عقبة بن ابي معيط والنضر بن الحارث ومن على ابي عزة الجمحي. رواه في شرح السنة والشافعي وابن اسحاق في «السيرة»

ব্যাখ্যা: (قَتَلَ عُقْبَةَ بْنَ أَبِىْ مُعَيْطٍ وَالنَّضْرَ بْنَ الْحَارِثِ) হিদায়াতে আছে- বন্দীদের ক্ষেত্রে ইমামের ইখতিয়ার আছে- চাইলে তাদেরকে হত্যা করবে। ইবনুল হুমাম বলেনঃ যখন তারা ইসলাম গ্রহণ করবে না, যেহেতু তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বন্দী হত্যা করেছেন, তাই ‘উকবা বিন আবূ মু‘আয়ত এবং অন্যান্যকে তাঁর হত্যাকরণে কোনো সন্দেহ নেই। কেননা তাদের হত্যাকরণের মাধ্যমে তাদের থেকে সংঘটিত বিশৃঙ্খলার মূলোৎপাটিত হয়েছে। আর যদি চান তাহলে তাদেরকে দাস বানাবেন। কেননা এতে মুসলিমদের কল্যাণ বৃদ্ধির সাথে সাথে তাদের অকল্যাণ প্রতিহতকরণ রয়েছে।

এজন্যই আমরা বলেছি, কোনো যোদ্ধার জন্য কোনো বন্দীকে নিজে নিজে হত্যা করার অধিকার নেই। কেননা এ ক্ষেত্রে সিন্ধান্ত গ্রহণ করার অধিকার ইমামের। তিনি যদি চান তাহলে তাদেরকে মুসলিমদের নিরাপত্তা স্বরূপ স্বাধীন অবস্থায় ছেড়ে দিবে। ‘উমার বড় দলের ক্ষেত্রে এটা করেছেন, তবে ‘আরবের মুশরিক এবং মুরতাদ যখন বন্দী হয় তখন তাদের বিষয় আলাদা। কেননা তাদের থেকে কোনো ট্যাক্স গ্রহণ করা হবে না এবং তাদেরকে দাস বানানো বৈধ হবে না। বরং হয় ইসলাম গ্রহণ, নতুবা তরবারি। অতঃপর বন্দীরা যদি বন্দীত্বের পর ইসলাম গ্রহণ করে তাহলে আমরা তাদেরকে হত্যা করব না। তবে তাদেরকে দাস বানানো বৈধ। তবে যদি গ্রেপ্তারের পূর্বে ইসলাম গ্রহণ করে থাকে তবে ভিন্ন কথা, তখন তাদেরকে দাস বানানো যাবে না, তারা স্বাধীনে পরিণত হবে। কেননা এটা তাদের মাঝে মালিকত্বের কারণ সংঘটিত হওয়ার পূর্বে ইসলাম গ্রহণ।

(وَمَنَّ عَلٰى اَبِىْ عَزَّةَ الْجُمَحِىىِّ) অর্থাৎ- মুক্তিদানের মাধ্যমে আবূ আয্যা আল জুমাহী-কে অনুগ্রহ করলেন। মিরকাতে বিগত হয়েছে, এ হুকুম রহিত। (মিরকাতুল মাফাতীহ)


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-১৯: জিহাদ (كتاب الجهاد)