পরিচ্ছেদঃ ২. প্রথম অনুচ্ছেদ - সফরের নিয়ম-শৃঙ্খলা
৩৮৯৯-[৮] আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ সফর হলো ’আযাবের একটি অংশ মাত্র; যা তোমাদেরকে নিদ্রা, পানাহার হতে বিরত রাখে। সুতরাং যখনই কারো সফরের প্রয়োজন পূরণ হয়ে যায়, তখনই সে যেন অবিলম্বে পরিবার-পরিজনের নিকট ফিরে আসে। (বুখারী, মুসলিম)[1]
بَابُ اٰدَابِ السَّفَرِ
وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «السَّفَرُ قِطْعَةٌ مِنَ الْعَذَابِ يَمْنَعُ أَحَدَكُمْ نَوْمَهُ وَطَعَامَهُ وَشَرَابه فَإِذا قضى نهمه من وَجهه فليعجل إِلَى أَهله»
ব্যাখ্যা: (اَلسَّفَرُ قِطْعَةٌ مِنَ الْعَذَابِ) ‘‘সফর আযাবের একটি অংশ’’। ইমাম নববী বলেনঃ সফরকে আযাবের অংশ বলার কারণ এই যে, তাতে কষ্ট ক্লান্তি, রোদ ও ঠাণ্ডা সহ্য করার অসুবিধা ভোগ করা এবং ভয় আতঙ্ক সর্বোপরি স্বজনদের পরিত্যাগ করে অসহনীয় অবস্থার সম্মুখীন হতে হয়, যা প্রকৃতপক্ষেই ‘আযাব।
(فَإِذَا قَضٰى نَهْمَتَه مِنْ وَجْهِه فَلْيُعَجِّلْ إِلٰى أَهْلِه) মুসাফির যখন তার সফরের প্রয়োজন মিটাবে সে যেন দ্রুত তার স্বীয় পরিবারের নিকট ফিরে আসে।
ইমামা খত্ত্বাবী বলেনঃ অত্র হাদীসে আবাসে অবস্থান করার প্রতি গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। যাতে জুমু‘আহ্ ও জামা‘আত না ছুটে যায় এবং পরিবার-পরিজন ও নিকটবর্তীদের হক বিনষ্ট না হয়। (মিরকাতুল মাফাতীহ; শারহে মুসলিম ১৩ খন্ড, হাঃ ১৯২৭)